Breaking Bharat: সিনেমা মানে আজও ” কিতনে আদমি থে” ডায়ালগ! এখনো জনপ্রিয়তা শীর্ষে কেন শোলে (Sholay)? প্রায় হাফ সেঞ্চুরি করার জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে বলিউড সিনেমা শোলে। ভারতীয় সিনেমার এমন এক মাইলস্টোন যা কেউ কোনোভাবে টপকে যেতে পারেনি।
এমন এক ছবি যা প্রতিটি ভারতীয় দর্শক দেখেছেন আর উচ্ছাসিত হয়ে সিনেমা গুণগান করে গেছেন। একটা ছবি যা ইতিহাস তৈরি করে চিরকালের মতো জায়গা দখল করে নিতে পারে তা হয়তো এই শোলে হিন্দি সিনেমার সাফল্যের (Sholay Hindi movie success) খতিয়ান না দেখলে বোঝা যায় না। এতবার দেখার পরও না জানি কত অজানা কাহিনী এখনও লুকিয়ে আছে।
শোলে হিন্দি সিনেমা (Sholay Movie News in Bengali):
হলিউড ছবির আদলে তৈরী ছবির চারপাশে শুধু ভালোলাগা স্মৃতি। ছবির গল্প নিয়ে কিছু বলার নেই। আপামোর ভারতবাসী জানে এই ছবির বেসিক স্টোরিলাইনে জয় (অমিতাভ), বীরু(ধর্মেন্দ্র), ঠাকুর(সঞ্জীব কুমার) । মূলত তিনজনকে নিয়ে গল্প এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভাবনা প্রাথমিকভাবে তৈরি হয়।
পরে আনা হয়েছিল একদিকে ‘বাসন্তী'(হেমা মালিনী)-র মত মন মাতানোএক নারী চরিত্র আর অন্যদিকে ‘রাধা’ (জয়া ভাদুড়ি) -র মত আপাত গম্ভীর ট্র্যাজিক চরিত্র। মানে কোনও ছবিতে দুই নায়িকার ভিন্ন ধরনের চরিত্রায়নে গল্পের রূপরেখা এইভাবে বিস্তৃত হওয়া খুব কম সিনেমাতে দেখা গেছে।
শোলে হিন্দি সিনেমায় ধর্মেন্দ্র এবং অমিতাভ বচ্চন:
ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এই ছবি চির নবীন। সেই সময় অর্থাৎ সত্তরের দশকে দাঁড়িয়ে একঘেয়ে মিউজিক্যাল, রোমান্সের ঘ্যানঘ্যানানি থেকে বেরিয়ে এসে একটু ওয়েস্টার্ন স্টাইলে মশালাদার ছবি তৈরি করতে চেয়েছিলেন পরিচালক রমেশ সিপ্পি। স্প্যাগেটি ওয়েস্টার্ন ছবির চিন্তাধারা পরিচালককে অনেক বেশি খুবই প্রভাবিত করেছিল।
আরো পড়ুন – Guava Market : জমিতে নয় বাজার ভেসে আছে জলে! এহেন অদ্ভুত বাজারের দেখা মিলল, কোথায় জানেন?
শোলে এমন একটা গল্প ভারতীয় জনগণকে উপহার দিয়েছিল যা এক ঝটকায় বদলে দিয়েছিল ভারতীয় সিনেমার ভাব ধারাকে। আপনি ভাবলে হয়তো অবাক হবেন কিন্তু জয় বা বীরু চরিত্রের জন্য নয় বরং ধর্মেন্দ্র এবং অমিতাভ বচ্চন দুজনেই ঠাকুর চরিত্রে অভিনয় করতে চেয়েছিলেন (Both Dharmendra and Amitabh Bachchan wanted to play Tagore)।
সঞ্জীব কুমার হেমা মালিনীকে প্রেম নিবেদন করেছিল?
এই সিনেমা চলাকালীন সঞ্জীব কুমার হেমা মালিনীকে প্রেম নিবেদন করতে চেয়েছিলেন। পরিস্থিতি যাতে জটিল না হয় সেই জন্য পরিচালক দুজনের একটা সিনও একসঙ্গে রাখেননি। সবথেকে বড় কথা হল এটা এমন একটা ভারতীয় সিনেমা যেখানে তিনটি পুরুষ চরিত্রকে সমান দক্ষ তাই প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা হয়েছিল।
এই ছবির মিউজিক তৈরীর গল্পটা কারোর কাছে আর অজানা নয়। রাহুল দেব বর্মনের কাছে বিশাল চ্যালেঞ্জ ছিল এই ছবির মিউজিক বিশেষ করে ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর করা। এই শোলে ছবিতে যেসব অভিনেতা অভিনেত্রীরা কাজ করেছেন প্রথমে তাদেরকে দিয়ে কাজ করাবার কথা ভাবাই হয়নি।
আরো পড়ুন – Bhavesh Bhatia : শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কোনও বাধা নয়, প্রমান করলেন ভবেশ ভাটিয়া, কীভাবে?
জানলে হয়তো অবাক হবেন, ছবিতে বীরুর চরিত্রে প্রথমে ঠিক হয়েছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। কিন্তু শত্রুঘ্ন তখন ভিলেনের রোল ছেড়ে একা নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে চাইছেন। এই যে ছবিতে এতজন স্টার আছে সেই ছবিতে কাজ করতে আগ্রহী হননি তিনি। হয়তো এটাই তার জীবনের সবথেকে বড় ভুল ছিল। একটা ছবি যা বদলে দিয়েছে ভারতীয় সিনেমার চিন্তা ধারাকে।