Breaking Bharat : ভোজন রসিক বাঙালি— শব্দদুটি একে অন্যের পরিপূরক (Mustard Oil – olive oil)। এমনটাই মনে করা হয়। বলা ভাল, বাঙালি মানেই কবজি ডুবিয়ে খাওয়া দাওয়া— এমনটাই শোনা যেত। এখনও শোনা যায় বটে, তবে আজকাল লাইফস্টাইলে যে বদল এসেছে, তাতে স্বাস্থ্যের কথা ভেবে ভেবেই বাঙালির খাওয়া লাটে।
শুধু মাপজোখ করে খাওয়া দাওয়াই নয়, কী খাবেন, কখন খাবেন— এমন হাজারও প্রশ্নের ভারে চাপা পড়ে গেছে বাঙালির খাবারের পাত। তার ওপর রান্নার তেলের ব্যবহার নিয়েও নাক সিঁটকানোর ছবিও বাঙালিদের মধ্যে আজকাল চোখে পড়ে। তবে রান্নার ক্ষেত্রে সর্ষের তেল (Mustard oil for cooking) না অলিভ অয়েল (Olive oil), এই নিয়েও দ্বিধাবিভক্ত বাঙালি। অলিভ অয়েলের ব্যবহার আজকাল বাড়লেও পুষ্টিবিদরা যা বলছেন, তা শুনলে অবাক হবেন অনেকেই।
স্বাস্থ্য নিয়ে আজকাল মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে । তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে ভালর বদলে নিজেদের ক্ষতিই ডেকে আনেন অনেকে। রান্নায় তেল ব্যবহারের (Use oil in cooking) ক্ষেত্রেও একই ঘটনা চোখে পড়ে। অনেকে তো এমনটাও মনে করেন, রান্নায় তেল একেবারে না ব্যবহার করাই ভাল।
রান্নায় কতটা তেল দেবেন? এই নিয়েও ধন্দ দেখা যায় অনেকের মনে। অথচ পুষ্টিবিদরা এই বিষয়ে জানিয়েছেন, রান্নায় তেল একেবারে বাদ না দেওয়ার পক্ষেই তাঁরা। অর্থাৎ সামান্য পরিমাণ তেল অবশ্যই দরকার রান্নায় (Oil is definitely needed in cooking) এবং যা স্বাস্থ্যসম্মত। তবে অতিরিক্ত কখনওই নয়।
আরো পড়ুন- ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে বুঝবেন কিভাবে? ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে আপনার সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন ?
কিন্তু এ তো গেল রান্নায় কতটা তেল ব্যবহার করবেন, সেই প্রশ্নের সুরাহা। কিন্তু কোন তেল ব্যবহার করবেন? এক্ষেত্রে সর্ষের তেল ও অলিভ অয়েলের (Mustard oil and olive oil) মধ্যে রীতিমতো রেষারেষি। এককালে বাঙালি চোখ বন্ধ করেই সর্ষের তেলে ভরসা রাখত। কিন্তু ইদানীংকালে অলিভ অয়েলের ব্যবহার বেড়েছে।
অলিভ অয়েলের প্রতি বাঙালির এই আগ্রহ যে ভাবনা থেকে, তার মধ্যে অন্যতম হল এই তেলে কোলেস্টেরল কিছুটা কম যাবে শরীরে। তাই আজকাল মাছের ঝোল কিংবা পাঁচ মিশেলি তরকারিতেও অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে দেখা যায়।
আরো পড়ুন- টিকা আর ভিটামিন ডি। এই দুইয়ে মিলে করোনাকে ঠেকানো যায় কিনা তার গবেষণা করছেন গবেষকরা
কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন অন্য কথা। তাঁদের কথায়, সর্ষের তেলে নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে (Mustard oil contains a variety of anti-oxidants)। যা শরীরের জন্য উপকারী। এছাড়াও সর্ষের তেলে নানা ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা হৃদ্যন্ত্রের জন্য উপকারী। তবে অনেকে বলেন, সর্ষের তেল খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে। কথাটা একেবারেই ঠিক।
এক্ষেত্রে যে বিষয়টি অনেকেই জানেন না, তা হল কোলেস্টেরল দু’প্রকার। আর সর্ষের তেলে ওই দুইয়ের মধ্যে গুড কোলেস্টেরলের পরিমাণই বেশি। ব্যাড কোলেস্টেরল তেমন থাকে না বললেই চলে। সর্ষের তেলে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডও থাকে অনেক। সবদিক বিচারে পুষ্টিবিদদের মত, অলিভ অয়েলের চেয়ে রান্নায় সর্ষের তেল খাওয়াই স্বাস্থ্যকর।