Breaking Bharat: নিজের সন্তানদের মুখে কেন মুখোশ পড়াতেন মাইকেল জ্যাকসন (Michael Jackson)? টপ পপ স্টার মাইকেল জ্যাকসন আজও কেন গবেষণার বিষয় জানেন? আজকে কথা বলছি মাইকেল জ্যাকসন কে নিয়ে। তাকে ঘিরে প্রশ্ন আর অনন্ত জিজ্ঞাসা কোন কিছু যেন শেষ হতে চায় না।
সেলিব্রেটি অনেকেই হয়, কিন্তু সবাই তারকা হতে পারেন না। একজন মানুষ যিনি সারা বিশ্বের মন জয় করে নিয়েছিলেন, তার চলে যাওয়া আজও মেনে নেওয়া যায় না। একজন মানুষ যিনি চলে গেছেন প্রায় এক যুগ আগে তবু তার সুরে বিভোর আপামর বিশ্ববাসী।
পপসম্রাট মাইকেল জ্যাকসন কথাটা বললে একরাশ তথ্য যেন চোখের সামনে ভিড় করে। একাধারে গীতিকার, নৃত্যশিল্পী ও অভিনেতা, গোটা বিশ্বকে এক নতুন ধরনের মিউজিকের সঙ্গে নতুন ধরনের স্টাইল এর সঙ্গে পরিচয় করিয়েছিলেন তিনি। ১২ বছর পরেও এখনও তাঁকে নিয়ে বিশ্বের অগণিত মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। এটাই প্রমাণ করে দেয় যে তিনি অনন্য।
মাইকেল জ্যাকসনের কনসার্ট মানে এক আলাদা অনুভূতি:
জীবনে একের পর এক পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। লক্ষ লক্ষ সিডি ক্যাসেট বিক্রি হয়েছে তার। ১৯৮২ সালে তাঁর ‘বিলি জিন’, এবং তারপর ‘থ্রিলার’ – জনপ্রিয়তার কতটা শিখরে তাকে পৌঁছে দিয়েছিল সেটা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। তিনি পেয়েছিলেন ১৫টি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড।
থ্রিলার অর্থাৎ ১৪ মিনিটের মিউজিক ভিডিও তৈরি করতে সেই সময় দাঁড়িয়ে খরচ হয়েছিল প্রায় পাঁচ কোটি ডলার। তবে মাইকেল জ্যাকসনের কনসার্ট মানে এক আলাদা অনুভূতি (A Michael Jackson concert means a different feeling)। জাগতিক ভাবনা থেকে যখন আপনি অনেক দূরে, ঠিক যেন এক অন্য পৃথিবীর গল্প বলে যায় মাইকেলের কনসার্ট।
কনসার্ট করার জন্য বরাবরই মুখিয়ে থাকতেন মাইকেল। ১৯৯২ সালে ‘দ্য ডেনজারাস ওয়ার্ল্ড ট্যুর’ করেছিলেন প্রায় পাঁচ মাস ধরে। মাইকেলের বিরূদ্ধে যৌন অত্যাচার করার নোংরা অভিযোগও উঠেছে। এই নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবে সেই ছবি দেখান হয়েছিল। শিশু নির্যাতনের অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি।
অথচ শিশুদের প্রচন্ড ভালবাসতেন পপ স্টার। আসলে নিজে সারা শৈশব জুড়ে সহ্য করেছেন অনেক কিছু। ছোটবেলা সেভাবে উপভোগ করতে পারেন নি। কারণ সঙ্গীতের মূর্ছনায় ব্যস্ত ছিল শৈশব। সেই জন্যই তিনি সবার থেকে আলাদা। তা না হলে কি মাত্র পাঁচ বছর বয়সে সংগীতের মহাযজ্ঞ শুরু করতে পারে একটা শিশু?
তার জীবনের সব তথ্যই সবার কাছে জানা। মাইকেল জ্যাকসন’এর জন্ম ১৯৫৮ সালের ২৯শে অগাস্ট। তিনি এক আফ্রো-অ্যামেরিকান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ৷ বাবা ছিলেন জো জ্যাকসন । তিনি সংগীতের অনুরাগী ছিলেন।
আরো পড়ুন – Menstruation : শারীরিক সম্পর্কে মাসিক কি বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে? কোন সময় সহবাস করা নিরাপদ?
পাঁচ ছেলেকে সংগে নিয়ে ‘দ্য জ্যাকসন ফাইভ’ নামের এক গানের দল করেছিলেন তিনি ৷ সেই গ্রুপে সব থেকে কম বয়সী ছিলেন মাইকেল। কেউ ভাবতেই পারিনি, ছোট্ট ছেলেটাকে কী মারাত্মক কাণ্ড ঘটাতে পারে। শুধু গান গেয়ে মন জয় করা নয়। পাশাপাশি মন কেড়েছিলেন তাঁর নাচের স্টাইলেও।
মাইকেল তার সন্তানদের মুখে মুখোশ পরিয়ে রাখতেন?
না এরপর আর তাঁকে আটকে সম্ভব হয়নি গোটা বিশ্বের পক্ষে। অনুরাগীদের ভালোবাসায় তিনি সুপার স্টার। ভুললে চলবে না তিনিই একমাত্র পপ ও রক অ্যান্ড রোল সিঙ্গার (Pop and rock and roll singer), যিনি ‘ড্যান্স হল অফ ফেম’ সম্মান পেয়েছেন। ভাবতে অবাক লাগে যে শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল মাইকেল জ্যাকসনের বিরুদ্ধে।
আরো পড়ুন – Broom : ঝাড়ু মেরে ময়লা বিদায় করুন, তবে নিয়ম না মেনে ঝাঁটা বিদায় করবেন না যেন!
অথচ এই মানুষটা সমাজ সেবায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ছোট ছোট শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘হিল দ্য ওয়ার্ল্ড’৷ তিনি বুঝেছিলেন বাচ্চাদের ভালো রাখা কত দরকারী। মাইকেল খুব ভাল বাবা ছিলেন। সন্তানদের দারুণ ভালোবাসতেন তিনি । নিজের সবটুকু শক্তি আর সামর্থ্য দিয়ে তাদের আগলে রাখতেন।
আরো পড়ুন – Ratan Tata : শিল্পপতি নয়, নিজেকে ভালো মানুষ হিসেবে ‘রতন টাটা’ প্রমাণ করতে চান!
আপনি জানেন সন্তান যখন ছোট ছিল তখন মাইকেল তার সন্তানদের মুখে মুখোশ পরিয়ে রাখতেন (Michael used to put masks on his children’s faces)। এটা অবশ্যই বাইরে কোথাও ঘুরতে বেড়াতে গেলে। আসলে তিনি চেয়েছিলেন তারকার সন্তান হিসেবে নয় আর চার পাঁচটা সাধারণ বাচ্চার মতই শিশু অনুভূতি আর অভিজ্ঞতা নিয়ে বড় হোক তার সন্তান।
মাইকেল জ্যাকসনের জীবন নিয়ে আজও গবেষণা হয় (Michael Jackson’s life is still researched today)। তার স্মৃতি বিজড়িত জিনিসগুলি ছুঁয়ে দেখেন তার অনুরাগীরা। শিল্পী চলে যায় কিন্তু শিল্প থেকে যায় মরণের পরেও।