Breaking Bharat: কমলালেবু না পাতিলেবু? কোনটা শরীরের জন্য উপকারী জানেন? শীতকাল মানেই নানা ধরনের খাবারের ট্রেন্ড। এই তালিকায় বাদ যায় না শাকসবজি থেকে ফল। তবে শীতকাল বলতে একদিকে যেমন পিঠে নলেন গুড় ঠিক তেমনি কমলালেবু। দুপুরবেলা কমলালেবু খাওয়ার মজাটাই আলাদা। আবার অন্যদিকে পাতি লেবু সারা বছর পাতেই থাকে।
করোনা কালীন সময়টাতে এই ‘লেবু খাওয়ার জন্য বিশেষ জোর‘ দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। তাই আজকে পাতি লেবু বনাম কমলালেবুর লড়াই দেখবেন ,প্রতিবেদনের মাধ্যমে সাক্ষী হবেন আপনারা।
যদি লেবু নিয়ে কথা বলতে হয় তাহলে কিন্তু শুধুমাত্র ‘পাতি লেবু আর কমলালেবু‘ই বাঙালির হিসেবে আসে না সঙ্গে আরো অনেক লেবু যুক্ত হয়। যেমন ধরুন ‘বাতাবি লেবু বা মসম্বি লেবু‘ অনেকেরই প্রিয়। কিছু লেবু যে কোন অবস্থাতেই খাওয়া যায় কিন্তু কিছু লেবুর ক্ষেত্রে সেটি পাকা না হওয়া পর্যন্ত খাওয়া সম্ভব নয়। আমাদের নিত্য দিনের জীবনে কিন্তু পাতি লেবু সর্বত্র কাজে লাগে (What is the right way to eat lemon)।
খাবার শুরু করার সময় পাতি লেবু নুন থেকে শুরু করে খাবার খাওয়া হয়ে গেলে পাতিলেবু কচলে হাত ধোয়া পর্যন্ত। লেবুর জল থেকে শুরু করে চিকেন , ঝাল মুড়ি থেকে শুরু করে আলু কাবলি, ঠিক কোথায় লেবু লাগেনা বলুন তো? এমন কি শেষ রাতেও লেবু মাস্ট। পাতিলেবু সব থেকে বড় সুবিধা হলেও এটা কাঁচা এবং পাকা দুই অবস্থাতেই পাওয়া ও খাওয়া যায়।
অনেকদিন পর্যন্ত ব্যবহার ভোগ করা যায়। তবে লেবু যেরকমই হোক না কেন পুষ্টিগুনে কিন্তু অন্যান্য ফল এর ধারে কাছে নেই। শরীরের ইমিউনিটি বাড়াতে লেবুর ভূমিকা অসম্ভব প্রয়োজনীয়। যে কারণেই বেশি বেশি করে লেবু খাওয়ার কথা বলা হয়েছিল করোনা মহামারির সময় কালে। পেটের রোগ থেকে শুরু করে কোষ্ঠকাঠিন্য এমন কি ফুসফুসের গন্ডগোল সবেতেই লেবু দারুণ উপকারী।
আরো পড়ুন – ভাত রান্না পর ভাতের মাড় কি ফেলে দেন? জানেন অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা যায় একে?
শরীরে যদি কোন রোগ হয় তাহলে শরীর নিজে থেকেই তা প্রতিরোধ করতে লড়াই শুরু করে। এই লড়াইটা করতে পারে নিজস্ব ইমিউনিটির কারণে। আর ভিটামিন সি ইমিউনিটি বাড়ায় যা পাওয়া যায় লেবুর মধ্যে। লেবুর মধ্যে থাকা উচ্চ ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যার ফলে এক কথায় বলতে গেলে ঠান্ডা লাগা, সর্দি, জ্বর দমনে এটি খুবই কার্যকারী।
আরো পড়ুন – যখন তখন মাল্টি ভিটামিনের ওষুধ খান? জিনকোভিট মাল্টি ভিটামিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কিনা জানেন?
পেটের গোলমালে লেবুর জল খুব কাজে দেয়। ‘কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়ারিয়া‘ যাই হোক না কেন লেবুর জলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিতে পারলে সেটা উপকারী। এখানেই শেষ নয়, শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বাইরে বের করে দিয়ে শরীরে চর্বি এবং লিপিডের মাত্রা কম রাখতে সাহায্য করে।
শরীরে যদি পটাশিয়াম কমে যায় তাহলে তন্দ্রা ভাব বা একটা ঘোরের মধ্যে থাকতে শুরু করে মানুষ, লেবু খেলে সেই অবস্থা কাটে। ভাবছেন কি এখানেই শেষ কিন্তু না তালিকাটা দীর্ঘ কারন মাড়ির ব্যথা, দাঁতের সমস্যা ও মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে লেবু উপযোগী।
আরো পড়ুন – বেশি দাম দিয়ে হলেও ব্র্যান্ডের জিনিস ব্যবহার করতে ভালোবাসেন?
লেবুর মধ্যে থাকা সাইট্রাস বায়ো ফ্লেভোনয়েড আপনার মানসিক চাপ কমায়। এছাড়াও ধরুন কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখা থেকে কিডনিতে পাথর জমানো আটকানো সবেতেই লেবুর একটা ভূমিকা আছে।
জীত শুরুতেই বলে দিয়েছি যে লেবু মানে সেটা উপকারী পাকা লেবু হোক মানে কমলা লেবু বা পাতি লেবু। তবে কমলালেবু যেহেতু একটা নির্দিষ্ট সময় পাওয়া যায় তাই সেক্ষেত্রে পাতিলেবুপছন্দ করেন বেশিরভাগ মানুষ।
তবে শরীরে অনাক্রম্যতা বজায় রাখতে আপনি যে কোন পছন্দের লেবু খেতে পারেন সেটা পাতিলেবু হোক বা কমলালেবু কারণ এদের মধ্যে কোন বিরোধ নেই। বিভিন্ন সূত্র ঘেঁটে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য আপনাকে জানালাম পরামর্শের জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিতে পারেন।