Data Pack: নেট কার্ড ভরতেই দ্রুত মোবাইলে ডেটা শেষ হয়ে যাচ্ছে? ডেটা খরচ বাঁচাবেন কি করে জানেন?
মোবাইল কোম্পানিগুলো হঠাৎ করে রিচার্জ এর দাম বাড়িয়ে ফেলায় সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। আগের থেকে বেশি বাজেট বরাদ্দ করতে হচ্ছে ইন্টারনেট রিচার্জ করার জন্য। কিন্তু তাতেও খুব একটা লাভ নেই কারণ এটা চালু হতে না হতেই কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে এক জিবি ইন্টারনেট নিমেষে শেষ (Tips to Save Internet Data Pack)।
তখন আবার জিও সার্ভিস হলে কখনো ১৯ টাকা বা ২৯ টাকায় এক্সট্রা ইন্টারনেট প্যাক রিচার্জ করতে হচ্ছে। এতে মাসের শেষে দেখা যাচ্ছে আয়ের থেকে ব্যয় বেশি। এখন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা তো রিচার্জ ভ্যালু কমাবেনা। তাহলে আপনি সাশ্রয় করবেন কী ভাবে? উপায় একটাই সহজ পদ্ধতি ব্যবহার করে ডেটা খরচ বাঁচান।
এখনকার দিনে প্রতিটা মানুষ খবরের কাগজের পরিবর্তে ইন্টারনেটে খবর পড়তে বা জানতে পছন্দ করেন। তার পাশাপাশি টিভিতে বসে চ্যানেল ঘোরানোর থেকে ইউটিউবে বা ফেসবুকে আসা খবরের আপডেট বা viral তথ্য মানুষের মন সংযোগ অনেকটা কেড়ে নেয়। তার সঙ্গে আবার রয়েছে রিলস এর বাহার। এটা অনেকটা নেশার মত।
একটা রিল দেখার পর স্ক্রল করতে করতে দেখবেন কখন পনের মিনিট কুড়ি মিনিট আধ ঘন্টা কেটে যাচ্ছে আপনার খেয়াল নেই। এতে চোখের ক্ষতি হচ্ছে, মোবাইলের ব্যাটারি খরচ হচ্ছে ,চার্জ কমে যাচ্ছে আর ‘ইন্টারনেট ফুরিয়ে যাচ্ছে‘।
আবার ধরুন, মোবাইলে গেম খেলছেন না কিংবা সারা দিনে ইন্টারনেট অথবা ফেসবুক, হোয়াট্সঅ্যাপ ব্যবহারই করলেন না, তা-ও দেখলেন দিনের শেষে ৫০ শতাংশ ডেটাই শেষ হয়ে গিয়েছে। কোন ভুলের জন্য এমন কাণ্ড ঘটছে আর তার থেকে কী শিক্ষা নেবেন জানেন?
সহজ পদ্ধতি ব্যবহার করে ডেটা খরচ বাঁচান:
প্রথমেই বলে রাখা দরকার যে মোবাইলে অটো আপডেট অপশন বন্ধ করে রাখুন। এটা যদি অন করা থাকে তাহলে যখন তখন আপনার মোবাইলে যা খুশি আসবে সেটা অডিও হতে পারে ,ভিডিও হতে পারে, ছবি হতে পারে আর সেটা আপনার থেকেই ডাউনলোড হয়ে যাবে। এতে আপনার অজান্তেই একদিকে স্পেস ভারী হবে অন্যদিকে ইন্টারনেট ফুরিয়ে যাবে।
তাই যখন ওয়াই-ফাই সংযুক্ত করতে পারবেন, তখনই আপডেট অপশনটি চালু করে ফোন আপডেট করে নিন। এই কাজটা করার জন্য আপনি আপনার মোবাইলের সেটিংয়ে গিয়ে ‘নেটওয়ার্ক প্রেফারেন্স’ ক্লিক করুন। সেখানে ‘অ্যাপ ডাউনলোড’, ‘অটো-আপডেট অ্যাপ’, ‘অটো-প্লে ভিডিয়ো’-র জন্য মোবাইল ডেটা বন্ধ করে ওয়াই-ফাই অন করে রাখুন।
আশা করছি সমস্যা কিছুটা মিটবে। কোন অ্যাপে কত ডেটা খরচ হচ্ছে সেটা সেটিংস থেকে চেক করুন নিয়মিত। যে অ্যাপ বেশি ডেটা খাচ্ছে সেগুলোকে প্রয়োজন ছাড়া বন্ধ রাখুন। এছাড়া ডেটা সেভার মোড ব্যবহার করে সহজেই ডেটা খরচ কমাতে পারেন।
প্রথমেই বলেছিলাম যে ইউটিউব ফেসবুক ছাড়া আজকের দিনে মোবাইল ব্যবহার করার যেন কোন সার্থকতাই খুঁজে পান না সাধারণ মানুষ। তা সে ছোট বাচ্চা হোক বা বয়স্ক ব্যক্তি। এক্ষেত্রে যদি আপনি ইউটিউব বা ফেসবুকে ভিডিও দেখেন তা হলে তা ‘লো কোয়ালিটি স্ট্রিমিং’-এ দেখার চেষ্টা করুন।
আরো পড়ুন – SearchGPT: চিন্তা বাড়ছে গুগলের! একচেটি আধিপত্য কমার আশঙ্কা, কিন্তু কেন?
মাথায় রাখতে হবে গুগ্ল ম্যাপ বা অন্যান্য পরিষেবা ব্যবহার করেন, তবে মোবাইল ডেটা দ্রুত শেষ হয়ে যাবে। কারণ গুগ্ল ম্যাপ ও এই ধরনের অ্যাপগুলি দিনভর চলতে থাকে। তাই প্রয়োজনমতো ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা নিজেকে নির্ধারণ করতে হবে। সারাক্ষণ মোবাইলে গেম খেলবেন না।
আরো পড়ুন – Mobile Network: কাজের সময় যখন তখন মোবাইলের নেটওয়ার্ক উড়ে যাওয়া সমস্যার সমাধান
আরেকটা জিনিস বিশেষ ভাবে বলা দরকার সেটা হলো আজকের দিনে লোকে অনলাইনে কেনাকাটা করতে ভালোবাসেন। এটা অনেকটা ইউটিউব বা ফেসবুক ঘাঁটার মতো এক মারাত্মক নেশা। কিছু মানুষ আছেন যারা সময় পেলেই ই-কমার্স সাইটগুলিতে গিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন। নিজের পছন্দের জিনিস খুঁজতেও তো সময় লাগে।
আরো পড়ুন – ভাইরাল উরফি জাভেদের জীবনযাত্রা নিয়ে কৌতুহল আছে? কত টাকা উপার্জন করেন মডেল?
এটা প্রসাধনী দ্রব্য হতে পারে কিংবা জামাকাপড় অথবা খাবার জিনিস। যতক্ষণ ধরে আপনি কোন কিছু খুঁজে চলেছেন ততক্ষণ কিন্তু মোবাইলের ডেটা শেষ হচ্ছে। তাই বেশিক্ষণ সাইট সার্চ করবেন না প্রয়োজনে ই-কমার্স সাইটের ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত করুন। এতে যে শুধু মোবাইলের ডেটা বাঁচবে তাই নয় আপনার খরচও অনেকটাই হিসেবের মধ্যে থাকবে।