Breaking Bharat: নেতারা কি শুধু রাজনীতি করার জন্যই ভাষণ দেন? মঞ্চে উঠে তারা যা যা বলেন, শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য সব ক্ষেত্রেই তাদের পরিবারের সেই প্রতিফলন মেলে কি?
একটা সময় ছিল যখন বিশ্বজুড়ে বিশ্বাস করা হতো যে রাজনীতি মানে রাজারে নীতি অর্থাৎ সেখানে প্রজাদের কথা ভাবনা-চিন্তা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। কিন্তু আজকাল সে সব অতীত কারণ এখন নিজের কথা সবার আগে ভাবেন রাজনৈতিক নেতৃত্বরা অন্তত এমনটা মনে করেন সাধারণ মানুষ। ঠিক বললাম তো?
এই প্রতিবেদনে আমরা কাউকে আঘাত করছি না বা অসম্মান করার উদ্দেশ্য নিয়ে লিখছি না। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে বাস্তব ক্ষেত্রগুলিকে দেখার পর যেটা উপলব্ধি করেছি সেটাই তুলে ধরছি আপনাদের সামনে। কোন কিছুর সঙ্গে সামঞ্জস্য পেলে সেটা নিতান্তই কাকতালীয় হবে (What is the role of political leaders)।
আজকালকার দিনে রাজনৈতিক নেতাদের সাধারণ মানুষ আর সেভাবে বিশ্বাস করতে চান না। একটা সময় ছিল যখন রাজনীতির লড়াইয়ের মাধ্যমে বিশ্বের বুকে বিশাল বিশাল পরিবর্তন আলোড়ন তৈরি হয়েছে। কিন্তু আস্তে আস্তে নিজেদের কর্মের জন্যই সেই জায়গাটা রাজনৈতিক নেতারা হারিয়ে ফেলেছেন বলেই মনে করেন সমাজ তাত্ত্বিকরা।
আজকাল ক্ষমতায় আসা মানেই ক্ষমতার অপব্যবহার করা। অনেকটা এইরকমই ধারণা তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মনে রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে। খেয়াল করে দেখেছেন নিজের দেশের বা রাজ্যের উন্নতির কথা ঠিক যে যে ক্ষেত্রে হয়েছে বলে রাজনৈতিক নেতারা তাদের ভাষণের দাবি করেন, ব্যক্তিগত জীবনে সেই একমাত্র তারা কার্যকরী করেন না?
যেমন ধরুন প্রসঙ্গটা শুরু করা যাক শিক্ষাক্ষেত্র নিয়ে। আমাদের দেশের ছাত্র যুবদের শিক্ষার জন্য বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। দেশেই রয়েছে এমন পরিকাঠামো যাতে সুশিক্ষিত হয়ে ভালোভাবে বাঁচতে পারে তারা। এমন কথা আমরা বলছি না, বিভিন্ন ভাষণে বিশেষ করে ভোটের আগে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা বলে থাকেন।
কিন্তু একটু ব্যক্তিগতভাবে খোঁজ নিয়ে দেখুন তো এনাদের নিজেদের পরিবারের সন্তান-সন্ততিরা ঠিক কোথায় পড়াশোনা করছেন? তাহলে আর আমাদের কিছু বলতে হবে না ছবিটা আপনাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে। শুধু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কথা কেন বলব দেশের সুপারস্টার সেলিব্রেটিদের ছেলেমেয়েরাও প্রায় সকলেই বিদেশে পড়াশোনা করেছেন বা করছেন।
আরো পড়ুন – ভালোবাসার চিহ্ন হিসেবে বিশেষ ইমোজিটা কেন ব্যবহার করা হয় বলুন তো?
সুতরাং” নিজের বেলায় পরিপাটি অন্যের বেলায় দাঁত কপাটি” , ঠিক এই বাংলা প্রবাদ টাই যেন প্রযোজ্য। আসল ব্যাপারটা হল জনগণকে সার্ভ করা নয় নিজেকে সার্ভ করাই রাজনীতির আসল উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষা থেকেই এবার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে চলে আসুন সেই একই ছবি। সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে সরকার অনেক কথা বলে কিন্তু নিজের কিছু হলে বা নিজেদের পরিবারের কারোর কিছু হলে এডমিশন নিতে চলে যান বেসরকারি হাসপাতালে।
আরো পড়ুন –
আরো পড়ুন – পৃথিবীতে মূল্যবান ধাতু হিসেবে সোনার নাম কেন আসে বলতে পারেন? কোন জায়গায় সোনা বাকিদের থেকে আলাদা?
সাধারণ মানুষ স্বপ্ন দেখেন ভালো পরিষেবা পাওয়ার। সে কারণে তারা সরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ছুটে যান কিন্তু সেখানে কিছুই মেলে না। এভাবেই মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়ে আশা জাগিয়ে দিনের পর দিন অনুভূতি নিয়ে খেলা করে চলেছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। আমরা কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছি না, কোনও পার্টির বিরোধিতা করছি না শুধু সত্যি কথাটা তুলে ধরছি।
আরো পড়ুন – যখন তখন মাল্টি ভিটামিনের ওষুধ খান? জিনকোভিট মাল্টি ভিটামিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কিনা জানেন?
আর অনুরোধ করছি এই বিষয়গুলো নিয়ে একটু ভেবে দেখার। আমাদের দেশের এমন এমন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ছিলেন যারা কিন্তু সত্যিকারের মানুষের ভালো কিসে হবে, তাই নিয়ে ভেবেছেন কাজ করেছেন । তাই ইদানিংকালে যেটা হচ্ছে সেটাকে নাটক হিসেবে দেখা ছাড়া অন্য কিছুই ভাবা কেন যাচ্ছে না সেটা নিয়ে কি আপনারা ভাববেন না? জনগনের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি আপনারা। আমাদের ভালো রাখার ক্ষমতা আপনাদের হাতে। একবার ভাবুন আর বারবার ভাবা প্র্যাকটিস করুন।