Breaking Bharat: পাকিস্তানের বধূ সীমা হায়দারকে চেনেন (Seema Haider)? ভারতে গুপ্তচর বৃত্তির জন্য ছদ্মবেশ নিয়েছিলেন তিনি? পাবজি থেকে প্রেম সেখান থেকে পরিকল্পনা করে ভারতের অন্দরে সীমা হায়দারকে প্রবেশ করানোর পেছনে কোন বড় প্ল্যানিং লুকিয়ে আছে? ক্রমশ বড় হচ্ছে শচীন সীমা বিতর্ক।
আমাদের দেশের গোপন তথ্য জানতে ভারতের গ্রামীণ মহিলাদের মত মেকাপ নিয়েছিলেন সীমা। এর জন্য পেশাদারের কাছ থেকে সাত পোশাক নিশ্চিত করেছিলেন এই পাকিস্তানি মহিলা। একটু অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই? হওয়াটাই স্বাভাবিক, কারণ ভারতে আসা পাক বধূ সীমা হায়দার আসলে কোন উদ্দেশ্য নিয়ে ভারতের প্রান্তিক মহিলাদের মতো সাজতে পেশাদার রূপটান এবং পোশাকশিল্পীদের সাহায্য নিয়েছিলেন, তা নিয়ে সন্দেহে রয়েছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা।
পাকিস্তানের বধূ সীমা হায়দার রহস্য:
এতক্ষণ ধরে যাকে নিয়ে কথা হচ্ছে সেই মহিলার সম্পর্কে কেন কথা সেটা একটু আপনাদের জানিয়ে দেওয়া যাক। সীমা হায়দার পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স মানে আইএসআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য এটিএস এবং ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর নজরে রয়েছেন।
ভারতের চিরশত্রু পাকিস্তানের আইএসআই প্রসঙ্গে আশা রাখি নতুন করে আর কিছু বলার নেই। জুলাই মাসের শুরুতেই অবৈধভাবে প্রবেশের জন্য সীমাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২২ বছর বয়সী প্রেমিক শচিন মীনার সঙ্গে থাকার জন্য মে মাসে নেপাল থেকে একটি বাসে চার সন্তানকে নিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন বলে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা কে জানান এই মহিলা।
তিনি যে আসলে গুপ্তচর হয়ে এসেছেন এই দেশে তার একটা ইঙ্গিত পেয়েছেন তদন্তকারীরা বলে মনে করা হচ্ছে।
একাধিক কথার মধ্যে সামঞ্জস্য পাওয়া যাচ্ছে না তার ওপর আবার বিভিন্ন ভাষার উপর সীমার দক্ষতা নিয়েও সন্দেহ জাগছে তদন্তকারী সংস্থাগুলির মধ্যে। নেপালে থেকে কেন? তাহলে কি পাকিস্তানি নির্দেশে গুপ্তচর বৃত্তির জন্য স্পেশাল ট্রেনিং?
আরো পড়ুন – ৩৫ বছর বয়স কি দুঃসহ নাকি অভিশপ্ত? কেন এই বয়সে পৌঁছলেই চাকরি চলে যায়?
গোয়েন্দা সূত্র বলছে, নেপালসীমান্তে মানব পাচার এবং যৌনপেশার সঙ্গে যুক্ত অনেক মহিলাই যে বিশেষ পদ্ধতিতে পোশাক পরিধান করেন সেই সম্পর্কিত খোঁজখবর নিয়েছিলেন সীমা। নেপালের দিক থেকে ভারতে প্রবেশ করার যে দিনের কথা গোয়েন্দাদের প্রশ্নের উত্তরে এই মহিলা জানিয়েছেন, সেই দিন ভারত-নেপাল সীমান্তের সুনাউলি এবং সীতামারি সেক্টরে তৃতীয় কোনও দেশের নাগরিকের উপস্থিতির বিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। সন্দেহ আরো জোড়ালো হচ্ছে।
আরো পড়ুন – আপনি কি স্কুলে শিক্ষকতা করতে চান? চল্লিশ হাজার পদে নিয়োগ হতে চলেছে জানেন?
প্রেমিক টানে পাকিস্তান ছেড়েছেন নাকি প্ল্যান করে তাকে ভারতে পাঠানো হয়েছে এই নিয়ে জল্পনা এবং তদন্ত ক্রমাগত বড় আকার নিচ্ছে। সংবাদ সূত্রে জানা যাচ্ছে পাকিস্তান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করার জন্য খুব স্বাভাবিকভাবেই সন্দেহের দায়রায় ‘পাক বধূ’ সীমা।
আরো পড়ুন – চন্দ্রযান-৩ এর বড় সাফল্য! দুটো কক্ষপথ পেরিয়ে এবার কি তৃতীয় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি রোভার?
তাঁর পরিচয় এবং ভারতে আসার উদ্দেশ্য ক্রমাগত সন্দেহ জাগাচ্ছে উত্তরপ্রদেশ এটিএসের মনে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর সঙ্গে সীমার প্রত্যক্ষ যোগ থাকতে পারে এবং বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই তাকে এই দেশে পাঠানো হয়েছে বলে অনুমান করছে এটিএস এবং আইবি।
সীমা বলছেন তিনি ধর্ম পরিবর্তন করেছেন এমনকি খাওয়া দাওয়া পরিবর্তন করেছেন শুধুমাত্র প্রেমিকের জন্য। আসল সত্যি কোনটা নাকি পুরোটাই নাটক। দেশের এজেন্সিগুলি ইতিমধ্যেই রেকর্ড এবং সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করেছে, বিশেষ করে সীমা এবং শচীনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সীমান্তের বাস রুটগুলির সন্ধান করেছে।
আরো পড়ুন – Lottery: প্রচুর মানুষ লটারিতে টাকা উপার্জন করছেন। কিন্তু এটা কী করে সম্ভব?
ভারতে কি কোন অবৈধ কাজের জন্য সীমা এসেছেন, আপাতত এই সব প্রশ্ন নিয়েই পাক মহিলা সীমা হায়দার ইন্টেলিজেন্স এর র্যাডারে রয়েছেন।