Body cool without AC: অতিরিক্ত গরম! এই ‘প্রচন্ড গরমে এসি ছাড়াই নিজের শরীর ঠান্ডা রাখার উপায়’ কি? অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায়, আমাদের শরীরে অতিরিক্ত গরম লাগার কারণ কি? শরীর গরম হলে কি করনীয়? তাছাড়া আমরা এই প্রতিবেদনে জানাবো ‘শরীরের গরম কমানোর উপায়’।
যত সময় যাচ্ছে ততই গরমের দাবদাহ বাড়ছে। সেক্ষেত্রে গরম থেকে মুক্তি পেতে মানুষ খুব বেশি করে এসি কে আঁকড়ে ধরছে। আসলে চারিদিকে গাছ কাটার ফলে বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব পড়ছে এবং যত বছর যাচ্ছে ততই গরমের তীব্র দাবদাহে পুড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে (Ways to keep your body cool without AC)।
শরীরের গরম কমানোর উপায়?
প্রাকৃতিকভাবে এবং সামাজিকভাবে বেশ কিছু কাজকর্ম আমাদের করা দরকার যাতে এই বিষয়টাকে আটকানো যায়। এর জন্য অবশ্যই গাছ লাগাতে হবে এবং পাশাপাশি গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে। পুকুর নদী বুজিয়ে সেখানে ফ্ল্যাট তৈরি করার প্রবণতা না করলে গরমের আক্রোশ থেকে রেহাই পাবনা আমরা।
কিন্তু এর পাশাপাশি আমরা যে এসি লাগিয়ে ক্ষতি করছি আমাদের নিজেদেরই, সে কথাটি আপনার একবারও মনে হয়? তাহলে এইখানে কৃত্রিমাতার ওপর আস্থা না রেখে যদি নিজেরা এমন কিছু করতে পারি যাতে প্রাকৃতিক ভাবেই আমাদের দেহ ঠান্ডা থাকে তাহলে বোধহয় যন্ত্রের কুপ্রভাব সহ্য করতে হবে না, আমাদের পারিপার্শ্বিকতাকে। আজকের এই প্রতিবেদনের সিঁড়ি নিয়েই দু’চার কথা বলব আপনাকে।
তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাচ্ছে সহজেই। হয়তো এরকম দিন আর বেশি দূরে নেই যখন পঞ্চাশ ডিগ্রি তাপমাত্রা ভোগ করতে হবে আমাদের। যদিও ততদিন আমরা কতটা পরিবেশ আর পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়ে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে পারব সেটা একটা প্রশ্ন বটে।
এসি ছাড়া নিজেকে ঠান্ডা রাখবেন কী করে?
গুমোট অস্বস্তিকর গরমে শিশু থেকে বৃদ্ধ প্রত্যেকেই নাজেহাল। এই সময় যদি শরীর খারাপ হয় তাহলে ভোগান্তির শেষ নেই। তাই অবশ্যই নিজেদের জীবন চর্চার মধ্যে এমনভাবে খাবার খাওয়া থেকে শুরু করে, পর্যাপ্ত ঘুমের রুটিন তৈরি করতে হবে, যাতে কোনভাবেই গরমের অস্বস্তির পাশাপাশি অন্য কোন শারীরিক অস্বস্তিতে আমরা এবং আমাদের চারপাশের মানুষ বিব্রত না হন।
আরো পড়ুন – আমার স্ত্রী প্রচন্ড রাগী! অকারনে ‘স্ত্রী নিজের স্বামীকে অপমান করেন’ বা রেগে যান? এটা কি ঠিক?
