Breaking Bharat: সমুদ্র মানেই বিশাল বড় বড় ঢেউ! কিন্তু এত ঢেউ সমুদ্র পায় কোথা থেকে? সমুদ্রে বেড়াতে ভালোবাসেন? আচ্ছা সাগরের সবথেকে আকর্ষণীয় কোন ব্যাপারটা বলুন তো? ঘুরতে বেড়াতে সকলেই ভালোবাসেন। একজন মানুষের একেক রকমের পছন্দ হয়। কেউ ভালবাসেন পাহাড় কেউ আবার জঙ্গল কেউ আবার সমুদ্র।
প্রতিটা জায়গার বিশেষ বিশেষ আকর্ষণ আছে। আজকে কথা বলি সমুদ্র নিয়ে। সমুদ্র মানেই বিশাল বড় বড় ঢেউ যার এপার থেকে ওপারে চলে যাওয়া অথচ পাড় না খুজে পাওয়া।
কিন্তু এত ঢেউ সমুদ্র পায় কোথা থেকে?
জলের অপর নাম জীবন। এই পৃথিবীতে তিন ভাগ জল এক ভাগ স্থল। বুঝতেই পারছেন জলের গুরুত্ব ব্রহ্মাণ্ড জুড়ে ঠিক কতটা। নীল নীল জলরাশি পাড়ের এক প্রান্তে বসে দেখতে দেখতে মন ভরে যায়। অন্যপ্রান্ত টা হয়তো অজানা অচেনা, অন্য কোনও দেশ বা মহাদেশ।
সমুদ্রের জলে বিশাল বিশাল দৈত্যাকার ঢেউ দেখতে পাওয়া যায়। সেটা দূর থেকে দেখতে যতটাই সুন্দর কাছে গেলেই ততটাই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। সবথেকে অবাক করার মতো বিষয় হলো ঢেউ যেন শেষ হতেই চায় না। সমুদ্র কে মাঝে মাঝে জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছে হয় হে সমুদ্র এত ঢেউ তুমি কোথা থেকে পাও?
আপনিও সহমত তো? সবকিছুর পিছনে যেমন বিজ্ঞান আছে, তেমন এই রহস্যের উদঘাটনও এবার বিজ্ঞানের সাহায্য নিয়ে করে ফেলা যাক (Where does the sea get so many waves?)।
সমুদ্রে এত বড় বড় ঢেউ আর এত অবিরাম ঢেউয়ের অন্যতম কারণ বায়ুর গতিবেগ। আমরা জানি পৃথিবীর কোন অংশই বাতাস শূন্য থাকতে পারে না। এই বায়ু আসলে একটা শক্তি। যেমন স্থলভাগে বায়ু চলাচল করে, জলভাগেও একইভাবে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে বাতাস বয়ে যায়।
আর সমুদ্রের জলের ওপর দিয়ে যখন সে যায়, তখন কিছুটা শক্তি সমুদ্রের জলে ট্রান্সফার করে দেয়। এবার সমুদ্রের জলের উপরের দিকের যে জলকণা থাকে তা এই বায়ুর গতিবেগের কারণে সামনের দিকে এগোতে থাকে। এটা কিন্তু একেবারে সরল সোজা রেখা মিনি হয় না বরং কিছুটা গোলাকার পথে ঘটতে থাকে।
মানে ঠিক যেরকম করে সার্কেল তৈরি হয়, অর্থাৎ নিজের জলের অংশ পড়ে এলো তারপর উপরের জলের অংশ নীচে গেল এইরকম গোল গোল পদ্ধতিতে এই জলস্তর সামনের দিকে এগিয়ে যায় অর্থাৎ পাড়ের দিকে। এবার আপনি জিজ্ঞাসা করতেই পারেন যে বায়ু এত শক্তিশালী কী করে হয়?
আরো পড়ুন – Instagram: ইনস্টাগ্রামে অ্যাকাউন্ট খুলে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার সঠিক উপায় জানেন?
এই উত্তরটাও কিন্তু ছোটবেলার সিলেবাসেই লেখা আছে। ভৌগোলিক হিসেবে সূর্যের তাপ পৃথিবীর বিষুবরেখার দিকে বেশী, আবার মেরুর দিকে তুলনামূলকভাবে কম। ফলে তাপের অসাম্যতা থেকেই বায়ু প্রবাহ তৈরি হয়। বাতোষ গরম হলে ওপরের দিকে উঠে যায় নিজের অংশ ফাঁকা হলে শূন্যস্থান পূরণ করতে ঠান্ডা বায়ু ছুটে আসে। এর ফলেই বায়ু প্রবাহ হয়। ঢেউ এর প্রসঙ্গে আবার ফিরে আসি।
আরো পড়ুন – পরকীয়ার সঙ্গে জড়িয়ে গেছে যৌন সম্পর্ক? এটা কতটা ঠিক কতটা ভুল?
যখন জলকনার সরণ ঢেউয়ের অভিমুখ যেদিকে থাকে তার সঙ্গে লম্বভাবে অবস্থান করে তখনই ট্রান্সভার্স ওয়েভ তৈরি হয়। সমুদ্রের ঢেউটা একদম সেটাই। এবার আপনার মনে ঢেউয়ের পারে এসে ভেঙ্গে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন আসতে পারে । অর্থাৎ বড় বড় ঢেউ কেন পাড়ে গিয়ে আছড়ে পড়ে?
বোঝা দরকার যে ঢেউ যখন পাড়ের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে, তখন পাড়ের নিকটবর্তী এলাকার তলদেশের গভীরতা কমে যায়। এই কারণে জন্য ঢেউয়ের প্রকৃতির পরিবর্তন হয় এবং ছন্দপতন হয়ে জলস্ফীতির গতি কমে আসে ।
আরো পড়ুন – বাংলাদেশে বসবাস রোহিঙ্গাদের! এই রোহিঙ্গা সমস্যা কতটা প্রভাব ফেলবে বাংলাদেশে?
এর ফলে ঢেউয়ের চূড়া নিচের অংশের গতির সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে না পেরে ভেঙ্গে পড়ে। সমুদ্রে ঢেউ সৃষ্টির পিছনে মূলত জোয়ার -ভাটার অবদান থাকে। চাঁদের তীব্র আকর্ষণের কারণেই জলের ফুলে ফেঁপে ওঠ আর তা থেকেই ঢেউয়ের জন্ম।