Breaking Bharat: গরমে শরীর অস্থির লাগছে! তাহলে এই ‘তীব্র গরমে আচমকা অসুস্থ’ হয়ে পড়লে কি করবেন? বাইরে বাড়ছে গরম, হাওয়া অফিস বলছে ‘তীব্র দহন জ্বালা’ সহ্য করতে হবে সকলকে। সব থেকে বড় সমস্যার জায়গা হল এই ‘গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা’ বেশ বাড়ছে (get sick in the heat)।
শরীরের তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে তীব্র গরম এবং এসির ঠান্ডার মধ্যে ব্যালেন্স করা সমস্যার হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিজ্ঞান বলে, প্রচন্ড ঠান্ডা কিংবা প্রচন্ড গরম যাই হোক না কেন মানুষের শরীরের নিজস্ব প্রক্রিয়া তার নির্দিষ্ট তাপমাত্রা কে ৩৭.৫° সেন্টিগ্রেডে রাখতে চায়।
তীব্র দহন জ্বালা আর সহ্য হয়না:
কিন্তু বিগত কিছু সময় ধরে যেটা চরম হারে বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই শরীর অসুস্থ হবার সম্ভাবনা প্রবল বাড়ছে।। সূর্যের তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মূল তাপমাত্রা নির্দিষ্ট মাত্রায় ঠান্ডা রাখার জন্য শরীরকে অনেক বাড়তি পরিশ্রম করতে হয়।
দেখবেন শরীর থেকে ক্রমের তাপের মাধ্যমে বেরিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কাজটা মোটামুটি সহজ নয় কারণ অতিরিক্ত গরমে ব্যালেন্স করে চলার মানে শরীরকে বাড়তি পরিশ্রম করতে হয়। এই অবস্থায় একাধিক সমস্যা আপনাকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। আপনার বয়স যদি ১০ বছরের নিচে কিংবা ৬০ বছরের হয় তাহলে বিষয়টিকে হালকা ভাবে নেবেন না।
তীব্র গরমে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে:
পরিবেশের তাপমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে কাজ করতে গেলে ত্বকের নিচের ধমনী খুলে যায় ফলে রক্তচাপ কমে যায়। এবার শরীরের সর্বোচ্চ রক্ত পৌঁছে দিতে গেলে হৃদপিণ্ডকে দ্রুত পাম্প করতে হয় যাতে আপনার ‘হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা’ বাড়ে। এখান থেকে যত সমস্যার শুরু (heat stroke symptoms)।
আরো পড়ুন – Body cool : অতিরিক্ত গরম! এই ‘প্রচন্ড গরমে এসি ছাড়াই নিজের শরীর ঠান্ডা রাখার উপায়’ কি?
মানে প্রথমে শরীরে হালকা র্যাশ বা দানা দেখা দিতে পারে, মানে ছোট ফুসকুড়ি মতন যা চুলকাতে শুরু করে। অনেকের আবার পা ফুলে যাওয়ার সমস্যা হয়। হিট স্ট্রোকের প্রভাবে সাময়িকভাবে জ্ঞান হারাতে পারেন আপনি আর পরিস্থিতি গুরুতর হলে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
আরো পড়ুন – Divorce after marriage: বিয়ের পর ডিভোর্স! সম্পর্কে ভাঙ্গন? তাহলে বিচ্ছেদে কি জীবনের সব শেষ?
তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে গেলে কী করবেন?
- সবার আগে দ্রুত সেই অসুস্থ মানুষকে ছায়ায় নিয়ে যান যেখানে তিনি একটু হাওয়া পেতে পারেন।
- এরপর তাকে শুইয়ে দিয়ে পা দুটো একটু উপরের দিক করে তুলে দিন। মুখে চোখে জল দিন আর একটু জল খাওয়াবার চেষ্টা করুন। তবে চট করে একেবারে ফ্রিজের ঠান্ডা জল খাওয়াবেন না।
- অসুস্থ ব্যক্তির দেহ ঠান্ডা রাখতে ভেজা কাপড় দিয়ে তার হাত পা বুক পেট মুছিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করুন।
- যদি দেখেন আধ ঘণ্টার মধ্যেও সেই ব্যক্তি সুস্থ হচ্ছে না তাহলে কিন্তু চিন্তার কারণ পারবে। আপনি প্রাথমিকভাবে ধরিয়ে নিতে পারেন যে তার মধ্যে হিট স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা রয়েছে।
- মাথায় রাখবেন বয়স্করা এবং বাচ্চারা নিজেদের কথা খুব একটা বুঝিয়ে বলতে পারেন না। আর তার থেকেও বড় কথা হচ্ছে তাদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম থাকে। তাই এক্ষেত্রে একটা বড় টেনশনের জায়গা তৈরি হয়েই যায়।
- চেষ্টা করবেন এই ধরনের বয়সের মানুষ যাতে কোনোভাবেই তীব্র রোদের মধ্যে না বেরন বা কাজ না করেন।
- ঘরের পর্দা টেনে দিন। বেশি রোদ যাতে ঘরে না আসে দিনের বেলায়, সেই বিষয়টা খেয়াল রাখতে হবে আপনাকে।
সব থেকে বড় কথা হল সতর্ক না থাকতে পারলে কিন্তু বিপদের ঝুঁকি এড়ানো যাবে না। যতটা সম্ভব ভেতর থেকে শরীরকে ঠান্ডা এবং সুস্থ রাখার চেষ্টা করুন। আর প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।