Breaking Bharat: মহিলাদের অভিযোগ ‘পুরুষেরা অগোছালো এবং অপরিচ্ছন্ন হয়’ ? অর্থাৎ নোংরা শব্দটার সঙ্গে পুরুষের নাকি যোগ আছে। এটা কি সত্যি? পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা একটা শিল্প বটে! তাই নিজের দেহকে অপরিষ্কার রাখা কি উচিত?
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা মানে জীবন টাকে সুন্দরভাবে দেখা। নোংরা কোন কিছুই পছন্দের হতে পারে না তা সে জিনিস হোক বা মানসিকতা। আবার এটাও ঠিক কথা যে এর সঙ্গে রুচির ব্যাপারটাও জড়িয়ে আছে। আপনি হয়তো জানলে অবাক হবেন যে আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ আছেন যারা নিজেদের পরিষ্কার রাখতে পছন্দ করেন না।
‘নোংরা’ শব্দটার সঙ্গে পুরুষের নাকি যোগ আছে?
এই তালিকায় পুরুষ নারী উভয়ই আছে। কোন অঙ্গ কে পরিষ্কার করতে চান বা না চান এই নিয়ে আলোচনা করতে গেলে প্রতিবেদন দীর্ঘায়িত হবে। কিন্তু বেসিক কিছু ব্যাপার না জানালেই নয়। মহিলাদের চিরকালীন অভিযোগ যে পুরুষেরা অগোছালো এবং অপরিচ্ছন্ন হয়।
অর্থাৎ ‘নোংরা’ শব্দটার সঙ্গে পুরুষের নাকি যোগ আছে। ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না আমরা যা উঠে আসে সমীক্ষার পর সেই প্রেক্ষিতটাই তুলে ধরলাম। চলুন বিস্তারিত জানা যাক।
অনেকের মধ্যেই তাড়াতাড়ি কাজ সেরে ফেলার একটা প্রবণতা থাকে। এটা করতে গিয়ে বেসিক হাইজিনের ব্যাপারটা তাদের মাথা থেকে উড়ে যায়। এটা ছেলেদের ক্ষেত্রে বেশ বেশিই হয়। ফলে এমন অনেক অঙ্গ থেকে যায় যেখানে ময়লা জমতে থাকে অর্থাৎ নোংরা ঠিকমতো পরিষ্কার হয় না।
এবার সমস্যাটা হল এটা এতটাই ব্যক্তিগত একটা বিষয় যে আপনি সবসময় এটা নিয়ে কথা বলতেও পারবেন না। লোকসমাজে চক্ষু লজ্জার ভয় থেকেই যায়। অথচ খুব স্বাভাবিক একটা ঘটনা প্রত্যেকটা মুহূর্তে চোখের সামনে ঘটে। আর সেই নিয়েও গবেষণা করতে হয় বিজ্ঞানীদের। আমরা এক এক করে তালিকা বলছি দেখুন তো মিলছে কিনা।
সব থেকে বেশি ময়লা জমে নখের মধ্যে:
আপনি কি জানেন ‘সব থেকে বেশি ময়লা জমে নখের মধ্যে’! ঠিকমত যদি নখ পরিষ্কার না করা হয়, তাহলে সেই ময়লা অনায়াসে জীবাণু সৃষ্টি করে পেটের ভেতর চলে যেতে পারে।
এত ভেবে দেখুন যে খাবারটা খাচ্ছেন সেখানে যদি নোংরা পড়ে সেটা আপনি খান না অথচ নখের মাধ্যমে ময়লা খাবারের সাথে মেখে সোজা পেটে চলে যাচ্ছে তাহলে সেটা কতটা অস্বাস্থ্যকর। কিন্তু নিয়ম করে প্রত্যেকটা দিন দুবেলা ‘নখ পরিস্কার’ করেন কজন আর বিশেষত ছেলেদের তো এই কাজে বিশেষ অনীহা।
