Breaking Bharat: ভবিষ্যৎ সুন্দরভাবে গড়তে (Build the Future ) ঠিক কি করা উচিত? সাময়িক আনন্দের বসে কোন ভুল হচ্ছে না তো? অতীত যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি ভবিষ্যৎ সুন্দরভাবে গড়তে বর্তমানকে ঠিক রাখছেন কি?
কথা বলে অতীত আর ভবিষ্যতের মেলবন্ধন ঘটায় বর্তমান। তাই গতকাল যা করেছেন তার পরিণাম আজ ভোগ করছেন। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করবেন কি? আজ থেকে যদি ঠিক না রাখেন তাহলে ভবিষ্যৎটা কিন্তু কোনভাবেই স্বস্তিদায়ক হবে না।
তাই আজকে কী করে বর্তমান কি ভালো রেখে ভবিষ্যৎকে সুস্থ সুন্দর স্বাভাবিক জীবন আপনি দিতে পারেন সেই নিয়েই করবো আলোচনা।
অনেকেই সাময়িক আনন্দের বসে এমন কিছু কাজকর্ম করে ফেলেন যার ফল ভুগতে হয় আগামীতে গিয়ে। এমন কাজ কখনোই করবেন না, ভুল করেও ভুল করার ভাবে পা দেবেন না। কিছু উদাহরণ দিলে গোটা ব্যাপারটা হয়তো আপনার কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
যেমন ধরুন আপনি আজকে বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে আড্ডা মারতে মারতে সিগারেট খাচ্ছেন বা ধূমপান করছেন। সাময়িকভাবে সেটা ভীষণ আনন্দের বা বলা যেতে পারে স্ট্রেস ফ্রী হওয়ার একটা উপায় বলে মনে হচ্ছে, দারুন সময়ও কাটছে। যতই প্যাকেটের মধ্যে লেখা থাকুক না কেন ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক, যারা নিয়মিত ধূমপান করেন তারা কি আদৌ বিষয়টাকে গুরুত্ব দেন।
কিন্তু যখন বিপাকে পড়বেন অর্থাৎ বিপদ মাথা চাড়া দেবে তখন গিয়ে ওই বোধহয় হওয়ার মতো অবস্থা হবে।কিন্তু দেখবেন ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। এ বিষয়ে আরো কিছু জিনিসের নাম তালিকাভুক্ত করা যেতে পারে। বেশি করে ওষুধ,চিনি,লবণ,ফ্যাট,চর্বি,ড্রিংকস,ইত্যাদি গ্রহন করা।
যখন আপনি এগুলোকে খাচ্ছেন তখন বেশ ভালো মনে হচ্ছে । কিন্তু তারপরই শারীরিক নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে যার কারনটা অজ্ঞাত। ডাক্তারের কাছে গেলে যদি ডাক্তার সেগুলো নিয়ে কথা বলেন তখনই বুঝবেন কী বিপদটাই না ডেকে এনেছেন অজান্তে।
আজকের যুগে কাজের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল দেখতে হয়। মোবাইলের ভালো বা খারাপ গুণগুলো নিয়ে, এখন আর আলোচনা নয় কারণ এটা সর্বজনবিদিত। কিন্তু মোবাইলে আপনি কী দেখছেন সেটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
কাজের জন্য দীর্ঘক্ষণ মোবাইলে হয় এক্সেল কিংবা ওয়ার্ড কিংবা কোনো প্রেসেন্টেশনে মন দিতে হয়। অনেকে আবার বিভিন্ন সাইটে গিয়ে সিনেমা দেখতে পছন্দ করেন। কিন্তু দিনের পর দিন যদি অশ্লীল ছবি বা ভিডিও দেখেন তাহলে মস্তিষ্কে তার গভীর প্রভাব পড়বে।
প্রাথমিকভাবে আপনার মনে হচ্ছে আপনি একাই তো দেখছেন এবং এতে আর ক্ষতি কী? এর জন্য তো আপনাকে বাইরে যেতে হচ্ছে না বা কারো জীবন নষ্ট করতে হচ্ছে না। কিন্তু আপনি কি জানেন নিজের জীবন নষ্ট করছেন? (Are you wasting your life?)
এই সবকিছুর প্রভাব পড়বে আগামীতে, আজকের দিনটা যদি ভালো করে না গড়েন তাহলে কিন্তু কাল কোন ভাবেই আপনার জন্য সুখের হবে না। আপনার জীবনযাত্রায় লক্ষ্য করে দেখুন, আজ যদি বেশি টাকা খরচ করেন কালকে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আজকে যদি বেশি জাঙ্ক ফুড খান আগামীকাল গিয়ে অবশ্যই শরীরে গন্ডগোল তৈরি হবে। তাহলে এগুলো কেন করবেন?
জীবনের একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির রাখা প্রয়োজন কারণ লক্ষ্য ঠিক থাকলে আপনি পথ হারাবেন না। যেমন দেখুন না যখন ঝড় হয়, পাখিরা এলোমেলো এদিক-ওদিক ইতস্তত ঘুরতে থাকে । ঝড় থেমে গেলে ঠিক নিজের বাসায় ফিরে আসে।
আরো পড়ুন- Child trauma : শিশু মন বড় আদরের, শিশুমনে মানসিক আঘাত পেলে সে ট্রমা কাটাবেন কিভাবে?
তাই আপনার জীবনের নীতি আদর্শ শিক্ষা যদি যথাযথ হয় আপনি কখনোই খারাপ পথে যেতে পারেন না। আর যদি নিজে ভালো থাকেন তাহলে অবশ্যই চারপাশকে ভালো রাখার চেষ্টা করবেন। আজকের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই আগামীর জন্য একটা ভালো সমাজ গড়ে তুলবে।
আরো পড়ুন- Patharkuchi plant: হঠাৎ করে পাথরকুচি গাছ হয়ে গেল কেন? আর এই পাথরকুচি গাছ যদি কেউ খায় কী হয়?
তা না করে শুধু নিজের কথা ভেবে ,বেশি সময় ধরে মোবাইল দেখে, অনেকটা সময় ঘুমিয়ে এর ওর উপর নির্ভরশীল হয়ে, আজকের দিনটাকে নষ্ট করবেন না প্লিজ। কোন জিনিস একবার যদি ভুল করে করেন তাহলে সেটা ভুল বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে সেটা অন্যায় ।
আরো পড়ুন- Learn Music: গান শিখতে চান? গায়ক বা গায়িকা হওয়ার স্বপ্ন আছে? তাহলে এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্য
ভুল করলে ক্ষমা পেতে পারেন, অন্যায় করলে শাস্তি দেবে জীবন ভবিষ্যৎ। আজকের একটা ভালো কাজ ভালো অভ্যাস ,আপনাকে আগামীকাল বা পরশু অর্থাৎ ভবিষ্যতে ভালো লাগবে। আজকে পরিশ্রম করুন, আজকে টাকা জমান, আজকে ভালো কোন কাজে মনোনিবেশ করুন, আজকে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।
এগুলো কিন্তু আগামীতে আপনাকে অনেকটা উন্নত করবে। তাই বর্তমান কে সুস্থ সুন্দর সহজ সরল স্বাভাবিক রাখুন, ভবিষ্যৎ ভালো হবেই হবে।