Ways to get rid of rats: ইঁদুর আপনার পিছু ছাড়বে না! তাহলে ‘বাড়ি থেকে ইঁদুর তাড়ানোর উপায়’ জেনে নিন। ইঁদুরের অত্যাচারে জেরবার? বিস্কুট থেকে ব্র্যান্ডেড জামা কিছুই কাটতে বাকি রাখছে না বুঝি? চিন্তা নেই, সমস্যা মুক্তি সহজেই!
জীবনে কি সমস্যা কম পড়েছে বলুন দেখি, যে উটকো ঝামেলা এভাবে ঘাড়ে এসে পড়ে! নিত্য দিনের কাজ সামলে নিজের জন্য, পরিবারের জন্য কোয়ালিটি টাইম খুঁজে পাওয়া যায় না। আর সেখানে কিনা উটকো উৎপাতে জেরে জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। ‘মূর্তিমান আতঙ্কের নাম ইঁদুর‘।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ইঁদুর তাড়ানোর উপায়:
দেখতে ছোট কিন্তু বিপদ বাঁধায় অনেক বড়। ঘরে যদি এনাদের একজনেরও প্রবেশ হয় পুরো সংসার গুছিয়ে ফেলতে বেশি সময় লাগান না এই প্রজাতি। তখন আপনারই মনে হয় সংসার ত্যাগী হয়ে অন্য কোথাও বাসা বাঁধি।
প্রতিবেদনের কথাগুলোর সঙ্গে মিল তারাই পাবেন যারা বাস্তব জীবনে এই বিষয়টায় ভুক্তভোগী। ইঁদুরের পছন্দের তালিকায় কী নেই? খাবারদাবার থেকে শুরু করে জামা কাপড়, বই থেকে শুরু করে ইলেকট্রিকের তার – এনাদের টার্গেট থেকে বাদ পড়ে না কিছুই। মুক্তি পাবার ঘরোয়া উপায় জানতে চান? তাহলে শেষ পর্যন্ত পড়ুন এই প্রতিবেদন (the fastest way to get rid of rats)।
বাড়ি থেকে ইঁদুর তাড়ানোর উপায়:
ইঁদুর যদি কারুর বাড়িতে থাকে তাহলে বিপদ আর বিপত্তি দুটোই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। বিজ্ঞাপনের চমক দেখে যতই এটা ওটা কিনে আনুন না কেন ইঁদুর সহজে আপনার পিছু ছাড়বে না। দোকান থেকে ‘ইদুর মারার জন্য‘ একটা কেক কিনে আনলেন বা ইদুর মারার বিষ গুঁড়ো পাউডার রুটি বা তরকারির সঙ্গে মিশিয়ে দিলেন।
ভাবছেন ইদুর বুঝি বাড়ির বাইরে পালাবে? কিচ্ছু হবে না! টাকার পর টাকা খরচ হবে, ফল হবে না। কাছে বাড়ির পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখুন সমস্যার সমাধান হবে সহজে। আপনি কি জানেন লবঙ্গর ঝাঁঝাল গন্ধ ইঁদুর সহ্য করতে পারেনা?
আরো পড়ুন – গ্যাসের সিলিন্ডারের খরচ বাঁচানোর উপায় কি? ‘রান্নার গ্যাসের খরচ’ আর সামলাতে পারছি না!
(1)- আজকেই বাজার থেকে গোটা গরম মসলা কেনার সময় আলাদা করে কয়েক পিস লবঙ্গ কিনে আনুন। ঘরের বিভিন্ন দিকে কাপড়ে মুড়ে কয়েকটি গোটা লবঙ্গ রেখে দিন। নিজেই দেখবেন দু-একদিনের মধ্যেই ইদুর বাবাজীরা আর আপনার বাড়ির পথে ঘেসবেন না।
(2)- আচ্ছা আপনি কি জানেন ‘ইঁদুরের সংখ্যা বৃদ্ধি’ বা উপস্থিতির সঙ্গে বাস্তুশাস্ত্রের একটা সম্পর্ক আছে। আমরা অবশ্য সত্যতা যাচাই করে দেখিনি তবে অনেকেই বলেন যে বাস্তু মতে নাকি হঠাৎই ইঁদুরের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে, তা সমস্যার ইঙ্গিত দেয়।
আরো পড়ুন – গ্যাস বার্নারে পোড়া খাবার কিংবা তেলকালি পরিষ্কার করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন? তাহলে উপায়?
