Breaking Bharat: ইলেকট্রিক স্কুটার বা বাইক কেনার আগে কোন কোন বিষয়ে মাথায় রাখা দরকার জানেন?
গতিময়তার যুগে গতির সঙ্গে পাল্লা দিতে এখন আর পায়ে হেঁটে চলার উপর ভরসা করলেই শুধু চলে না তার সঙ্গে দরকার দু চাকা বা চার চাকা। বিষয়টা আর বিলাসিতায় নেই এখন প্রয়োজনের পর্যায়ে চলে গেছে। পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে আর লোকে এই পেট্রোল ডিজেল চালিত গাড়ি কেনার কথা ভাবছেন না (Which scooty is best in electric?)।
সংসারের বাজেট যদি পেট্রোল শুষে নেয় তাহলে জীবন কি করে চলবে? অবস্থা ইলেকট্রিক স্কুটারের দিকেই আগ্রহ বাড়ছে। কিংবা বিশেষ কোন উৎসব এখন এই ধরনের দু’চাকা কেনার প্রতি একটা আগ্রহ বাড়ে। আপনি হয়তো ভাবছেন এবার ‘ইলেকট্রিক স্কুটার‘ কিনবেন।
রাস্তাঘাটে এই ধরনের গাড়ির সংখ্যাটা কিন্তু বেশ বেড়েছে । তবে অনেকেই ইলেকট্রিক স্কুটার কেনার জন্য কোন কোন বিষয়ে নজর রাখা দরকার সেটা প্রাথমিকভাবে জানেন না। তাই পরবর্তীতে গিয়ে বড্ড সমস্যায় পড়েন। দুই চাকা কেনার জন্য কোন কোন জিনিস জানতেই হবে আপনাকে?
ইলেকট্রিক দ্বিচক্রযান কেনার ব্যাটারি আপনি যদি শতাংশ নিশ্চিত হয়ে থাকেন তাহলে কোন বিভ্রান্তির মধ্যে পড়বেন না। সাময়িকভাবে বাজেট একটু কম করার জন্য এমন অফারে পা গলাবেন না যেখানে পরবর্তীতে গিয়ে খরচ কমার বদলে বেড়ে যেতে পারে। প্রথমেই মাথায় রাখুন যে আপনি যে ‘ইভি বা ইলেকট্রিক ভেইকেলটি‘ কিনেছেন বা কিনতে চলেছেন তাতে চার্জ দেওয়ার কী সুবিধা আছে।
মানে যদি দেখেন চার্জ দেওয়ার জন্য স্কুটির ব্যাটারি খুলে বাড়ি নিয়ে এসে সেটাকে চার্জ দিতে হবে তাহলে এরকম গাড়ি না কেনাই ভালো। এক্ষেত্রে বলবো রিমুভেবল ব্যাটারি চালিত স্কুটি নিন। হিরো কোম্পানি ছাড়াও অন্যান্য দু’একটা সংস্থার এমন মডেল বাজারে আছে যা আপনাকে এই সুযোগ দেবে। তবে সিদ্ধান্ত আপনি নেবেন। কোনও কোম্পানির হয়ে বিজ্ঞাপন করা আমাদের প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য নয়।
আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে আপনি ইলেকট্রিক স্কুটার কতটা চালাবেন মানে সারাদিনে কত কিলোমিটার যেতে হবে আপনাকে। এক চার্জে ১০০ কিলোমিটার বা তার বেশি চলতে পারে এমন স্কুটার সহজেই পেয়ে যাবেন। সাধারণত বাড়ির আশেপাশে টুকটাক কাজের জন্য গাড়ি নিলে ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটারের বেশি যাতায়াতের প্রয়োজন হয় না।
