Breaking Bharat: দেবদাস উপন্যাস হোক বা সিনেমার চরিত্রই হোক ট্রাজিক হিরো দেবদাসের কথা কে না জানে । আজও দেবদাস গল্প পড়লে মানুষের মন কেঁদে ওঠে । লেখনশৈলী এবং কাহিনীর প্লট মানুষের মনকে ছুঁতে বাঁধ্য করে । উপন্যাস পড়তে ভালোবাসেন না , কিন্তু দেবদাস সিনেমা দেখেননি এমন মানুষ মেলা ভার (Devdas is a Bengali novel)
লেখক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৬ সালে ১৫ই সেপ্টম্বর দেবানন্দপুরে জন্মগ্রহণ করেন ।লেখকের কলমে বেদনা ভরা উপন্যাস থেকে শুরু করে ত্রিকোণ প্রেমের কাহিনী অত্যন্ত জনপ্রিয় ।
বর্তমানে তার ব্যবহৃত জিনিস সংরক্ষন করা রয়েছে একটি জাদুঘরে । তাঁর লেখা বিখ্যাত রচনাগুলো হল গৃহদাহ, শ্রীকান্ত, চরিত্রহীন, দেনপাওনা, পথের দাবী প্রভৃতি ।তাঁর রচিত সাহিত্য কর্ম বর্তমান দিনেও সিনেমা ও সিরিয়াল গুলিতে সমানতালে জনপ্রিয়তা অর্জন করে চলেছে ।
লেখকে নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে এক মজার ঘটনা উল্লেখ না করলেই নয় । ‘চরিত্রহীন ‘ প্রকাশ হওয়ার পরেই রীতিমতো বাজারে বাজিমাত করে বইটি ।
শুরু হয় লেখককে নিয়ে বিভ্রান্তি । নানান আলোচনা এবং সমালোচনা শুরু হয় ।তারপর পরপর লেখক প্রকাশ করেন ‘চাঁদমুখো, হীরের দুল এবং শুভলগ্ন রচনা । শুরু হয় পাঠকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ।অনেকে তো মনে করেন সমকালীন সময় দুজন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রয়েছে ।
একদিন এ আড্ডায় লেখকের বন্ধু মজার ছলে জিগেশ করেন , বাংলায় শরৎ এখন দুজন তাহলে আপনি কোন জন ? উত্তরে লেখক বলেন ‘আমি চরিত্রহীন শরৎচন্দ্র”।নিজের নামের সাথে চরিত্রহীন বিশেষণটা এদিনের পর থেকে আশেপাশের রীতিমত ছড়িয়ে পড়েছিল ।এরকম নানান মজার টুকরো কথা রয়েছে লেখকের জীবনে ।