Breaking Bharat: বেঁচে থেকে লাভ কী? কেন শত কষ্ট সহ্য করেও মানুষ বেঁচে থাকতে চায়?
প্রত্যেকদিন মানুষের মুখে শুনবেন একাধিক অভিযোগ নিজের জীবন নিয়ে। কেউ বলবেন টাকা পয়সা নেই ভালোভাবে বাঁচতে পারছেন না তো কেউ বলবেন পোষাক নেই তাই ভালো জায়গায় যেতে পারছেন না। কেউ ভালো খেতে পারছেন না কেউ ভালোভাবে থাকতে পারছেন না। কারুর হাতে সময় নেই কেউ আবার অসুখের জন্য নড়াচড়া করতে পারেন না।
কথা বিশ্ব প্রদত্ত যে জীবনটা তারা পেয়েছেন সেই জীবনটা নিয়ে খুশি নয় কেউই। তবুও মৃত্যু যদি সামনে এসে দাঁড়ায় প্রত্যেকেই দুই পা পিছিয়ে যায়। কারণ জীবন বড়ই সুন্দর। ভাবুন বেঁচে থাকতে এত কষ্ট এত লড়াই তবু বেঁচে থাকা চাই।
মানুষ পৃথিবীতে কেন বেঁচে থাকতে চায়?
মানুষ আর তার মানসিকতা এই দুইকে একটা বাক্যে মেলানো খুব কঠিন বিষয়। এই প্রসঙ্গে একটা গল্প বলি আপনাদের। একবার এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করার জন্য অন্ধকার রাতে এগিয়ে যাচ্ছেন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে। আমরা কোনভাবেই এই ধরনের ঘটনাকে সমর্থন করি না বা প্রশ্রয় দিই না কিন্তু এটা নিছক একটি গল্প মাত্র আর কিছু নয়।
সেই ভদ্রলোকের হাতে লাঠি সঙ্গে হ্যারিকেন এবং গামছা কোমরে বাঁধা। সেই সময় জঙ্গল দিয়ে বেশ কিছু চাষী কাজ সেরে ফিরছিলেন তারা হঠাৎ সেই ব্যক্তিকে দেখতে পেয়ে তার কাছে গিয়ে জানতে চান তিনি এত রাতে এইভাবে কোথায় যাচ্ছেন। সেই ব্যক্তি জানেন তিনি মরতে যাচ্ছেন।
তার জীবনে অনেক সমস্যা তার সংসারে স্ত্রী তাকে নিয়ে তিনি সুখী নন এবং তার কারণে তার পুত্র সন্তানরাও সমাজের কাছে মুখ দেখাতে পারেনা। কত তিনি এই জীবন রাখতে চান না তাই তিনি মরে যেতে চান। অনেক ভেবে তুমি স্থির করেছেন জলে ডুবে মরবেন সেই কারণে গামছা আর কলসি নিয়ে যাচ্ছেন যাতে মরতে কোনো অসুবিধা না হয়।
আরো পড়ুন – অভিনয় না করেও বলিউডের মালাইকা আরোরা কি করে কোটি কোটি টাকা রোজগার করে?
এই কথা শোনা মাত্র সেই চাষিরা তাকে বলেন তাহলে তার হাতে লন্ঠন কেন? সেই ব্যক্তি বললেন জঙ্গলের মধ্যে অন্ধকার রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি সামনে আলো নেই যদি সাপ চলে আসে সেক্ষেত্রে কী হবে, তাই তিনি আলু নিয়ে যাচ্ছেন জাতির সামনে সাপ বা বিষাক্ত পোকামাকড় এলে তিনি সেটা দেখতে পান। এরপর চাষিরা তাকে জিজ্ঞাসা করেন তিনি লাঠি নিয়েছেন কেন।
যে মানুষটি মরতে যাচ্ছেন তিনি জানান তার যাওয়ার পথে যদি কোন হিংস পশু এসে দাঁড়ায় তাহলে তাকে তাড়াতে লাঠির কাজে দেবে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন যে মানুষ মরতেই যাচ্ছেন তাহলে তার মৃত্যু আসার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত জীবনকে বাঁচিয়ে রাখার কতটা শখ ।
আরো পড়ুন – পড়াশোনায় ভালো নম্বর পেলেই কি শিক্ষিত বলা যায়? অশিক্ষিত মানুষ চেনা কতটা কঠিন?
এর থেকে প্রমাণিত মানুষ নিজেকে কতটা ভালোবাসে বা বলা যেতে পারে সবথেকে বেশি ভালোবাসে। আসলে জীবনে যখন সবকিছু সুন্দর থাকে কোন সমস্যা থাকে না তখন জীবন বাঁচার আনন্দও থাকে না। সমস্যা এলে তার সঙ্গে মোকাবেলা করে লড়াই করে বেঁচে থাকার মধ্যেই জীবনের আসল আনন্দ।
আরো পড়ুন – সমাজের খারাপ দিকগুলো কতটা প্রভাবিত করে আপনার জীবনকে?
কিন্তু ওই যে মনুষ্য চরিত্র বোঝা বড়ই মুশকিলা সেই কারণে সমস্যা এলেই খালি মরে যাই মরে যাই রব ওঠে। আসলে সমস্যাগুলো আছে বলেই বেঁচে থাকার আগ্রহ আর স্পৃহা টা এত বেশি করে আছে। একা একা গোলপোস্টের সামনে দাঁড়িয়ে ফুটবল নিয়ে কতক্ষণ খেলতে পারেন আপনি যদি না কোন প্রতিপক্ষ বা সঙ্গীরা থাকেন?
প্রতিবার মরে যাবো না ভেবে একবার প্রাণ ভরে বাঁচুন। মৃত্যু তো একদিন হবেই এটা তো অবশ্যম্ভবী। তবে যতক্ষণ না পর্যন্ত সেই সময়টা আসছে বাঁচুন প্রাণ ভরে বাঁচুন কারণ কাল কী হবে সেটা কারোর জানা নেই।