(3)- আবার এই ইঁদুরেরই একটু বড় প্রজাতি মানে ছুঁচোর আগমনকে শুভ মনে করা হয়। অর্থাৎ কিনা লক্ষী লাভ হতে চলেছে। এখানেই শেষ নয় ইঁদুর নিয়ে নানা বিশ্বাস-অবিশ্বাস আছে।
(4)- কয়েকটা উদাহরণ দিলে একটু বুঝতে সুবিধা হবে । এই যেমন ইদুর যদি আপনার ঘরের সামনে দরজা দিয়ে বেরিয়ে যায় তাহলে নাকি সেটা অশুভ ইঙ্গিত।
(5)- আবার ‘রাত্রে যদি ইঁদুরের উপদ্রব বাড়ে‘ তার মানে আপনার পরিবারে অসুস্থতার বিষয়টা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করতে হবে আপনাকে। অনেকে বলেন ভাঁড়ার করে ইঁদুরের উৎপাত বাড়লে বুঝতে হবে যে শত্রু আপনার ক্ষতি করার জন্য আড়াল থেকে ফন্দি আঁটছে।
আরো পড়ুন – Sunglasses: রোদ চশমা সানগ্লাস ব্যবহার করেন? কিন্তু সানগ্লাসের সঙ্গে বিচার ব্যবস্থার কি সম্পর্ক?
(6)- মানে সবটাই বিশ্বাসের জোরে বলা যায় প্রমাণ কিন্তু নেই। অবশ্য এখন যদি কোন ঘটনার সঙ্গে এই কথাগুলোর সাদৃশ্য খুঁজে পান তাহলে সেটা নিতান্তই কাকতালীয়।
(7)- পাশে যাই হোক ইদুর থাকলে বাস্তুগত কী সমস্যা হতে পারে তার থেকে বেশি প্রয়োজনীয় পরিবারের মানুষের জিনিসপত্রের কতটা ক্ষতি হচ্ছে সেটা দেখা। তাই ‘ইদুর তাড়ানোর ব্যবস্থা করা যাক’। আপনি হয়তো জানেন না যে ইঁদুর দূর করতে বেকিং সোডা খুবই উপকারি।
আরো পড়ুন – House clean: নিয়মিত ঘরকে পরিষ্কার রাখেন কি? ঘরে ঝুল পড়া কোনও অশুভ ঘটনার লক্ষণ?
(8)- যেহেতু ইঁদুর ঘরের কোণগুলিতে বাসা করে তাই সেই সব জায়গায় বেকিং সোডা দিয়ে রাখুন। একটা জিনিস মাথায় রাখবেন কোন প্রাণীই কিন্তু খুব ঝাঁঝালো কোনও ধরণের গন্ধ সহ্য করতে পারে না। ইঁদুর তাড়াতে পচা পেঁয়াজের ব্যবহার করতে পারেন, অবশ্য সেটা বাড়ির বাকিদের সহ্য নাও হতে পারে।
(9)- তাহলে সেক্ষেত্রে আর একটা অপশন হল পিপারমিন্ট অয়েল। এই তেলের গন্ধ ইঁদুরের কাছে অসহ্য। যেখানে ইঁদুরে যাতায়াত বেশি আছে বলে মনে হয় সেখানে লাল লঙ্কার গুঁড়ো ছড়িয়ে রাখতে পারেন।
আরো পড়ুন – Fish in aquarium: অ্যাকোয়ারিয়ামে মাছ রাখেন! বাড়িতে রঙিন মাছ চাষ পদ্ধতি জানেন তো?
নানা ধরনের উপায় এর কথা আপনাকে বলা হলো এই প্রতিবেদনে। আপনি ট্রাই করে দেখুন কোনটা আপনার কাজে লাগছে। তবে আরো একবার বলি আমরা কোন অন্ধ বিশ্বাস বা কুসংস্কারকে প্রশ্রয় দিই না। আর কারোর কোন ঘটনার সঙ্গে প্রতিবেদনের কোনও বক্তব্য মিলে গেলে সেটা নিতান্তই কাকতালীয়।