এজন্য কোন ভাজাভুজি বা জাঙ্ক ফুড খাওয়া চলবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন গরমকালের স্নান বেশি করে করুন কিন্তু তাই বলে প্রচন্ড ঠান্ডা জলে বা বরফ জলে স্নান করলে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে। বাইরে থেকে নয় শরীরকে ঠান্ডা রাখতে হবে ভেতর থেকে আর সেটা একমাত্র সঠিক খাবার খাওয়ার মধ্যেই পাওয়া সম্ভব।
অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায়:
বাইরে চড়া রোদ, ঘরেও সেই একই রকম ভ্যাপসা গরম। এইরকম অবস্থায় শরীর আর্দ্র রাখা খুব দরকার। স্কুলে পড়া বাচ্চা হলে না হয়, একটু একটু গরমের ছুটির মেয়াদ বাড়তো কিন্তু অফিসে সে সুযোগ নেই। তাই নিত্যদিনের যাতায়াতে ট্রেনে বা বাসে ভিড়ে দমবন্ধ হওয়ার জোগাড়।
আরো পড়ুন – Holding the toilet: আপনার কি ‘পটি চেপে রাখার অভ্যাস’ আছে? ‘পায়খানা চেপে রাখলে’ কি হতে পারে জানেন?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন এইরকম অবস্থায় আমাদের শরীর মেলাটোনিন উৎপাদন কমিয়ে দেয়। ফলে শরীরের ক্লান্তিভাব বেশি হয়। তাছাড়া ডিহাইড্রেশনের ব্যাপারটাও রয়েছে। তাই সব সময় জল সঙ্গে রাখুন পারলে লেবুর শরবত খাওয়া অভ্যাস করুন।
আরো পড়ুন – Maa Kali: জেনে নিন ‘মা কালীর আরাধনায়’ লুকিয়ে দেবীর রূপের মাহাত্ম্য।
ছাতা এবং রোদ চশমা ছাড়া একদম বেরোবেন না কারণ আপনার অজান্তেই সানস্ট্রোকের শিকার হয়ে যেতে পারেন আপনি। ঠান্ডা জল যদি খেতেই হয় তাহলে মাটির কলসি, কুঁজোতে জল রেখে সেই জল খান কিন্তু ফ্রিজের জল থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন।
গরম থেকে ঘরে এসেই সঙ্গে সঙ্গে ফ্রিজের ঠান্ডা জল কখনো খাবেন না এতে ভবিষ্যতে মারাত্মক বিপদের মুখে পড়বেন আপনি। একবারে বেশি খাবার নয় বরং বারে বারে অল্প অল্প করে খাবার খেতে থাকুন। বেশি ঝালে ঝোলে রান্না করবেন না। বিকেলের দিকে মানে চারটে থেকে ছটার মধ্যে পারলে দই ভাত খান।
আরো পড়ুন – Benefits of ayurveda: আয়ুর্বেদিক ঔষধের উপকারিতা! গাছ গাছালি থেকে কিভাবে ঔষধের আবিষ্কার ?
গরমে লেবুর শরবত খেতে পারেন কিন্তু কোল্ড ড্রিংকস কখনোই নয়। এবার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো যতটা কম সম্ভব এসিতে থাকার অভ্যাস করুন। বাইরে থেকে এসেই চট করে যেমন এসি ঘরে প্রবেশ করবেন না ঠিক তেমনি সেই ঘর থেকে বাইরে যাওয়ার সময় এসিতে থাকা অবস্থায় বেরিয়ে পড়বেন না।
- অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায়
- অতিরিক্ত গরম লাগার কারণ
- শরীর গরম হলে করনীয়
- মাথা ও শরীর গরম হওয়ার কারণ
- শরীরের গরম কমানোর উপায়
- হঠাৎ গরম লাগার কারণ
ঠান্ডা ঘর থেকে যদি বাইরে যেতে হয় মানে নরমাল টেম্পারেচারে যেতে হয় তাহলে অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিট এসি বন্ধ করে রেখে নিজের শরীরকে পরিবেশের সঙ্গে ধাতস্থ করে তবেই ঘর থেকে বাইরে বেরোবেন। শরীরে কোন রকমের অস্বস্তি হলে সবার আগে ডাক্তারি পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।