Breaking Bharat: জন্ম থেকে মৃত্যু, তাড়াহুড়োতে সারাটা জীবন কেটে যাওয়া (whole life is cut short in a hurry)। সকালে ঘুম থেকে ওঠার তাড়া, বাথরুম সেরে ব্রেকফাস্ট খাবার তাড়া, রেডি হয়ে অফিসে যাওয়ার গাড়ি ধরার তাড়া, অফিসে কাজ শেষ করার তাড়া, কাজ শেষ করে ফেল গাড়ি ধরার তাড়া, গাড়ি ধরে বাড়ি ফেরার তাড়া, বাড়ি ফিরে বিশ্রাম নিয়ে তাড়াতাড়ি খাবার তাড়া, খেয়ে দেয়ে ঘুমোতে যাওয়ার তাড়া ,ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে আবার সকালে ওঠার তাড়া।
এত তাড়াহুড়ো করতে করতে জীবনটা ফুরিয়ে যায় তাড়াহুড়োতে, বোঝেন ?
থামুন, মানে একটু সময় নিন, একটু সময় দিন নিজেকে (Give yourself a little time)। আপনার জন্য যে সময় মাপা আসে আপনি তার বাইরে যেতে পারবেন না। আজকে বরং এমন কিছু বিষয় বলি যেখানে তাড়াহুড়ো করলে জীবন যে আপনাকে বড্ড তাড়া দিয়ে সমস্যায় ফেলবে।
- প্রথমেই বলি খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করবেন না (Do not rush into eating and drinking)। শান্ত মনে ধীরে ধীরে খান। না হলে যেটা খাচ্ছেন সেটা হজম হবে না এতে শারীরিক সমস্যা হবে।
- রাস্তাঘাটে হেঁটে চলে যাওয়ার সময় বা রাস্তা পারাপার করার সময় তাড়াহুড়ো করবেন না (Do not rush when crossing the road), এতে বিপদ হতে পারে।
- অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মেসেজ লেখার সময় তাড়াহুড়ো না করা (Do not rush to write a message)। তা না হলে কী লিখতে কি লিখবেন আর আপনার কী বোর্ড কী বুঝবে, আর সেটাকে অটো কারেক্ট করে কী লিখবে আর সেটা যাকে পাঠাবেন তিনি কী বুঝবেন – এইসব টা নিয়ে একটা জটিল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। যার ফল হিসেবে কেস খাবেন আপনি।
- ডাক্তারের কাছে গিয়ে অযথা তাড়াহুড়ো করবেন না (Do not rush to the doctor)। ওষুধ কেনার বা খাওয়ার সময় তাড়াহুড়ো করলে ভুল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এতে ঝুঁকি বাড়ে। বাইরে বেরোতে গেলে প্যাকিং এর ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো একদম নয়।
- সবশেষে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কথা, মানুষ চিনতে তাড়াহুড়ো করবেন না (Do not rush to recognize people)। এতে আপনার পুরো জীবনটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বন্ধু শব্দটার মর্যাদা যারা দিতে পারে তারাই বন্ধু হওয়ার যোগ্য।
- যেকোনো সম্পর্কে একটা শ্রদ্ধা আর টান দরকার । সেটা কিন্তু শারীরিক বা অর্থনৈতিক নয়, কারণ এই জিনিসগুলো আজীবন থাকে না একটা সময়ের পর একটা বয়সের পর ম্লান হয়ে যায়। যেটা থেকে যায় সেটা বন্ধুত্ব শ্রদ্ধা।
মনের কথা বলার জন্য মনের কথা বোঝার একটা মন দরকার হয়। তিনি হতে পারেন আপনার মা-বাবা, বন্ধু ,স্পেশাল এক মানুষ হয়তো বা সন্তান বা বৌদি বা দাদা অনেক ক্ষেত্রে ননদ কিন্তু স্পেশাল টান থাকা দরকার। এ পৃথিবীতে সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাড়াহুড়োতে নয়, বরং সময় এর সাথেসাথে অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে। তাই আর বলবেন না, ” টাইম নেই দাদা”
আরো খবর পড়ুন-
- জীবনে ভাত আর বিরিয়ানির তফাৎটা বোঝেন? প্রয়োজন আর বিলাসিতা কে এভাবেই ব্যাখ্যা করা যায় না কি?
- সংসারে থেকে বিবেক বৈরাগ্য সম্পর্কে কোন ধারণা পোষণ করেন কি?
- কোথায় কখন কেমন পোশাক পরবেন এই নিয়ে কনফিউজ থাকেন? ঘাবড়াবেন না চোখ রাখুন এই প্রতিবেদনে
- বাবা মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে কেন মেনে নিতে পারেন না বেশিরভাগ সন্তান?
- আপনি কি মেয়েদের সঙ্গে কথা বলতে ভয় পান? বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গে আলাপ জমাতে লজ্জা লাগে?
- বাথরুম ব্যবহার করেন সবাই কিন্তু পরিষ্কার করেন কে? বাথরুমের দুর্গন্ধ কি অস্বস্তির কারণ?
- আপনি কি ইন্টারনেটের ERROR সমস্যায় জর্জরিত? 404 সংখ্যা ঠিক কেন দেখান হয় বলুন তো?
- আপনার বাড়ির গাছের ফুল চুরি হয়ে যাচ্ছে? কোনও ভাবেই চোর ধরতে পারছেন না?
- একা একা পড়াশোনা করতে সমস্যা হচ্ছে? আগে মনকে এক জায়গায় একত্রিত করুন, তারপর কেল্লাফতে!
- মোমবাতির আলোয় প্রেমের মোমেন্টস উপভোগ করেছেন? জীবনের অনেক কিছুই মিস করে গেছেন তাই না?