Breaking Bharat: বারান্দায় বসে গরম চায়ে চুমুক দেওয়া অনেকেরই স্বভাব, কিন্তু জিভ পুড়ে গেলে কী হবে? চা সকলের বড় প্রিয়, ঠান্ডা আমেজে কফি আরো লোভনীয় (drinking tea and coffee) । কিন্তু এগুলোর আসল স্বাদ পাওয়া যায় যখন এগুলো গরম থাকে। অনেকে হয়তো এই বক্তব্যকে সমর্থন করবেন না। কারন আজকাল আইস টি বা কোল্ড কফির চাহিদা তুঙ্গে। তবু চা বা কফি মানে হল গরম পানীয়। কিন্তু প্রাণভরে স্বাদ উপভোগ করার আগে হঠাৎ বিপত্তি। তারপর? (tongue feels burnt for days)
আয়েশ করে চা বা কফি খেতে গিয়ে অনেক সময় জিভ পুড়ে যায়। এটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। আর পুড়ে যাওয়ার পর জিহ্বা জ্বালাপোড়া করে এবং সহজে কমতেও চায় না। হাজার চেষ্টা করেও অস্বস্তিকর অনুভূতিকে কাটানো যায় না। সেক্ষেত্রে আপনি কী কী করতে পারেন সেটাই এই প্রতিবেদনের মূল বিষয়।
তবে আপনাদের জানিয়ে রাখি এই প্রতিবেদনে আলোচিত বিষয় গুলি সাধারণ প্রশ্নের থেকে উঠে এসেছে। কোন ব্যক্তিগত ঘটনা বা ব্যক্তি বিশেষকে নির্দেশ বা ইঙ্গিত করা আমাদের লক্ষ্য নয়। যদি সেরকম কিছু হয়ে থাকে তাহলে তা নিতান্তই কাকতালীয়। এবার সমস্যা সমাধানের সম্ভাব্য উপায় গুলো কী কী হতে পারে একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।
জিহ্বা পুড়ে গেলে (burning tongue) মুখ দিয়ে শ্বাস নিন । এতে জিহ্বায় শীতলতা পাবেন এবং পোড়া ভাব দ্রুত সেরে উঠবে। সবার আগে জল দিয়ে মুখ কুলকুচি করুন তারপর ঠাণ্ডা জল মুখে নিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। এরপর সেই জল বাইরে ফেলে দিন। অনেক সময় যে জায়গাটা পুড়ে গেছে মনে হচ্ছে সেখানে বরফ ঘষা যেতে পারে তবে সে ক্ষেত্রে জিভের সহনশীলতাকে গুরুত্ব দিতে হবে (burnt tongue from hot drinks)।
আরো পড়ুন- A person ignores: সময়ের দোষ না নিজেদের অক্ষমতা? কেন বাড়ে দূরত্ব আর এড়িয়ে যাওয়া?
মুখের অর্থাৎ যে জিভের যে অংশটা পুড়ে গেছে মনে হচ্ছে সেখানে মধু লাগাতে পারেন কারণ মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও প্রদাহরোধী উপাদান। এতে জ্বালাপোড়াভাব ও প্রদাহ কমবে। পাশাপাশি এটি পরবর্তী সময়ে মুখে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি প্রতিহত করবে। অ্যালোভেরা লাগাতে পারেন অ্যালোভেরা জেল মুখের মধ্যে লাগিয়ে বেশ খানিকক্ষণ রেখে দিতে হবে। দিনে কয়েকবার এটি করা যেতে পারে। কোনভাবেই ত্বকে ব্যবহারকারী কোন লোশন জিভের মধ্যে দেবেন না (best foods to eat with a burnt tongue)।
আরো পড়ুন- Amoled Display -এমোলেড ডিসপ্লে কী ? তা এমোলেড ডিসপ্লে সম্পর্কে জানা আছে তো?
আরো পড়ুন- Why feel shamed? ইস কী লজ্জা! আহা শুনতে কতই না সোহাগ জাগে, কিন্তু লজ্জা কেন লাগে?
এতে বিষক্রিয়া ঘটে হিতে বিপরীত হতে পারে। তবে সব শেষে একটা কথাই বলব, যদি দেখেন সমস্যা হচ্ছে তাহলে নিজে ডাক্তারি না করে সোজা ডাক্তারের কাছে গিয়ে তার পরামর্শ নিন। মুখ বিশেষ করে জিভ সবসময় সক্রিয় থাকে তাই সেখানে কোনও অসুবিধা হলে, শুধু খাবারের ক্ষেত্রে নয় কথা বলার ক্ষেত্রেও আপনার সমস্যা বাড়তে পারে তাই বিষয়টি হালকাভাবে কখনোই নেওয়া উচিত নয়।