Breaking Bharat: সারা শরীর জুড়ে ঝনঝন বা কনকন, কিন্তু ‘হাত পা ঝিনঝিন বা অবস ভাব’ কেন করে জানেন ? বাংলা প্রবাদ আছে “শরীরের নাম মহাশয়, যা সওয়াবে তাই সয়”। কিন্তু সবসময় সবটা সহ্য করা যায় না। শরীরের মধ্যে এমন কিছু অস্বস্তি হয় যা ভাষায় প্রকাশ করা মুশকিল।
কিছু বেদনা কিছু ব্যথা এমন এমন অনুভুতি কে জাগিয়ে দেয়, যখন ডাক্তার কে বলেও সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয় না। সুস্থ শরীর খাওয়া-দাওয়া ঠিক ঠাক করছেন ,কিন্তু একটা অস্বস্তি কাজ করছে তাই না? আজ এই নিয়েই হবে কথা।
আমাদের শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজের মাধ্যমে সচল থাকে। অনেক সময় কাজের ব্যস্ততায় শরীরের দিকে ঠিকমতো নজর বা লক্ষ্য দেওয়া যায় না। আপাত দৃষ্টিতে স্বাভাবিক মনে হওয়া অনেক কিছুই কিন্তু শরীরের ভিতরের কোনও সমস্যার আগাম ইঙ্গিত দিয়ে থাকে।
সেরকম কিছু আপনার হয় কি? আচ্ছা ধরুন যদি বিশেষ করে আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হয় তাহলে হয়তো উত্তর দিতে সুবিধা হবে।
হাত পা ঝিনঝিন করে ? জানেন কি, কেন ?
এই অস্বস্তিকর অনুভূতির মধ্যে দিয়ে অনেকেই গেছেন বা যাচ্ছেন হয়তো। এমন হলে কিছু সময়ের জন্য সাময়িকভাবে প্রায় নিস্তেজ মনে হয় নিজেকে। এই অবস্থাকে ইংরেজিতে কী বলে জানেন? Temporary Paraesthesia অর্থাৎ কিনা সাময়িকভাবে অবশ হয়ে যাওয়া।
এটা কিন্তু এমনি এমনি হয় না, এর পেছনে অনেক কারণ আছে। সাধারণত রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হলে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। শরীরের কোন অংশে চাপ লেগে গেলে এমন হতে পারে। তবে সেটা অল্প সময়ের জন্য (Tingling in Hands & Feet)।
আরো পড়ুন- রুটি না লুচি? আটা না ময়দা? তফাৎ টা ঠিক কোথায় বলুন তো ?
যদি দীর্ঘ সময় ধরে এই অস্বস্তি থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আসলে যদি সাময়িক ভাবে চাপ লাগে তাহলে চাপ সরে গেলে রক্ত সরবরাহ বেড়ে যায় এবং স্নায়ু মস্তিষ্কে সংকেত প্রেরণ করে। মস্তিষ্কে তখন এভাবে থেমে আসা সংকেত পিনপিনের মতো অনুভূতি জাগায়।
তাই আমরা এমন অনুভব করি। তবে শুধুমাত্র এই একটি কারণের জন্যই এমন ঘটে ভাবলে ভুল হবে। ভিটামিন জনিত সমস্যা হলেও মানে ঘাটতি হলেও এই ঘটনা ঘটে। কব্জির মিডিয়ান স্নায়ুতে চাপ পড়ায় এমন হতে পারে বা সুগার লেভেল যদি মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যায় তাহলে ঘনঘন এই সমস্যা হয় (your hands and feet to tingle)।
আরো পড়ুন- কেউ অল্পেতেই উফ আফ! কেউ আবার লঙ্কার পর লঙ্কা খেয়েও ঝাল স্বাদ পান না,কেন জানেন?
আরো পড়ুন- হ্যাঁচ্চো! একবার? না না আরও বার দুয়েক, চোখ খোলা রেখে হাঁচি দেওয়া অসম্ভব কেন?
যে কোনো রকমের শারীরিক অস্বস্তি বা অসুস্থতায় আগে ডাক্তার দেখান ।কোনভাবেই বই পড়া বিদ্যা বা কারোর মুখে বলা কথার ভিত্তিতে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হবেন না (stop my hands and feet from tingling) । বিভিন্ন তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে এবং নানা সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আপনাদেরকে এই বিশেষ প্রতিবেদন জানানো হয়। কিন্তু কোনোভাবেই রোগের সঙ্গে আপোষ করবেন না।