করোনা কালে বলা হয়েছিল বারবার হাত ধোয়ার কথা সেই নিয়মটা এখনো মানার চেষ্টা করুন ,তাতে লাভ হবে । আর ভালো করে নখ কুচলে ময়লা বের করে নেবেন।
ছেলেদের কানের মধ্যে ময়লা:
‘কানের মধ্যে ময়লা‘ কম বেশি সকলেরই দেখা যায়। অথচ পরিষ্কার করার তাগিদ কারোর নেই। ব্যাপারটা এমন যেন ওই অঙ্গ নিয়ে তো কারোর মাথাব্যথা নেই সুতরাং ওটাকে অপরিষ্কার রাখলেও চলে। বিশেষ করে ছেলেদের মধ্যেই মানসিকতা ভীষণ দেখা যায়।
‘নিয়ম করে কানের ভিতরে এবং বাইরের অংশ পরিষ্কার করুন’। কানের ভিতরে সিবেসিয়াস গ্রন্থির মতো একাধিক গ্রন্থি থাকে, যার থেকে প্রতিমুহূর্তে ক্ষরণ হতে থাকে । ফলে বাড়তে থাকে ময়লা জমার আশঙ্কা।
হাতের কনুই এর মধ্যে ময়লা জমতে পারে:
আপনি কি জানেন ‘হাতের কনুই এর মধ্যে ঠিক কতটা পরিমাণে ময়লা জমতে পারে‘? আসলে এটা দেহের এমন একটি অংশ যা বিভিন্ন স্থানে ঘষা লাগে এবং প্রায়ই উন্মুক্ত থাকে।
আরো পড়ুন – ইঁদুর আপনার পিছু ছাড়বে না! তাহলে ‘বাড়ি থেকে ইঁদুর তাড়ানোর উপায়’ জেনে নিন
খালি ময়লা লাগা বা নোংরা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যতটা যত্ন নিয়ে হাত সাবান দেয়া হয় কনুইয়ের দিকেও কি ততটা খেয়াল থাকে?
আরো পড়ুন – কৃষকরা চাষের জমিতে অন্তর্বাস পুঁতে রাখেন! অন্তর্বাস পুঁতলে নাকি জমির উর্বরতা বাড়ে?
গোপনাঙ্গের আশপাশের দীর্ঘ ক্ষণ ঘাম:
এবার আসি গোপনাঙ্গের কথায়। এটা কিন্তু একেবারে আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার তাই পরিষ্কারের দিকটা নজর রাখতে হবে শাস্তির কথা ভেবেই। মনে রাখবেন ‘গোপনাঙ্গের আশপাশের দীর্ঘ ক্ষণ ঘাম জমে থাকলে হতে পারে ছত্রাকের সংক্রমণ’।
আর পুরুষ হোক বা নারী গোপনাঙ্গ অত্যন্ত স্পর্শকাতর এক স্থান। সে ক্ষেত্রে যদি সমস্যা বাড়ে হয়তো বা ডাক্তারের কাছে যেতেও আপনি দ্বিধাবোধ করবেন আর তা থেকে মারাত্মক কিছু ঘটে যাবে। তাই আগে থেকেই সচেতন হোন।
পুরুষদের ঘাড়ে ময়লা জমার প্রবণতা:
‘পুরুষদের ঘাড়ে ময়লা জমার একটা প্রবণতা দেখা যায়‘। নজর দেওয়া দরকার। নাহলে শটের কলার তো নষ্ট হবেই পাশাপাশি প্রেজেন্টেশন টাও উড়ে যাবে। নাভি নিয়মিত পরিষ্কার না করলে কিন্তু বড়সড়ো ঘা হতে পারে। আর মাথায় রাখবেন নাভিতে যেন জল না জমে থাকে সেটাও বিপদের।
আরো পড়ুন – internet addiction: ইন্টারনেটের নেশা থেকে বাঁচতে এইগুলো মেনে চলুন।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে ভালো সুস্থ থাকা যায় যেটা আপনার এবং চারপাশের জন্য মঙ্গলময় । তাহলে একটু চেষ্টা আজ থেকে করে দেখলে হত না?