Tips to save gas at home: গ্যাসের সিলিন্ডারের খরচ বাঁচানোর উপায় কি? ‘রান্নার গ্যাসের খরচ’ আর সামলাতে পারছি না! মানে যে গ্যাসের সিলিন্ডার একমাস চলতো সেটা যদি একটু বাড়িয়ে এক মাস দশ দিন বা ১৫ দিন করা যায় তাহলে মন্দ হয় না। ঠিক বলছি তো? (Ways to save gas cylinder costs)
একে তো পকেটে টাকা নেই তার ওপর খরচ বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। জ্বালানির জ্বলনে জীবন শেষ হয়ে যাওয়ার জোগাড়। তবু কী করবেন বাঁচতে গেলে দুবেলা দুমুঠো খাবারের সংস্থান তো করতেই হবে। তবে সমস্যা হচ্ছে অফিসের বস মাইনেটি বাড়াবেন না। অগত্যা তাই বড় জ্বালানির খরচটা যদি একটু কমানো যায় সেই দিকে মন দেওয়া দরকার।
সহজ উপায়ে ‘রান্নার গ্যাস বাঁচানো’র রাস্তা:
গ্যাস বাঁচানোটা পুরোপুরি নির্ভর করে যিনি রান্না করছেন তার ওপর। কারণ বাড়ির বাকিরা এটা ওটা খেতে চাইতেই পারেন। যত বেশি রান্না করবেন তত বেশি গ্যাস খরচ হবে এ তো খুব স্বাভাবিক হিসেব।
প্রতিদিন খবরের কাগজ আর নিউজ চ্যানেলে আজ ২৫ টাকা বাড়লো নাকি কাল ১০ টাকা বাড়লো এই হিসেব না করে ‘সহজ উপায়ে গ্যাস বাঁচানোর রাস্তা‘ খোঁজাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। যারা রান্নাবান্নার সঙ্গে যুক্ত তারা প্রত্যেকেই নিশ্চয়ই বেসিক কিছু নিয়মকানুন জানেন (11 easy ways to save fuel)।
গ্যাসের সিলিন্ডারের খরচ বাঁচানোর উপায়:
(1)- যেমন ধরুন অল্প আঁচে রান্না করতে হবে, একদিকে যেমন জ্বালানি বাঁচবে পাশাপাশি খাবারের উপকারি এনজাইম ও ভিটামিনও কম নষ্ট হবে মানে একই সঙ্গে পকেট আর স্বাস্থ্য দুটোই ভালো থাকবে।
(2)- প্রেসার কুকারের ব্যবহার একটু বেশি করুন । তাড়াতাড়ি রান্না হয়ে যাবে, গ্যাস কম খরচ হবে।
(3)- গ্যাসের সাশ্রয় করার জন্য আপনি কোন পাত্রে রান্না করছেন সেটাও কিন্তু একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। তামা বা স্টেনলেস স্টিলের পাত্র বেশি ব্যবহার করুন। এতে একদিকে যেমন রান্না তাড়াতাড়ি হবে অন্যদিকে গ্যাস কম খরচ হবে।
আরো পড়ুন – গ্যাস বার্নারে পোড়া খাবার কিংবা তেলকালি পরিষ্কার করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন? তাহলে উপায়?
(4)- আর সব সময় মাথায় রাখবেন ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা কোন জিনিস বের করে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে গ্যাসে বসাবেন না।
(5)- একটু হাতে সময় নিয়ে রান্না আগে বের করুন বা শাকসবজি ফ্রিজ থেকে খানিকটা আগে বের করে সেটাকে নরমাল তাপমাত্রায় রেখে তারপর সেটি গ্যাসের ওভেনে নিয়ে যান। এটাতো স্বাভাবিক একটা অংক যে বেশি ঠান্ডা জিনিস গরম হতে যতটা বেশি সময় নেবে, কম ঠান্ডা জিনিস গরম হতে কম সময় নেবে ফলে গ্যাস বাঁচবে।
আরো পড়ুন – Sunglasses: রোদ চশমা সানগ্লাস ব্যবহার করেন? কিন্তু সানগ্লাসের সঙ্গে বিচার ব্যবস্থার কি সম্পর্ক?
(6)- শুধুমাত্র পকেট বাঁচানোর কথা নয় আমরা গুরুত্ব দিই নিরাপত্তার দিকটাও। তাই আবারও বলি বিপদ থেকে সতর্ক থাকুন। এর জন্য গ্যাসের পাইপ, রেগুলেটর নিয়মিত পরীক্ষা করানো দরকার। শুধুমাত্র বার্নারের সুইচ নয়, কাজ হয়ে গেলে সিলিন্ডারের রেগুলেটর বন্ধ করুন মনে করে।
(7)- নিয়মিত বার্নার পরিষ্কার করুন নাহলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আবার ফিরে আসা যাক রান্না করার পদ্ধতির বিষয়টিতে।
(8)- রান্না করার সময় অনেকেই গরম জল ব্যবহার করেন আর বারবার জল ফুটিয়ে গরম করতে হয়। সেটা না করে একবারে জল অনেকটা গরম করে, ফ্লাস্কের মধ্যে রেখে দিন।
আরো পড়ুন – House clean: নিয়মিত ঘরকে পরিষ্কার রাখেন কি? ঘরে ঝুল পড়া কোনও অশুভ ঘটনার লক্ষণ?
(9)- রান্নার সময় সেই জল ব্যবহার করুন। মাথায় রাখবেন আপনি যখনই রান্না করবেন, তখন মনে করে কোন একটা পাত্র দিয়ে আপনার রান্না ঢাকা দিন। ভাপে রান্না তাড়াতাড়ি হওয়ার ফলে কোনও পদ তৈরি হতে কম সময় লাগবে। গ্যাস বাঁচানোর এটা মোক্ষম উপায়।
(10)- আগেই বলেছি যে জিনিস যত বেশি ঠান্ডা থাকবে গরম হতে সময় বেশি লাগবে ঠিক সেই কারণেই ভেজা পাত্র গ্যাসের উপর বসিয়ে সেটি গরম করতে দেবেন না। আলাদা করে মুছে নিয়ে শুকনো করে তারপর ওভেনে বসান যাতে তাড়াতাড়ি সেটি গরম হয় আর কম গ্যাস পোড়ে।
আরো পড়ুন – জিন্সের কালার ফ্যাকাসে! মানে জলে কয়েকবার ধুলেই জিন্সের কালার শেষ? তাহলে?
(11)- কাজের মাঝেও খেয়াল রাখুন, বার্নার থেকে হলুদ বা কমলা রঙের শিখা বেরোচ্ছে কিনা। এমনটা হলে আপনাকে বুঝতে হবে কার্বন জমা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার করে নিলে আপনার জ্বালানির অনেকটাই সাশ্রয় হবে (conserve lpg)।
আমরা কিছু পদ্ধতির কথা আপনাকে বললাম অবশ্যই প্রয়োগ করে দেখুন আর উপকার পেলে আমাদের জানাতে ভুলবেন না।