Breaking Bharat: প্রতি ঘরেই জন্ম নেয় যমজ শিশু (Twins are born)। এই প্রতিবেদনে স্পষ্ট হবে যমজ সন্তান জন্মের রহস্য! কী ভাবে বুঝতে পারেন না স্বয়ং বিজ্ঞানীরাও! ঘরে ঘরে যমজ শিশু, কোন জাদুতে হয় বলুন দেখি?
জন্ম মৃত্যু বিয়ে, তিন বিধাতা নিয়ে। কিন্তু বিজ্ঞানের নিয়মে আজ রহস্য অনেক সহজ ভাবে আমাদের কাছে এসে ধরা দিয়েছে। তবে কিছু প্রশ্ন আজও থেকে যায়, কিছু রহস্য সমাধান হয় নি। সেরকমই এক জায়গায় আজ নিয়ে যাবো আপনাদের। যেখানে জন্মটাই একটা রহস্য বটে (Twins are born in every house)।
স্পষ্ট হবে যমজ সন্তান জন্মের রহস্য:
হ্যাঁ, প্রতিবেদনে স্পষ্ট হবে যমজ সন্তান জন্মের রহস্য। কারণ কেরলের এক গ্রামে জন্ম হার ব্যাপারটা বেশ রহস্যময় । কারণ এখানে প্রতি ঘরেই জন্ম নেয় যমজ শিশু। কী ভাবে বুঝতে পারেন না স্বয়ং বিজ্ঞানীরাও।
কেরলের মালাপ্পুরমের এই গ্রামে প্রায় দুহাজার পরিবার আছে এবং প্রায় চারশ যমজ সন্তান রয়েছে। তাহলে নিশ্চয়ই অঙ্কের হিসেবটা বুঝতে পারছেন। বাইরে থেকে দেখলে মালাপ্পুরম গ্রামকে আর পাঁচটা দক্ষিণ ভারতীয় গ্রামের থেকে সেভাবে আলাদা করা সম্ভব নয়।
প্রায় প্রতি ঘরেই আছে যমজ সন্তান (Twins are born):
কিন্তু এই গ্রামে প্রবেশ করলে বুঝবেন কতটা আলাদা এই গ্রাম । এখানে প্রায় প্রতি ঘরেই আছে যমজ সন্তান। আচ্ছা গ্রামের নাম তো বলাই হয় নি। গ্রামের নাম কোদিনহা। সমীক্ষা বলছে, যেখানে ভারতে প্রতি হাজারে যমজের সংখ্যা ৯ এবং গোটা বিশ্বে সেই সংখ্যাটা প্রতি হাজারে ৬।
আরো পড়ুন – আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে শেষ করে দেয়? তাহলে আগুনের উপর কী করে বাসস্থান গড়ল মানুষ?
কিন্তু সেই নিরিখে কোদিনহিতে প্রতি হাজারে যমজের সংখ্যা ৪৫ ! এই গ্রামে প্রবেশ করতে গেলে প্রথমেই একটি সাইনবোর্ড চোখে পড়বে আপনার। যেখানে লেখা আছে “ওয়েলকাম টু দ্য গডস্ ওন টুইনস ভিলেজ”৷ অর্থাৎ কিনা ঈশ্বরের নিজের যমজ গ্রাম।
এই গ্রামেও স্বাভাবিক হারে যমজ সন্তান জন্ম নিত:
কেরলের মালাপ্পুরমের এই গ্রামের আরেক পরিচয় যমজ গ্রাম। গ্রামের মানুষেরা বলছেন এটা নাকি আজকের ঘটনা নয়, অতীতেও এই গ্রামেও স্বাভাবিক হারে যমজ সন্তান জন্ম নিত (Twins were born in this village)। কিন্তু গত প্রায় ৬০-৭০ বছরে যমজ সন্তান জন্মের হার কেমন কেন অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে বলে মনে করা হয়।
আরো পড়ুন – স্বামী স্ত্রীর মাঝে শাশুড়ির আগমন অর্থাৎ স্বামী স্ত্রীর বেডরুমে শাশুড়ি! কী করবেন ?
আসলে বিষয়টি প্রথম নজরে আসে ২০০৮ সালে। এই বছরেই এই কোদিনহা গ্রামের একটি স্কুলের ক্লাসে দেখা যায় প্রায় ৯ জোড়া যমজ ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। এরপর সন্দেহ হয়, শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। হিসেব করে দেখা যায় সব মিলিয়ে ওই স্কুলেই ছিল ২৪ জোড়া যমজ ছাত্র-ছাত্রী।
জমজ সন্তানদের স্যাম্পেল কালেক্ট করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা:
তবে শুধু তুই নয় অনেক ক্ষেত্রে তিনজনও দেখা যায়। কিন্তু এটা কী করে সম্ভব বিজ্ঞানের মনে প্রশ্ন জেগেছে তাই জমজ সন্তানদের বিভিন্ন স্যাম্পেল কালেক্ট করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছে। অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন কোন রাসায়নিক বা জৈব পদার্থ মিশে আছে ওই গ্রামের আবহাওয়ার মধ্যে যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে সন্তানের ওপর।
আরো পড়ুন – গ্রামের বাড়িতে গুগল? অলিগলিতে ওবামা? সামনেই থাকে সুপ্রিম কোর্ট! অবাক হচ্ছেন?
গ্রামের অনেকে বিশ্বাস করেন এই গ্রামে যে পানীয় জল তার যে উৎসব সেখানেই এমন কোন রহস্য রয়েছে যার থেকে প্রতি ঘরে জগত সন্তান জন্মায়। প্রতি বছর ১৫ জোড়া যমজ সন্তান জন্মাচ্ছে এই গ্রামে। বর্তমানে সংখ্যাটা ৫০০ জোড়া ছাড়িয়ে গেছে। যদিও এর রহস্যের সমাধান আজও হয়নি।
চুলের নমুনা থেকে লালারসে নমুনা সবটাই সংগ্রহ করেছেন বিজ্ঞানীরা তবে এখনো পর্যন্ত কোনো কিছুই উদ্ধার করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এই সব কিছুই যেন প্রমাণ করে দেয় বিশ্বজুড়ে কত রহস্য রয়েছে। আমাদের জানার আরো অনেক বাকি।