Breaking Bharat: ভালো বাসায় ভালোবেসে ভালো করে থাকা কারে কয়, খুঁজে দেখি পাখির আশ্রয়! পাখিরা আকাশের বাসিন্দা কিন্তু গাছে গাছে তাদের বেচেঁ থাকার বন্ধন। সেখানেই ভালোবেসে ভালো বাসা তৈরি আর সংসার গড়ে তোলা (Types of bird nests)।
কারণ, প্রত্যেকটি পাখিই খুব যত্নে নিপুণভাবে বাসা বোনে (Birds build their nests very carefully)। এই বাসাতেই তারা বসবাস করে, ডিম পাড়ে। একসময় ডিম ফুটে হয় ছানা। ছানারা উড়তে শিখে বাসা ফেলে চলে যায়। উড়ে যায় বাবা-মা পাখিও। একেক পাখির বাসা দেখতে একেক রকম। এভাবেই যেন প্রকৃতি তৈরি করে তাদের। আজ নিজেদের অন্ন বস্ত্র বাসস্থান নিয়ে আলোচনা না করে, চলুন ওদের বাসায় ঢুঁ মারা যাক!
প্রথমেই বুলবুল পাখি (Bulbul bird), কেমন মিষ্টি তার বাসা। খড় আর গাছের শিকড় জোগাড় করে সাধ্যমত বানিয়েছে বটে। বেলিফুল গাছে ভালোবাসার বাসা।
বাসা যিনি বানান খাসা তিনি তো বাবুই পাখি (Babui Pakhi)। ইঞ্জিনিয়ার বললে কম বলা হবে না। শূন্যে ভেসে ভেসে খড়-শিকড় দিয়ে বাসা বানায়। সুঁচ-সুতো ছাড়াই একটার সঙ্গে আরেকটা খড় বুনে চলে নিপুণভাবে। তাল ও নারকেলগাছের পাতায় বানানো বাসা দেখে আপনিও বলবেন চমৎকার! (most birds use to build nests)
মাছ ভালোবাসে মাছরাঙা (Machranga Pakhi)। কেমন হয় তার ঠিকানা? পুকুর, নদী কিংবা খালের খাড়া পাড়ে মাটিতে গর্ত করে বাসা বানায় মাছরাঙা। সাপ, কিংবা বেজির সাধ্য নেই খাড়া পাড় বেয়ে বাসায় ঢোকে।
কানাকুয়া পাখি (kanakuya Pakhi) চেনেন? না চিনলেও হাঁড়ির মতো বাসা দেখে বুঝতে অসুবিধা হবে না যে এটা তাদের কীর্তি। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, একগুচ্ছ পাতা আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা।
ছোট্ট টুনটুনির থাকার জায়গা খুব পরিপাটি। গাছের শিকড়, খড়, শুকনো পাতা ইত্যাদি দিয়ে বাসার বাইরের দিকটা তৈরি। ভেতরে তুলো দিয়ে তৈরি গদি। বর্ষাকালে একটু অবিন্যস্ত হয় বটে।
কাকের বাসা দেখেছেন? ঝাড়ুদার পাখি বড়ই অপরিষ্কার। যেখানে যা পায় তাই দিয়েই কাজ চালায়। এই বাসা অবশ্য ধার দেওয়া হয় কোকিলকে। ভাবা যায়!
বিশাল আকারের পাখি শামুকখোল। তাই এদের থাকার জন্য অনেক বড় বাসা বানাতে হয়। একটা বাসার দৈর্ঘ্য প্রায় এক মিটার। অশ্বত্থ, বট, বড় শিরীষগাছে একসঙ্গে ১০০-২০০টি পর্যন্ত বাসা দেখা যায়।
টিয়া পাখি (Tiya Pakhi), পোষ্য হিসেবে খাঁচাতেই থাকে। কিন্তু যদি নিজের ঘর বানাবার সুযোগ পায় তাহলে উঁচু নারকেলগাছে বাসা বাঁধে টিয়াপাখি। (birds build their nests)
আরো পড়ুন- Tube well Water : নলকূপের জল খান? আর্সেনিক মুক্ত জল খেতে কত গভীর নলকূপ প্রয়োজন?
আপনি কি জানেন মাকড়সার জাল মিশিয়ে বাসা তৈরি হয়? এই কাজটি করে ছোট্ট পাখি ফটিকজল। বাবলাগাছে পেয়ে গেছে মাকড়সার জাল। সঙ্গে বাবলার পাতাও কাজে লাগাতে চায়। সে জন্যই পাখিটার এই উল্টোবাজি। (Pakhir Basha)
আরো পড়ুন- Tongue : শরীর অসুস্থ? ডাক্তার কী বললেন? জিভ দেখতে চেয়েছেন নিশ্চয়ই, কেন বলুন তো?
সবশেষে রাজার কথা। ফিঙে পাখি হলো মেঠোপাখিদের রাজা। ফিঙের বাসা থেকে ডিম কিংবা ছানা চুরির ক্ষমতা কোনো শিকারি পাখির নেই। লড়াকু পাখিটা বাসা বানায় ফাঁকা জায়গায়। পাখির তুলনায় বাসা ছোট। বাঁশের শুকনো পাতা, শিকড় ইত্যাদি দিয়ে বাসা বানায় ফিঙেরাজা।