Breaking Bharat: শোলে সিনেমার জয় আর বীরুর পরিবারের মধ্যে বাস্তবে কতটা দূরত্ব জানেন? গদর টু এর সাফল্যের পরও কেন সানিকে শুভেচ্ছা জানান নি অমিতাভ (Why didn’t Amitabh congratulate Sunny?)
বলিউড মানে সেখানে শুধুই যে সাফল্যের বন্যা এমনটা নয়। গ্ল্যামার জগতেও কিন্তু অন্যান্য জগতের মতই রেষারেষি আছে। এখানেই শেষ নয়, একজন অন্যজনের থেকে যথেষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে তাদের পেশাগত জীবনের ব্যবহারিক পরিচয় দিয়ে থাকেন।
এটাই হয়তো পেশা দারিত্ব কারণ প্রত্যেকেই নিজের কাজের জায়গাটাকে অক্ষুন্ন রেখে তারপর সবটাই করেন লোক দেখানোর কারণে। এটা বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতেই রয়েছে কিন্তু বলিউড যেহেতু প্রচারের আলোতে সবথেকে বেশি আসে তাই এটা নিয়ে আলোচনা বেশি হয়। ২২ বছর পরে মুক্তি পাওয়া সানি দেওলের একটা সিনেমা কার্যত ইতিহাস তৈরি করেছে।
কেন সানিকে শুভেচ্ছা জানাননি অমিতাভ?
সাকসেস পার্টিতে ১৬ বছরের দূরত্ব কাটিয়ে পাশাপাশি এলেন সানি এবং শাহরুখ। সালমান খানকেও দেখা গেছে সেই পার্টিতে কিন্তু বচ্চন পরিবারের সঙ্গে সানির দূরত্ব ক্রমশ যেন বেড়েই চলেছে। কেন বলুন তো? কখন থেকে দূরত্বের সূচনা?
বলিউডের শাহেননশা যেখানে থাকেন সেই বাড়ি নিয়ে আলোচনা হবেই। একটা সময় ধর্মেন্দ্র আর অমিতাভ বচ্চনের বন্ধুত্ব নিয়ে অনস্ক্রিম চর্চা হয় সৌজন্যে বিখ্যাত শোলে সিনেমা। কিন্তু ধর্মেন্দ্র বারবারই বলেছেন যে তিনি তার প্রাপ্য সম্মান পাননি। তিনি যে নাম না করেও অমিতাভ বচ্চনের দিকে নিশানা করেছেন সেটা বোধহয় সমস্ত ফিল্মের বিশ্লেষকরা জানেন।
বচ্চন পুত্র অভিষেক আর ধর্মেন্দ্র পুত্র সানির সম্পর্ক:
তবে এদের পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও যে শত্রুতার রেষ বজায় থাকবে তার আন্দাজ মিলে ছিল অনেকদিন আগে থেকেই। হয়তো অনেকেই জানেন যে, বচ্চন পুত্র অভিষেক আর ধর্মেন্দ্র পুত্র সানির সম্পর্ক আদায় কাঁচকলায়। শোনা যায় ১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বর্ডার’ সিনেমাতে সানির অভিনয় এতটাই ভালো লেগেছিল পরিচালক জেপি দত্তর যে তিনি তখনই পরবর্তী ছবির জন্য সানি কে বেছে নেন।
আরো পড়ুন – অভিনয় না করেও বলিউডের মালাইকা আরোরা কি করে কোটি কোটি টাকা রোজগার করে?
বলিউডে কান পাতলে জানা যায় শোনা যায়, সেই সময় জেপি দত্তের হাতে ছিল ‘রিফিউজি’ ছবির চিত্রনাট্য। তখন অভিষেক বচ্চনকে ওই সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশের সুযোগ দেওয়ার জন্য অমিতাভ পরিচালককে অনুরোধ করেন। ফলে সানি সেই সিনেমায় অভিনয় করতে পারেননি। এখান থেকেই শত্রুতা বাড়তে থাকে।
আরো পড়ুন – ডেঙ্গি নিয়ে বাড়ছে চিন্তা? কোন কোন নিয়ম মেনে চলতে হবে?
আরো একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এখানে দেওয়া যেতে পারে যেটা হয়তো অনেকেরই অজানা। ঐশ্বর্য রাই সলমান খানের আগে সানির সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। কিন্তু সেটা খুব একটা বেশি চর্চায় আসিনি। সূত্রের খবর, সানির কেরিয়ার যখন মধ্য গগনে ঠিক সেই সময় ঐশ্বর্যর কেরিয়ারের সূচনা হয়।
আরো পড়ুন – দ্বিতীয় মহাকাশ বন্দর তৈরি করছে ইসরো? কোথায় হচ্ছে সেই বন্দর আর কেনই বা করা হচ্ছে?
সেই সময় ‘ইন্ডিয়ান’ নামের একটি ছবিতে সানি আর ঐশ্বর্যকে কাস্ট করার চিন্তাভাবনা শুরু হয়। এক কোটি টাকা খরচ করে একটা গোটা গানও শুট করে ফেলেছিলেন তারা। এরপর হঠাৎ করেই ‘ইন্ডিয়ান’ ছবি থেকে বেরিয়ে যান ঐশ্বর্য।
পরবর্তীতে একাধিকবার জুটি হিসেবে দুজনের কাছে ছবির অফার গেলেও সানির বিপরীতে ঐশ্বর্য কাজ করতে চাননি। শোনা যায় সানির উঠতে জনপ্রিয়তায় কিছুটা ভয় পেয়েছিলেন অমিতাভ। তখন থেকেই যেন অদৃশ্য একটা শত্রুতার খেলা শুরু হয়।। যা এই ২০২৩ সালেও রয়ে গেছে।