Breaking Bharat: অঙ্গে অস্বস্তিতে চুলকাতে বেশ মজা লাগে তাই না? চুলকানিতে সমস্যা, চুলকাতে ভালো লাগা কেন?
খেয়াল করেছেন কখনও খুব ইচ্ছে করে শরীরের কোনও অংশ চুলকাতে। মাথা, গাল, কপাল, নাক ,গলা, ঘাড়, বুক – পিঠ মানে এক কথায় সর্বাঙ্গ। কিন্তু কেন চুলকাতে বড় আরাম পায় মন? অবশ্য হাত পা তে চুলকাতে গেলে আপনাকে আবার শুভ অশুভ ব্যাপারটাকে মাথায় রাখতে হতে পারে। মানে যাঁরা এসবে বিশ্বাস করেন । যাইহোক চুলকানো নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা যাক (Why is itching so pleasurable?)।
চুলকাতে মজা লাগে কেন? (Why is itching addicting?)
চুলকালে আরাম লাগে কেন, এ নিয়ে গবেষণা অবশ্য থেমে নেই (chulkate moja lage)। বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যাখ্যার পাশাপাশি আছে দার্শনিক ব্যাখ্যাও। আহ ! কি আরাম,ঠিক এই অনুভূতি হয় বৈকি। দার্শনিক ব্যাখ্যা বলে, চুলকানির স্থানে নখ দিয়ে ঘষার ফলে অনেক সময় জীবাণুর স্থানান্তর ঘটে, যা তার বংশবিস্তার ঘটায়। আর এই ব্যাপারটিই এতটা নির্বিঘ্ন হতো না, যদি চুলকানি আরামদায়ক না হয়। বুঝুন ঠেলা! বিষয়টা পরিষ্কার হল কি?
যদি উত্তর সন্তোষজনক না হয় তাহলে বিজ্ঞানের দরজায় টোকা দেওয়া যাক (Is itching a pleasure?)। কারণ সেখানেই মেলে পরীক্ষালব্ধ আর যুক্তি সম্মত উত্তর। আগে ধারণা করা হত যে, হিস্টামিনের ক্রিয়ায় ব্যথা ও চুলকানির জন্য ‘সি-ফাইবার’ স্নায়ুতন্ত্র দ্বারা সেই অনুভূতি সংকেতটি সুষুম্নাকাণ্ডে প্রেরিত হয়।কিন্তু গবেষণার ফলে ১৯৯৭ সালে আবিষ্কৃত হয় যে, ব্যথা ও চুলকানির জন্য আলাদা আলাদা ধরণের পরিবাহী স্নায়ুতন্ত্র আছে, যাদের মাধ্যমে সুষুম্নাকাণ্ড হয়ে মস্তিষ্কে চুলকানির সংকেত পৌঁছে যায় (chulkate ato aram)।
আরো পড়ুন- মেয়েদের মন বোঝা, নয় রে নয় সোজা – একথা কেন বলেন পুরুষেরা?
আরো পড়ুন- স্মার্ট ফোন ছাড়া ঘুমাতে পারেন? বিছানাতে ফোন রেখে ঘুমিয়ে পড়া কি আদৌ নিরাপদ?
একটু মন দিয়ে ব্যাপারটা অনুধাবন করুন। আসলে যেকোনো উত্তেজনার চরমতম মুহূর্তে ডোপামিন নিঃসরণের দ্বারা যেভাবে ভালো লাগার অনুভূতি তৈরি হয়, চুলকানির ক্ষেত্রেও একই হরমোন একইভাবেই কাজ করে। প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্সের কার্যপদ্ধতি থেকেই এর ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। কারণ মস্তিষ্কের প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্সকে ‘সুখের কেন্দ্র’ বলেই অভিহিত করা হয়। অর্থাৎ সবটাই নির্ভর করছে শরীরের হরমোন ক্ষরণের উপর।
আরো পড়ুন- Lie Detector Test : আর মিথ্যা কথা বলবেন? লাই ডিটেক্টর যন্ত্র-আপনার মিথ্যা ধরে ফেলবে!
তাই খুব বেশি করে বিজ্ঞান ভাবনায় ভাবতে না চাইলে, অনুভূতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিবর্ত ক্রিয়াকেই অগ্রাধিকার দিন। যেটা হচ্ছে বা স্বাভাবিক প্রবৃত্তি তা থেকে বিরত না থেকে উপভোগ করুন।