আপনার যদি ৮০-৯০ কিমি রেঞ্জ প্রয়োজন হয়, তা হলে কোটার কেনার আগে অবশ্যই দেখে নেবেন তিন কিলোওয়াটের ব্যাটারি প্যাক আছে কি না। যদি ১০০ কিমির বেশি চান, তা হলে মিনিমাম চার কিলোওয়াট ব্যাটারি প্যাক আপনার জন্য আদর্শ। এক্ষেত্রে বলে রাখা দরকার যে এক চার্জে আপনি কতটা দূর যাবেন মানে যেতে পারবেন সেটা অনেকটাই নির্ভর করছে আপনার চালানোর ধরণের উপর।
ইলেকট্রিক স্কুটার কে হালকা রাখার জন্য প্লাস্টিক ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে। কিন্তু মেটালিক বিল্ডের স্কুটি খোঁজার চেষ্টা করুন, গাড়িটা তো ভারি হবে তত তার উল্টে যাওয়া সম্ভাবনা কম। সাময়িকভাবে আপনার কষ্ট হতে পারে কিন্তু গাড়ি চালাবার সময় ব্যালেন্স ঠিক রাখতে সাহায্য হবে।। দেখবেন অনেক সময় দাম কম রাখার জন্য হাব মোটর ব্যবহার করা হয়।
এই মোটর টায়ারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করা থাকে যা ব্যবহার করলে ভরকেন্দ্র পেছনে চলে যায়। এতে ব্রেক ডাউন গরম হয়ে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে। তবে এক লক্ষ টাকার কমে যদি আপনি ইলেকট্রিক ভেহিকেল নিতে চান তাহলে এত না ভাবলেও চলবে। কিন্তু বেশি টাকা দিয়ে যদি কিনতে চান তাহলে মিড ড্রাইভ মোটর খুঁজুন।
আরো পড়ুন – Data Pack: নেট কার্ড ভরতেই দ্রুত মোবাইলে ডেটা শেষ হয়ে যাচ্ছে? ডেটা খরচ বাঁচাবেন কি করে জানেন?
যত বেশি ফিচার তত বেশি দাম তাই দেখে নিন প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্য গুলো আছে কিনা তাহলেই আপনার কাজ চলে যাবে। চমকে ভুলে লোকসান করবেন না। কুটার কিনলে তার সার্ভিস সেন্টার সম্পর্কে আগে থেকে খোঁজ নেবেন তা না হলে এটার জন্য অতিরিক্ত খরচ এবং সময়ে দিতে হবে আপনাকে।
আরো পড়ুন – SearchGPT: চিন্তা বাড়ছে গুগলের! একচেটি আধিপত্য কমার আশঙ্কা, কিন্তু কেন?
আপনি নিশ্চয়ই জানেন পেট্রোল চালিত গাড়ি থেকে ‘ইলেকট্রিক মানে ব্যাটারি চালিত স্কুটারের দাম‘ একটু হলেও বেশি। আপনার এলাকায় যে সংস্থার গাড়ি কিনছেন তার সার্ভিস সেন্টার আছে কিনা এবং প্রয়োজন তারা সার্ভিস দেয় কিনা সেগুলো যাচাই করে তবে দামের দিকে এগোনো ভালো। আপনার স্কুটার দুজন মেয়ের জন্য নাকি তিন জন এগুলো জেনে নিন।
আরো পড়ুন – ভাইরাল উরফি জাভেদের জীবনযাত্রা নিয়ে কৌতুহল আছে? কত টাকা উপার্জন করেন মডেল?
তা না হলে ট্রাফিক আইন সংক্রান্ত সমস্যাতেও পড়তে পারেন। ইলেকট্রিক স্কুটির জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ব্যাটারি। তাই দেখে নিন সেটার জন্য কতটা ওয়ারেন্টি পিরিয়ড হয়েছে। এই ধরনের গাড়ি চালাতে কোন লাইসেন্স লাগে না। কিন্তু ৫-৭ বছর পর ব্যাটারি পাল্টাতে অনেকটাই খরচ হয়ে যায়। তাই ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেবেন।