Breaking Bharat: ওষুধের অভাবে সাপের কামড়ে মৃত্যু আর নয়? হতে চলেছে সাপের কামড়ের (Snake bite) রোগীদের চিকিৎসার ট্যাবলেটের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। তাহলে কি প্রাণহানি ঠেকাতে আসছে খাওয়ার ওষুধ?
কাউকে সাপে কামড়ানোর ৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগীকে অ্যান্টি-স্নেক ভেনম ইঞ্জেকশন (Anti Snake Venom Injection) দেওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু আজও মানুষের নানান কুসংস্কারের জন্য, অনেক সময় নানান কারনে এই ইঞ্জেকশন নিয়ে উঠতে পারেন না।
অনেক সময় তো প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে মেলেও না এই ইঞ্জেকশন। এবার দুশ্চিন্তার শেষ! খোদ কলকাতায় হতে চলেছে সাপের কামড়ের রোগীদের চিকিৎসার ট্যাবলেটের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল (Treatment of snake bite patients)। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে শুরু হল সাপে কামড়ানোর ওষুধের পরীক্ষা-নিরীক্ষা (Testing for snake bite drugs)।
নতুন এই ট্যাবলেটটির নাম ভ্যারেসপ্লেডিব মিথাইল। যদিও সূত্রের খবর, এই ট্যাবলেটটি খাওয়ার পাশাপাশি অ্যান্টি-স্নেক ভেনম (Anti snake venom) বা এএসভি ইঞ্জেকশনও (ASV injection dose) নিতে হবে রোগীকে, এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
জানা যাচ্ছে, সাধারণত স্যালাইনের মাধ্যমে অ্যান্টি-ভেনম দেওয়া হয়। তাতে এএসভি-র ২০টি ভায়াল মেশানো হয়। কখনও তা ৩০-৪০টাও লেগে যায়। এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর দেখা হবে, এই ট্যাবলেট খাওয়ার পর এএসভির পরিমাণ কতটা কম লাগছে।
আরো পড়ুন- Tongue infection: গরম চা-কফি খেয়ে জিভ পুড়ে গেলে কী হবে? জেনে নিন কি করতে হবে ?
ট্রায়ালে ট্যাবলেটটি সফলভাবে পাস করলে একটা বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে যে, কিছুটা দেরিতে এএসভি শরীরে ঢুকলেও সাপে কাটা আক্রান্ত রোগীর (Patients infected with snake bites) কোনও ক্ষতি হবে না।
আরো পড়ুন- KGF Chapter2 : কেজিএফ চ্যাপ্টার ২-এর বড়সড় সাফল্য! রিলিজের আগেই সিনেমা সুপারহিট?
ন্যাশনাল মেডিক্যালের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর, চিকিত্সক পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, ‘আগে এখানকার সাপেদের উপরে ভিত্তি করে বেঙ্গল কেমিক্যাল, পাস্তুর ল্যাবরেটরিতে তৈরি হত এএসভি। এখন ভিন্ রাজ্য থেকে সেগুলি আসছে।
সেখানকার সঙ্গে এখানকার সাপের বৈশিষ্ট মিলছে না, তাই ভেনম আলাদা হচ্ছে। ফলে অ্যান্টি-ভেনম দিলেও অনেক সময়ে রোগী বাঁচছেন না। সেই কারণে এই ট্যাবলেটটির কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হচ্ছে।’
জানা যাচ্ছে ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (National Medical College Hospital) রোগী এলে তাঁকে এএসভি এবং ভ্যারেসপ্লেডিব মিথাইল ট্যাবলেট একসঙ্গে দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ড. স্নেহেন্দু কোনার জানান, ‘ন্যাশনাল মেডিক্যাল-সহ দেশের আরও তিনটি হাসপাতালে হচ্ছে এই ট্রায়াল। এ দেশে মোট ১১০ জনের উপরে ট্যাবলেটটি প্রয়োগ করা হবে। ৫০ শতাংশ রোগী পাবেন প্লেসিবো।’