Breaking Bharat: ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ! প্রস্রাবে জ্বালা ভাব? ইউরিন ইনফেকশন নয় তো (Urine infection)? অবহেলা করবেন না! বড় সংক্রমণ হতে পারে আপনার
স্বাস্থ্যই সম্পদ, তাই শরীরকে ঠিক রাখা দরকার। কিন্তু কখনও যদি বেঠিক হয়, তাহলে অবহেলা করবেন না। ডাক্তারের পরামর্শ নিন আজই।
এই প্রতিবেদনে আজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক সমস্যার কথা বলছি আপনাদের। পরিসংখ্যানের হিসেব বলছে সংক্রমণ জনিত কারণে ভারতে প্রতি বছর কয়েক লক্ষ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু না হলে বিপদ বাড়ার আশঙ্কা থেকে যায়। আজ বলব সেরকমই এক সংক্রমণ জনিত সমস্যার কথা (How serious is a urine infection?)।
ইউরিন ইনফেকশন- (Urine infection) :
সাধারণত এই সমস্যাটি মহিলা ও পুরুষ উভয়ের মধ্যে হলেও মহিলাদের মধ্যে ইউরিন ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। আসলে মহিলারা যখন তখন যেখানে সেখানে প্রস্রাব করতে পারেন না। এতে ক্ষতি হয় মহিলাদেরই। তবে কিছু লক্ষণ আছে যা থেকে আপনার সমস্যার অনুমান করতে পারেন (urinary tract infection causes)।
তাহলে প্রথমেই এই প্রস্রাব নির্গমনের বিষয় নিয়ে কথা বলা যাক। আমরা যখন জল খাই তখন তা বৃক্ক বা কিডনির মাধ্যমে ছেঁকে মূত্রনালি দিয়ে মূত্র হিসেবে বেরিয়ে যায়। মানুষের শরীরের দুটি কিডনি, দুটি ইউরেটার, একটি ইউরিনারি ব্লাডার এবং ইউরেথ্রা নিয়ে মূত্রতন্ত্র গঠিত।
আর এই রেচনন্ত্রের যে কোনও অংশে যদি জীবাণুর সংক্রমণ হয় তাহলে সেটাকে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বলা হয়। কিডনি, মূত্রনালি, মূত্রথলি বা একাধিক অংশে একসঙ্গে এই ধরণের ইনফেকশন হতে পারে। এই সংক্রমণই হল ইউরিন ইনফেকশন।
ইউরিন ইনফেকশন হলে কি সমস্যা হয়?
প্রস্রাব করার সময় জ্বালা বা ব্যথা করা বা ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ অনুভব করা অথবা প্রস্রাবের রং পাল্টে যাওয়ার মতো সমস্যা হলে, সতর্ক হোন। মনে রাখবেন ইউরিন ইনফেকশন হলে বমি ভাব বা জ্বর চলে আসতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে দেখতে পারেন (symptoms of a bladder infection)।
তবে আবারও বলছি বিষয়টি হালকা ভাবে নেবেন না। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নিন। প্রথমেই বলি জল পানের বিকল্প কিছু নেই। ইউরিন ইনফেকশন হলে কিংবা ঘন ঘন ইউরিন ইনফেকশন হওয়ার প্রবণতা থাকলে প্রতিদিন অন্তত আড়াই লিটার জল খাওয়া উচিত।
বিশেষ করে প্রসাবে হলুদ ভাব দেখা গেলেই দেরি না করে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া শুরু করা উচিত। আর যাদের প্রায়ই এই সমস্যা হয় তাঁরা সব সময়েই একটু বেশি জল খাওয়ার অভ্যাস করবেন। সাধারণত প্রতি ৪ থেকে ৫ ঘন্টা পর পর প্রস্রাব হওয়া উচিত। প্রস্রাব হতে এর চাইতে বেশি দেরি হলে বার বার জল খেতে থাকুন। এই সময় প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।
ভিটামিন সি মুত্রথলীকে ভাল রাখে এবং প্রস্রাবের সময় জ্বালা ভাব কমাতে সহায্য করে। এছাড়াও ভিটামিন সি ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, ইউরিন ইনফেকশনে আক্রান্ত রোগীদেরকে সাধারণত ব্রোমেলাইন সমৃদ্ধ অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয় (urine infection medicine)।
আরো পড়ুন- Khudiram Bose : মৃত্যুর আগে জল্লাদকে ঠিক কোন প্রশ্ন করেছিলেন ক্ষুদিরাম?
তাই ইউরিন ইনফেকশন হলে প্রতিদিন এক কাপ আনারসের রস খান। আনারসে ব্রোমেলাইন নামক উপকারী এঞ্জাইমের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এই তথ্য অবশ্যই যাচাই করে তারপর প্রয়োগ করার অনুরোধ রইল। আপনি কি জানেন, ইউরিন ইনফেকশন অন্তত দু’দিনের বেশি সময় ধরে থাকে।
আরো পড়ুন- Harmful aspects: সাজগোজের মধ্যেই রয়েছে ভয়ঙ্কর বিপদ! জানেন কি সাজের ক্ষতিকর দিক ?
আর এই সময়ের মধ্যে সংক্রমণ কিডনিতে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থেকেই যায়। তাই যত দ্রুত সম্ভব এর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। বেকিং সোডা বেশ কার্যকরী। দ্রুত ইউরিন ইনফেকশন সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। আধ চামচ বেকিং পাউডার এক গ্লাস জলেতে ভাল করে মিশিয়ে দিনে একবার করে খেলেই প্রস্রাবের সময় জ্বালা বা ব্যথা ভাব কমে যাবে।
আরো পড়ুন- Virginity Test : ভার্জিনিটি নিয়ে ভ্রূ কুঁচকান? বিয়ের বাজারে কুমারী মেয়ের কদর কেন বেশি?
তবে একবার ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে নেওয়াটা জরুরি। সমস্যা হলে সমাধান মিলবেই। কিন্তু সঠিক সময়ে চিকিৎসা করান।