Breaking Bharat : স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নিয়ে ঝক্কি? আবেদন করা সত্ত্বেও মিলছে না লোন? এবার এই সমস্যা থেকে মুক্তি! কড়া পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে দুয়ারে রেশন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের (Student Credit Card) মতো একের পর এক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। নির্বাচনে জয় পেয়েই সেই প্রতিশ্রুতি পালন করতে দেখা গেছে মমতাকে। শুরু হয়েছে পূর্বঘোষিত প্রকল্পগুলি।
ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার খাতে সাহায্যের জন্য দেওয়া হয়েছে ক্রেডিট কার্ড। যার মাধ্যমে শিক্ষার উদ্দেশ্যে ঋণ পাবেন পড়ুয়ারা (Students will get loan for the purpose of education)। যার জন্য ব্যাঙ্কের কাছে জমা রাখতে হবে না কিছুই। ১০ লক্ষ টাকার (10 lakh rupees) এই ঋণের গ্যারান্টার থাকবে খোদ সরকার। সব মিলিয়ে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নিয়ে রাজ্য জুড়ে সাড়া পড়েছে। তবে এরই মধ্যে যেন ‘বিধি বাম’!
স্বাস্থ্য সাথি কার্ডের ক্ষেত্রে যেমনটা অভিযোগ শোনা গিয়েছিল, তেমনই প্রশ্ন উঠছে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নিয়ে। বহু ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ দিতে চাইছে না ঋণ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের তরফে এই অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিকবার সতর্ক করা হলেও মিটছে না সমস্যা।
আরো পড়ুন- Post office : ৫ হাজার টাকা বিনিয়োগে ব্যবসা শুরু করতে চান?
স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড (Student Credit Card) নিয়ে জটিলতা যেন ক্রমেই বেড়ে চলেছে। শিক্ষার জন্য আবেদন করেও মিলছে না লোন, এমনটাই অভিযোগ। এমনকী, সপ্তাহ দুয়েক আগে সংবাদসূত্রে দেখা গেছে, প্রায় একলক্ষ পড়ুয়া আবেদন করলেও লোন পেয়েছেন মাত্র ১০০০ জন। স্বাভাবিকভাবেই মহা ফাঁপড়ে শিক্ষার্থী-সহ অভিভাবকরা। তবে রাজ্যবাসীর এহেন সমস্যা মেটাতে এবার হস্তক্ষেপ করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। যে সমস্ত ব্যাঙ্ক লোনের বিষয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে ‘গড়িমসি’ করছে, তাদের উদ্দেশে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর।
আরো পড়ুন- রাজ্যে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মতোই এবার চালু হবে পুরুষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী
অবিলম্বে সমস্যা মেটাতে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। চলতি সপ্তাহেই নবান্নে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক পর্যালোচনা বৈঠক। জেলাশয়াসকদের সঙ্গে এই ভার্চুয়াল বৈঠকে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত এই সমস্যা মেটানোর নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিটি জেলাশাসককে বিষয়টি নজরে রাখতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুসারে ছাত্রছাত্রীদের যদি হয়রানির ঘটনা ঘটে, তাহলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে করা হবে কঠোর পদক্ষেপ।
ভার্চুয়াল বৈঠকে মুখ্য সচিব জেলাশাসকদের উদ্দেশ্যে নির্দেশ দেন যে, ‘জেলার সমবায় ব্যাংক গুলির উপর আপনারা চাপ দিন, যাতে পড়ুয়ারা লোন পায়। বেসরকারি ব্যাংক ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর সঙ্গেও আপনারা ক্রমাগত যোগাযোগ রেখে চলুন।’
আরো পড়ুন- চাকরির দাবিতে অনশন করা পরিবার গুলোর সাথে দেখা করলেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব
দুয়ারে রেশন থেকে শুরু করে লক্ষ্মী ভাণ্ডার, আবার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রভৃতি প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যবাসীর মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা যদি বাস্তবায়িত না হয় তাহলে প্রকল্প চালু করে লাভই বা কী! তাই অবশেষে নবান্নের হস্তক্ষেপে এই সমস্যা দ্রুত মিটবে বলেই আশাবাদী, রাজ্যবাসীর একাংশ। আর এরপরও যদি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা না করে তাহলে সরকারের অ্য়াকাউন্ট তুলে নেওয়ার ব্যাপারেও জেলা গুলিকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। এই কড়া বার্তার পরই নড়েচড়ে বসেছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ, এমনটাই সূত্রের খবর।