University of Oxford : উচ্চশিক্ষার অন্যতম আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম অক্সফোর্ড, পড়তে চান সেখানে? জেনে নিন প্রবেশিকার নিয়ম কানুন!
মন দিয়ে লেখাপড়া করে বড় এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী লাভ করতে প্রত্যেকই চায়। আর সেই ডিগ্রি যদি হয় বিশ্বের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাহলে কেমন হয়? জানি , এক কথায় যে প্রতিষ্ঠানের নাম মাথায় আসছে সেটাই অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি।
লন্ডন মানে ইংল্যান্ডের স্বায়ত্তশাসিত এক উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এটি। ইংরেজি ভাষার এক অনন্য এবং বিশ্বের সুপ্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। চলুন তাহলে এবার এখানে পড়াশোনা কী ভাবে করবেন সেটা জেনে নেওয়া যাক।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যোগ্যতা:
ভৌগোলিক অবস্থান হিসেব করলে লন্ডনের উত্তর-পশ্চিমে প্রায় ৮০ কিমি দূরে এই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। এই অক্সফোর্ড ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে জায়গা দখল করে নিয়েছে। বিশ্বব্যাপী তৈরি হওয়া বিভিন্ন শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে এর স্থান পঞ্চম।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করার একটাই মাত্র শর্ত আছে সেটা হল আপনাকে মেধাবী হতে হবে। মন দিয়ে পড়াশুনা করে নম্বর আরেকটু করতে হবে আপনাকে, তারপর অক্সফোর্ডের গ্রহণযোগ্যতার মানদন্ডে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। তবেই পাবেন পড়ার সুযোগ।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস:
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ঘেটে জানা যায় অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি দ্বাদশ শতকের প্রথম দিকে পথ চলতে শুরু করে। অনেকের মতে ১০৯৬ সালের দিকেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পাঠ পড়ান হত। আনুমানিক১১৮৮ সাল নাগাদ জেরাল্ড অফ ওয়েলস, এই বিশ্ববিদ্যালয় জনসম্মুখে শিক্ষা দান করেন ।
১১৯০ সালে প্রথম পরিচিত বিদেশী ছাত্র ফ্রিসল্যান্ডের ইমো আসার পরই আন্তর্জাতিক ভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা আরো বেশি করে গতি পায়। শুরু থেকেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল উদ্দেশ্য ছিল উন্নত মানের পঠন পাঠন প্রদান। যদিও মাঝে রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় কারণে কিছু অস্থিরতার সাক্ষী হয়েছিল অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কিন্তু প্রথম থেকেই মহিলাদের পঠন-পাঠনের সুযোগ ছিল না। পরবর্তীকালে সভ্যতার প্রগতির সঙ্গে সঙ্গে এই নিয়মের পরিবর্তন হয় আর এখন অনায়াসেই ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে প্রত্যেকেই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করতে পারেন।
বর্তমানে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধীনস্থ ৩৯টি স্থায়ী কলেজ রয়েছে এবং এর মধ্যে এর মধ্যে ৭ টি পারমানেন্ট প্রাইভেট হল রয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিজের পছন্দের সাবজেক্ট নিয়ে কলেজ নির্বাচন করে নিতে হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়ারা একাধিক সুযোগ-সুবিধা পান। থাকার সুবিধা থেকে শুরু করে লাইব্রেরি, গবেষণাগার, প্রার্থনাহল, ডাইনিং হল সবই আছে এখানে।
আরো পড়ুন – Manush Manusher Jonno: মানুষ মানুষের জন্য, এই ভাবনায় কি আপনি বিশ্বাসী?
প্রায় ৪০০-৫০০ শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য বন্দোবস্ত আছে বলে জানা যায় । জেনে রাখুন যে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৩২৫০ টি জায়গা থেকে কুড়ি হাজার মেধাবী শিক্ষার্থীরা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পড়ার জন্য আবেদন করেন। ঠিক কবে আবেদন করা যাবে এর জন্য অক্সফোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নজর রাখতে হবে আপনাকে এবং মনে রাখবেন গাইড লাইনের মধ্যেই বিশদ বিবরণ দেওয়া থাকে।
আরো পড়ুন – আপনার কী সবসময় শীত শীত অনুভূতি হয়? লেপ কম্বল চাপা দিয়ে হাত পা ঠান্ডা থাকে?
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যোগ্যতা:
আবেদন করার ক্ষেত্রে দুটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক, সঠিকভাবে আপনার যোগাযোগের ঠিকানা নির্ধারিত জায়গায় লিখতে হবে আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে নিজের সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করতে হবে। এইখানে কোন গন্ডগোল হলে চলবে না। এই বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করার জন্য যে দুটি যোগ্যতা থাকা আবশ্যক তা হল।
আরো পড়ুন – অন্যান্য মহাদেশের থেকে এশিয়াতে কুসংস্কার এত বেশি কেন?
১) অক্সফোর্ড এর মাস্টার্সের শিক্ষার জন্য, আপনার স্নাতকের ফলাফল ৪ এর মধ্যে সর্বনিম্ন সিজিপিএ থাকতে হবে ৩.২। যদি কেউ ৪ এর মধ্যে ৩.৯৯ থাকে তাহলে সে বেশি সুবিধা পাবে।
২) এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গেলে আপনাকে ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে। আপনাকে IELTS এর স্কোর সর্বনিম্ন ৭ পয়েন্ট অর্জন করতে হবে। স্কোর যদি ৭.৫ হয় তাহলে ভর্তি হওয়ার সহজ।
তাহলে বুঝতেই পারলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে গেলে মেধা আর অবশ্যই নিজের পড়াশোনা করার মানসিকতা উন্নত হওয়ার দরকার।