Breaking Bharat: পরিবারের অশান্তি দূর করার উপায়! বাড়িতে অশান্তি লেগেই আছে, যৌথ পরিবার ভেঙে যাচ্ছে? জানেন কি? বাড়িকে সুখের স্বর্গ করে তুলতে কি কি করণীয় (Ways to remove family turmoil)?
হাত বাড়ালেই আপন জনের হাতটি খুঁজে পাওয়া যায়, ভালো থাকার ইচ্ছে গুলোই ভালোবাসা ভরিয়ে দেওয়া যায়। নিজের পরিবারকে ভালো রাখতে প্রত্যেকেই তো চায়। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে সব সময় সেটা সম্ভব হয় না। তার জন্য আছে বিশেষ উপায় এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ে ফেলুন।
যৌথ পরিবার কেমন হয়?
আগেকার দিনে একান্নবর্তী পরিবারের রমরমা ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এগিয়ে চলতে চলতে নানা কারণে সেই এক অন্ন আর নেই। না না, ঘটনার কারণে আজকাল বেশিরভাগ পরিবার নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিতে রূপান্তরিত হয়েছে। তারমানে এমন নয় যে এই প্রজন্ম যৌথ পরিবার কনসেপ্টে বিশ্বাস করে না।
প্রতিটি নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি বা ফ্যামিলি মেম্বাররা কখনো না কখনো যৌথ পরিবারের অংশ তো ছিলই। হয়তো এই প্রজন্ম না হলেও কয়েক প্রজন্ম আগে সেই একই সঙ্গে খাওয়া দাওয়া হইহুল্লোর অনেকটা “হাম আপকে হ্যায় কন” কিংবা “গল্প হলেও সত্যি” সিনেমার মতো।
বাড়িতে লেগেই থাকে ঝগড়া অশান্তি?
টুকটাক অশান্তি সব পরিবারেই লেগে থাকে কিন্তু ভাঙ্গন আটকানো দরকার। আগেকার দিনে বাড়ি বা ঘর তৈরীর ক্ষেত্রে সেরকম কোন নিয়ম মানা হতো না। কিন্তু আজকের যুগে সময় পাল্টেছে সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাল্টেছে চাহিদা এবং প্রয়োজনীয়তা।
ধরুন একসাথে এক ছাদের তলায় যদি ১৫ জন থাকে তাহলে ১৫ জনের ১৫ রকমের কাজ থাকতে পারে তার জন্য বিশেষ বিশেষ জায়গা অবশ্যই দরকার। এই বাড়ি তৈরির সময় বা বাড়ির ইন্টেরিয়র করার সময় এমন ভাবে ব্যবস্থা করতে হবে যাতে একদিকে প্রাইভেসি বজায় থাকে আবার অন্যদিকে একসঙ্গে থাকার মত স্পেসও থাকে।
অতিথির জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা:
যৌথ পরিবারেও প্রত্যেক সদস্যের জন্য আলাদা ঘর থাকা দরকার। যেখানে তারা ইচ্ছেমতো ব্যক্তিগত সময় কাটাতে পারেন।আবার পরিবারে নতুন কোনও সদস্য এলে তার দিকে খেয়াল রাখুন। মনে রাখবেন অতিথির জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা রাখাটা দরকার।
আরো পড়ুন – Nail infection : নেল ইনফেকশনের সমস্যা ? নখের ডগাতেই হয় ছত্রাক ইনফেকশন।তাহলে উপায়?
বাড়ির বয়স্কদের জন্য বিশেষ জায়গা এবং বাচ্চাদের জন্য খেলার জায়গা তাই বাড়ির মধ্যে রাখতে হবে। এটা আসলে খুব সাধারন একটা লজিক যদি সবার জায়গাটা ঠিকঠাক থাকে তাহলে একে অন্যকে বিরক্ত করার প্রয়োজনীয়তা আসবে না আর এটা না হলেই সম্পর্ক সহজে তিক্ত হবে না।
ছবি তুলে ফ্রেমবন্দি করে দেয়ালে টাঙিয়ে রাখতে পারেন:
ভালো করে বুঝে নিতে হবে কে কি চায় সেই মতো সবটা মানিয়ে গুছিয়ে সাজিয়ে নেওয়া দরকার। বাড়িতে যদি বারান্দা থাকে তাহলে তো খুব ভালো সেখানে এমন ব্যবস্থা রাখুন যাতে দুই প্রজন্ম কখনো চায়ের কাপ হাতে, কখনোবা শরবতের গ্লাস নিয়ে বা কফি নিয়ে আড্ডা দিতে পারেন।
আরো পড়ুন – Naughty child : বাড়িতে দুরন্ত শিশুর জেরে জেরবার? দুষ্টু বাচ্চাকে শান্ত করার নিয়ম জেনে নিন আজই!
আবার কারোর অফিসের লোকজন এলেও যেন সুস্থ পরিবেশ বজায় থাকে। নিজেদের একসঙ্গে থাকা নানা মুহূর্তের ছবি তুলে ফ্রেমবন্দি করে বিভিন্ন দেয়ালে টাঙিয়ে রাখতে পারেন। ঘর সাজাতেও কাজে আসবে আর কোথাও যেন সম্পর্কের বন্ধন কে আরো মজবুত করবে টুকরো স্মৃতিগুলো।
নিজেদের রুমেও টিভি রাখতে পারেন:
সকলের একসঙ্গে বসে কথা বলার আলোচনা করার মত একটা বসার ঘর দরকার সেখানে টিভি রাখুন আর প্রত্যেকের বসার উপযুক্ত করে সোফা বা চেয়ার এর ব্যবস্থা করা দরকার। নিজেদের রুমেও টিভি রাখতে পারেন কিন্তু যখন কোন একটা জিনিস দেখার পাল্লা ভারী, চেষ্টা করুন সবাই একসঙ্গে বসে দেখতে।
আরো পড়ুন – Serena Williams : টেনিস দুনিয়া শাসন করছেন সেরেনা উইলিয়ামস? কেরিয়ারের পথ আদৌ কি মসৃণ ছিল?
হোক না সেটা ভারত পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ! সম্পর্কের মধ্যে আবেগ খুব গুরুত্বপূর্ণ সেই আবেগ অনুভূতি বিনিময়ের জন্য যথেষ্ট পরিসর রাখুন। রান্নাঘর হোক বা ঠাকুর ঘর সবকিছু মধ্যে একটা মানানসই ব্যাপার তৈরি করা দরকার। বাড়ির ছাদে বা ঘরের ডাইনিং এ ছোটখাটো সংস্কৃতি অনুষ্ঠান বা বিশেষ আড্ডার আয়োজন করুন মাঝেমধ্যে।
আরো পড়ুন – সেই ঋতুপর্ণকে “না” (No) বলেছিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা! চরম আক্ষেপ করলেন অভিনেত্রী, কিন্তু কেন?
সকলে মিলে তো আর উদ্যোগী হতে পারবেন না। উদ্যোগ একজনকেই নিতে হবে, বাকিদের শামিল করার দায়িত্বটা ভাগ করবেন একে অপরের সঙ্গে। একটু চেষ্টা করলেই ভালো থাকা যায় ভালো রাখা যায়। শুধু চেষ্টাটুকু করেই দেখুন।