Breaking Bharat : পুনর্জন্ম (rebirth) বলে কি আদৌ কিছু হয়? কিংবা মৃত্যুর পরবর্তী জীবন ঠিক কেমন (Life after death) ? মৃত্যু পরবর্তী জীবন নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। নানা ধরনের কথাও শোনা যায় এই নিয়ে। তবে সবচেয়ে বেশি তর্কবিতর্ক যা নিয়ে, তা হল আত্মা। মানুষের মৃত্যুর পর কী হয় আত্মার? এই নিয়ে আদৌ কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে কি?
মৃত্যু পরবর্তী অবস্থা সম্পর্কে নানা তর্ক বিতর্কের মাঝে সম্প্রতি পদার্থবিজ্ঞান যা বলছে তা জানলে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হবে। সায়েন্টিফিক আমেরিকান পত্রিকায় শন ক্যারল আত্মা-সম্পর্কে তাঁর ধারণা প্রকাশ করেছেন। মৃত্যুর পরে চেতনা বা আত্মার থাকা না থাকার বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন শন।
পদার্থবিদ তথা মহাকাশবিশেষজ্ঞ শন মূলত ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে পড়ান তিনি। পদার্থবিদ্যার বিভিন্ন সূত্রসমূহের তিনি চর্চা করছেন বহুদিন ধরে। এই বিষয়ে তাঁর সাফ জবাব, সমস্ত জাগতিক বিষয়ই সম্পূর্ণভাবে পদার্থবিদ্যার নিয়মনীতি মেনে চলে। আর এই নিয়মের কথা তুলে ধরেই আত্মার ব্যাখ্যা দিতে চেয়েছেন শন।
আরো পড়ুন- Allu Arjun : কোন হিন্দি ছবির প্রস্তাব পেয়েছিলেন আল্লু? কেনই বা প্রস্তাবে সম্মতি দেননি তিনি?
তিনি বলেন, মৃত্যুর পরেও মানুষের অস্তিত্ব মানার অর্থ হল পদার্থবিদ্যার নিয়মবিরুদ্ধ। আত্মা হোক বা অন্যকিছু, কোনও ব্যক্তির অস্তিত্ব যদি মানতে হয়, তা হলে পদার্থবিদ্যার নিয়ম বদলাতে হবে বলেই মনে করেন ওই কসমোলজিস্ট। অর্থাৎ পদার্থবিজ্ঞানের মতে মৃত্যুর পর জীবন কোনওভাবেই সম্ভব নয়।
এদিকে একপ্রকার একই মত প্রকাশ করেছেন অন্য এক পদার্থবিদ। তিনি দাবি করেছেন, একজন ব্যক্তির মৃত্যুর পরে তাঁর চেতনা মহাবিশ্বে থাকতে পারে না।
আরো পড়ুন- Regret in life : জীবনে অন্তত আফসোস করে বাঁচবেন না! আপনার প্রাপ্য থেকে কেউ আপনাকে বঞ্চিত করবে না
অথচ জনসাধারণের মধ্যে এই ধারণা রয়েছে যে, মামবদেহের মৃত্যুর পরেও আত্মার অস্তিত্ব থাকে। বিভিন্ন ধর্মবিশ্বাসও আত্মার বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছে। কিন্তু ডক্টর শন এই বিশ্বাসের ওপর ভর করে মতপ্রকাশে নারাজ। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘বৈজ্ঞানিক ভিত্তি থেকে সরবেন না। শুধুমাত্র বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে বলা কোনও কিছু গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।’
তবে শনের এই মন্তব্যের পক্ষপাতী নয় অনেকেই। এই নিয়ে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে।