Breaking Bharat: স্তন ক্যান্সার! ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়, বলছেন ডাক্তাররা। জেনেনিন কিভাবে (Ways to prevent breast cancer)? স্তন ক্যান্সার কে হালকা ভাবে নেবেন না! মহিলাদের ক্ষেত্রে যত দিন যাচ্ছে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা ততই বাড়ছে। প্রথমে ধরতে পারলে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়া সম্ভব, বলছেন ডাক্তাররা।
রোগ বা বিপদ আগে থেকে বলে কয়ে জানান দিয়ে আসে না। তাই একটু সচেতন আর সজাগ থাকার প্রয়োজনীয়তা আছে বৈকি। বিগত বেশ কয়েক বছরে ক্যান্সার নামক মারণ রোগ মাথা চারা দিয়ে উঠেছেন।
ব্রেস্ট ক্যান্সার চিকিৎসা:
যদিও এটা সত্যি কথা যে আজকালকার দিনে ক্যান্সার নিয়ে অত্যন্ত আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই বলেই মনে করেন চিকিৎসকেরা। তারা বলছেন ফার্স্ট স্টেজ বা প্রথম দিকে যদি ক্যান্সার ধরা পড়ে তাহলে চিকিৎসার মাধ্যমে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়া সম্ভব। তবে যত দ্রুত সম্ভব রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা শুরু করা বাঞ্ছনীয়।
ক্যান্সার নামটা শুনলেই সবার আগে যেটা মনে আসে সেটা হল মারন রোগ। কথাটা সত্যি বটে। অস্বীকার করে লাভ নেই যে আজও এই রোগ কোন পরিবারে হওয়া মানে প্রাথমিকভাবে সব শেষ এমন ভাবনাই মাথায় আসে।
মহিলাদের ‘স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত‘র প্রবণতা বাড়ছে:
শুধু যে রোগীর কষ্ট তাই নয় রোগীর পরিজন, আত্মীয়, পরিবারের কষ্ট কিছু কম হয় না। অনেক ক্ষেত্রেই রোগী নিজের মারুন রোগের কথা জানতে পেরে পরিবারের কাছে তা গোপন করে যান, যাতে কাউকে সমস্যায় না পড়তে হয় এই ভেবে।
এটা ঠিক নয় কারণ বিজ্ঞান বলছে সঠিক সময় চিকিৎসা শুরু হলে, অনেক ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণ রোগমুক্তি সম্ভব আর ক্যান্সারও ব্যতিক্রম নয়। মহিলাদের ক্ষেত্রে যত দিন যাচ্ছে ‘স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত‘ হওয়ার প্রবণতা ততই বাড়ছে। তাই প্রাথমিকভাবে এই রোগ নির্ণয় করা দরকার।
ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ ও চিকিৎসা:
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়ে বলছেন আপনি নিজে নিজেই বুঝতে পারবেন আপনি এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা। তার জন্য সহজ কিছু পদ্ধতি আপনাকে অবলম্বন করতে হবে। ব্রেস্টের সেলফ এক্সামিনেশন করতে পারলেই হয়তো এক ধাপ এগিয়ে থাকবেন আপনি।
আরো পড়ুন – Divorce after marriage: বিয়ের পর ডিভোর্স! সম্পর্কে ভাঙ্গন? তাহলে বিচ্ছেদে কি জীবনের সব শেষ?
চিকিৎসকেরা বলছেন ২০ বছর বয়স পেরোলেই ‘মেয়েদের নিজেদের স্তনের সমস্যা‘ নিয়ে সচেতন হতে হবে। প্রয়োজনে প্রতি মাসে স্তনের পরীক্ষা করতে হবে । প্রাথমিকভাবে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে স্তনের সাইজ দেখে বুঝতে হবে কোন অস্বাভাবিক পরিবর্তন হয়েছে কিনা আর সেটা প্রতি সপ্তাহে নিরিখে আপনাকে অনুধাবন করতে হবে।
ব্রেস্টের কোন অস্বাভাবিক পরিবর্তন:
প্রতি মাসে পিরিয়ড শেষ হওয়ার তিন থেকে চার দিনের পর থেকে আপনার ‘ব্রেস্টের কোন অস্বাভাবিক পরিবর্তন‘ হচ্ছে কিনা সে দিকটা নিয়মিত নজর রাখা দরকার। যেসব মহিলারা চল্লিশ পেরিয়ে গেছেন তাদের বছরে একবার মেমোগ্রাম টেস্ট করতে হবে ।
আরো পড়ুন – স্বামীর কষ্টের রোজগার হেলায় শেষ করে দিচ্ছে স্ত্রী? ‘অসহায় পুরুষেরা’ কী করবেন জানেন?
নিপল থেকে রক্ত বের হওয়া বা ব্রেস্টের কোন অংশ অনির্দিষ্টভাবে অত্যাধিক শক্ত করতে হয়ে যাওয়া, হালকা ব্যথা যন্ত্রণা এই সবকিছুই কিন্তু ‘স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ‘ হতে পারে। তাই এর মধ্যে যেকোনো একটাও যদি আপনি অনুভব করেন তাহলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
একটা বোস্ট এর গঠনের সঙ্গে আরেকটি ব্রেস্টের গঠনের অত্যাধিক পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে কিনা সেটাও নজর রাখা দরকার। টাইট পোশাক পরা সেক্ষেত্রে বন্ধ করতে হবে যতটা সম্ভব ব্যথা যন্ত্রণাকে যাতে না বাড়তে দেয়া হয় সেই মতো অন্তর্বাস নির্ণয় করতে হবে আপনাকে। মেরুদাস হয়ে গেছে যাদের তাদের ক্ষেত্রেও মাসে একবার করে ব্রেস্ট পরীক্ষা করা আবশ্যক।
আরো পড়ুন – Cutting Trees: বিনা প্রয়োজনে ‘গাছ কাটার শাস্তি’ যে কি ভয়াবহ হতে পারে জানেন কি?
- মেয়েদের নিজেদের স্তনের সমস্যা
- স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ
- ব্রেস্টের কোন অস্বাভাবিক পরিবর্তন
- ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ ও চিকিৎসা
- ব্রেস্ট ক্যান্সার চিকিৎসা বাংলাদেশ
- ব্রেস্ট ক্যান্সার হলে করণীয়
- ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়
- ব্রেস্ট ক্যান্সার অপারেশন
- ক্যান্সারের ফ্রি চিকিৎসা
মনে রাখবেন সজাগ সচেতন না থাকলে কিন্তু এই রোগ অতি দ্রুত শরীরের শাখা-প্রশাখা বিস্তার করবে সে ক্ষেত্রে স্তন বাদ দেয়ার মত মারাত্মক ঘটনার সাক্ষীও হতে পারেন আপনি।