Breaking Bharat: জ্ঞান কাকে বলে? (What is knowledge?) এখানেই শিক্ষণীয় বিষয়! তবে কি ডিগ্রি অর্জন করতে পারলেই হবে? প্রকৃত জ্ঞান বললে কী বোঝেন আপনি?
জ্ঞান আরোহণ করতে হয়, মুখস্থ হয় না। জানতে হয় বুঝতে হয় তবে গিয়ে শিক্ষা হয়। শিক্ষা দিয়ে জ্ঞান এর প্রকাশ। তাই শিক্ষিত হওয়া দরকার। প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত না হলে সবটাই বৃথা। তবে কি ডিগ্রি অর্জন (get a degree) করতে পারলেই হবে?
এখানেই শিক্ষণীয় বিষয়। জ্ঞান কিন্তু বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। বই হল কাগজের উপরে ছাপানো কিছু লেখা। সেই লেখাগুলি ভাল নাও হতে পারে, সেই লেখা জ্ঞান নাও দিতে পারে। কোন কিছু লেখা থাকলেই, সেটা বই হয়ে যায়। বই হল, অন্য মানুষের কথা।
আপনার নিজের জীবন দর্শন নয়। এই জীবন দর্শন একটা মানুষকে অন্যের থেকে আলাদা করে। তাই সেটা প্রকৃত জ্ঞানে লাভ (Gain in real knowledge) করলেই একমাত্র সম্ভব হতে পারে। এটা একটা উপলব্ধি যা অভ্যাসের মধ্যে দিয়ে আপনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকে সুদৃঢ় করে।
বই পড়ে কিছু নম্বর পাবেন আপনি কিন্তু প্রকৃত জ্ঞান লাভ হলো কিনা সেটা শুধুমাত্র পাঠ্য বই পড়ে হয় না। বইয়ের পাতায় লেখা থাকবে গুরুজনদের শ্রদ্ধা সম্মান করতে হয়। নিজে অনুভব না করলে কার্যক্ষেত্রে বইয়ের কথা বা এই নীতির বাস্তব প্রয়োগ ঘটাবেন কি করে?
বই-পুস্তক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যম নয় (Books are not a means of acquiring knowledge)। বই হল, জ্ঞান মুখস্ত করার মাধ্যম। জ্ঞান অর্জনের মাধ্যম হল অভিজ্ঞতা ও গবেষণা। তবে, গবেষণা করতে হলে, বই পড়ে কিছুদূর জ্ঞান মুখস্ত করে নিতে হয়।
আসলে আপনাকে বুঝতে হবে শিক্ষা আর পড়াশোনার মধ্যে পার্থক্যটা ঠিক কোথায়? শিক্ষা লাভ করতে গেলে পড়াশোনা করে নম্বর পাওয়াটা জরুরি নয়। কিন্তু শিক্ষিত হতে গেলে পড়াশোনা করা দরকার, সেটা ছাড়া কিছুই হয় না।
আসলে আমরা যা পড়ি, জীবন তার থেকে অনেক বেশি অভিজ্ঞতা দেয় বাস্তবের প্রাকটিক্যাল ক্লাসে। পরিবেশ, পরিস্থিতি আর সময় এই তিন ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে আপনার জ্ঞান আরোহণের মাত্রা। এটা কথায় বোঝানো একটু মুশকিল বটে।
অনেক মানুষ শাসন করলে বা কোন নীতিকথা বললে পাবলিক প্লেসেই বা বন্ধু-বান্ধবের মাঝে তাকে জ্ঞান দেওয়ার জন্য আওয়াজ শুনতে হয়। বাংলা ভাষায় অনেক সময় তাচ্ছিল্যের সুরেও জ্ঞান দেওয়া শব্দ ব্যবহার করা হয়।
আরো পড়ুন- Use Zero : জীবন মানেই মহা শূন্যতা, জীবনটা একটা অঙ্কের মত, যেন শূন্যতেই সব শেষ?
কিন্তু যেমনটা এর আগেও বলেছি, জ্ঞান হল এমন কিছু জানা, যেটা আপনার কাজে লাগে, যেটা আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে। জ্ঞান হল এমন কিছু জানা, যা আপনার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে (Prove your superiority)। প্রকৃত মনুষ্যত্বের পরিচয় দিতে পারে একমাত্র আসল জ্ঞানী মানুষ (Real wise man)।
আরো পড়ুন- ভুঁড়ি বাড়ছে? কী করবেন? মেনে চলুন পেটের ভুঁড়ি নিজে থেকে নিয়ন্ত্রনে আসবে
আসলে জ্ঞান এর উৎস হল- অভিজ্ঞতা। যত বেশী পৃথিবীকে চিনবেন, দেখবেন, যত বেশী মানুষের সাথে মেলামেশা করবেন, তত জ্ঞান অর্জন করবেন।আরেকটি বিষয় হল জ্ঞান আরোহণের উপায় হল – গবেষণা। জ্ঞানী মানুষেরা অভিজ্ঞতা ও গবেষণা থেকে জ্ঞান অর্জন করে সেই জ্ঞান তারা বইতে লিখে রাখে।
আরো পড়ুন- Hard Times : জীবনে কঠিন সময় এলে তা কাটিয়ে ওঠা বড়ই কঠিন! তাহলে খারাপ সময় আসলে কি করবেন?
সাধারন মানুষ সেই জ্ঞান মুখস্ত করে। কিন্তু মুখস্থ নয় উপলব্ধিকে কাজে লাগান, তবে যথার্থ জ্ঞানী হয়ে উঠতে পারবেন। জ্ঞান মুখস্থ করে পরীক্ষার খাতায় লিখে দেওয়ার মতো কোনো বিষয় নয়। চিন্তা করুন, ভালো ভাবনায় থাকুন। আপনার সঙ্গ ভালো হোক,আর পড়াশোনা চালিয়ে যান। এই সব কিছুর মিলিত কম্বিনেশনেই একদিন আপনি প্রকৃত জ্ঞানী হয়ে উঠবেন