Breaking Bharat: আমরা সবসময়ই হাত ঘড়ি পড়ি (Watch ) ! কিন্তু ঘড়ি সাধারণত বাম হাতে পরার চল বেশি।কেন জানেন ? হাতঘড়ি এতটাই ভঙ্গুর ছিল যে, ডান হাতে পরলে তার আয়ু এক দিনও হতো না। তাই কিছুটা বাধ্য হয়েই বাঁ-হাতে পরতে হয়েছিল ঘড়ি। আজ এই প্রতিবেদনে জানাবো ঘড়ির ইতিহাস, যা জানলে আপনি চমকে উঠবেন!
ঘড়ি পরেন বুঝি! কোন হাতে ডান না বাম? কেন বাম হাতে বেশি ঘড়ি পরার চল বলুন তো? জীবনে সময়ের মূল্য অমূল্য, তাই সময় মেনে কাজ করা দরকার। কিন্তু সময় মানতে সময়কে জানতে হবে। আর এই কাজে সাহায্য করবে ঘড়ি। তাই পকেটে বা হাতে, ঘড়ি সবসময়ই সাথে থাকা চাই। তবে একটু ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যায় ঘড়ি সাধারণত বাম হাতে পরার চল বেশি। কেন বলুন দেখি?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, যখন ছোট ঘড়ির (small watch) জন্ম হয়েছিল, তখন বেশির ভাগই তা পকেটে রাখতেন। এ জন্য পকেট ঘড়ির চল সে সময় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। কবজিতেও যে ঘড়ি পরা যেতে পারে, সে বিষয়ে কারও সে সময় কোনো ধারণা ছিল না। তবে বোর যুদ্ধের সময় একদল সৈনিক চামড়ার স্ট্র্যাপে ঘড়ি আটকে কবজিতে পরা শুরু করেন।
হাত ঘড়ির (wrist watch) জন্মলগ্ন থেকেই বাঁ-হাতে পরা শুরু হয়েছিল, কারণ ছিল একটাই। আসলে সে সময়কার হাত ঘড়ি ছিল বেজায় বড় এবং ভঙ্গুর। তাই সহজেই যাতে কোথাও ঠোকা লেগে ঘড়িটা ভেঙে না যায়, তা সুনিশ্চিত করতেই বাঁ-হাতে ঘড়ি পরা শুরু হয়েছিল। কারণ, বিভিন্ন কাজ করতে ডান হাত যতটা ব্যবহার করা হয়, ততটা কিন্তু বাঁ-হাতে হয় না।
ইতিহাস ঘেঁটে বাঁ-হাতে ঘড়ি পরার কারণ (reason for wearing a watch) নিয়ে ধারণা করা গেলেও এ সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া সম্ভব হয় বিজ্ঞানের হাত ধরেই। আসলে বেশিরভাগ মানুষ ডান হাতে কাজ করতে স্বচ্ছন্দ। আর ডানহাতি মানুষদের চোখের গতিবিধি বিচার করলে এ কথা বুঝতে অসুবিধা হয় না, বাঁ-হাতে ঘড়ি পরলে সহজে সময় দেখা সম্ভব (Left-hand watch) । অবশ্য আজকাল অনেকেই ডান হাতে ঘড়ি পরেন, এটা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ব্যাপার।
আরো পড়ুন- Selling clothes : ব্যবহার করা পুরনো পোশাক বা জামা কাপড় থেকে রোজগার করতে চান? কিন্তু কীভাবে ?
আরো পড়ুন- Barcode or QR : বারকোড কিভাবে বানানো হয় ? বারকোড বা কিউআর কোড স্ক্যান কীভাবে কাজ করে ?
এর সাথে বিজ্ঞান ইতিহাস মিলে গেছে। মূলত বোর যুদ্ধের সময় ব্রিটিশ এম্পায়ারের সৈনিকরা যখন দক্ষিণ আফ্রিকান রিপাবলিককে ধ্বংস করছে, তখন জন্ম নেওয়া হাতঘড়ি এতটাই ভঙ্গুর ছিল যে, ডান হাতে পরলে তার আয়ু এক দিনও হতো না। তাই কিছুটা বাধ্য হয়েই বাঁ-হাতে পরতে হয়েছিল ঘড়ি। এরপর সেই অভ্যাস ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের অন্দরে চিরস্থায়ী ছাপ ফেলে। ফলে তা অভ্যাসে রূপান্তরিত হয়।
আরো পড়ুন- Shiva in Kailash : কৈলাসে ভগবান ভোলানাথের বাস? দেবাদিদেব মহেশ্বর সত্যিই কি কৈলাসে থাকেন?
তাই বুঝতেই পারছেন ইতিহাস আর বিজ্ঞান মিলে মিশে একাকার। আর মানুষ তো অভ্যাসের দাস, কথায় আছে না habit is our second Nature