Time management problems: টাইম ম্যানেজমেন্ট করতে সমস্যা হচ্ছে? সময়ের মধ্যে কাজ না গুছোতে পারার একটা আশঙ্কা কাজ করছে? প্ল্যানিং টা ঠিক করে নিন। আজকের দিনে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একরাশ কাজের চাপে মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড়। মাল্টি টাস্কিং যেন আজকের জীবনের অঙ্গ হয়ে গেছে।
যত দিন যাচ্ছে বেশি উপার্জনের জন্য একাধিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে হচ্ছে তারপরে সময় নিয়ে একটা বড় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। খুব স্বাভাবিক ব্যাপার ২৪ ঘন্টায় আপনি যদি একটা কাজ করেন সেটার জন্য নির্দিষ্ট সময় থাকবে।
কিন্তু একাধিক করলে কাজ বাড়বে, কিন্তু ২৪ ঘন্টা তো বেড়ে ৪৮ ঘণ্টায় একদিন হবে না। ফলে সময়ের মধ্যে কাজ না গুছোতে পারার একটা আশঙ্কা প্রতিমুহূর্তে কাজ করবে। বিষয়টা সাজিয়ে গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা যাক এই প্রতিবেদনে (Time management problems and solutions)।
সময়ের মধ্যে কাজ গুছিয়ে নেবার উপায়:
করোনার কারণে বারবার করে ওয়ার্ক ফ্রম হোম কনসেপ্টা মানুষের মনে বসে গেছে। বাংলা ভাষায় যাকে বলে বাড়িতে বসে কাজ। কোম্পানিগুলো দেখল এতে অফিসের বিদ্যুৎ খরচ কিংবা মেন্টেনেন্স খরচ দুটোই বাঁচবে আর কাজটাও হবে। তাই আজকাল বাড়ি থেকে কেউ কাজ করতে চাইলে তাকে খুব একটা না বলা হয় না।
কিন্তু এতে সুবিধা কম অসুবিধা বেশি। অফিস গেলে যেমন একটা ডিউটি আওয়ার্স থাকে বাড়িতে সেটা কখনোই থাকে না। এই নিয়ে আপনি মুখ খুলতেও পারবেন না তার কারণ আপনাকে বলা হবে বাড়িতেই তো আছো কাজটা করে দাও। অগত্যা ফ্যামিলি লাইফ ঘেঁটে যাবে।
সকাল থেকে সময় ধরে বাড়িতে বসে কাজ করা আর অফিসে গিয়ে কাজ করার মধ্যে এটাই সবথেকে বড় ফারাক। কিছুতেই যেন একটার সঙ্গে আরেকটাকে মিলিয়ে মিশিয়ে ম্যানেজ করা যায় না। আর এর ফলে কাজের সময়সীমা বাড়তে বাড়তে রাত গড়িয়ে ভোর হয়। ভোর রাতে ঘুমোতে গিয়ে সকালে উঠতে দেরি হয়, আবার কাজ বাড়তে বাড়তে সেই রাত পেরিয়ে যায়।
আরো পড়ুন – সারাক্ষন ইন্টারনেটে মগ্ন থাকে বাড়ির বাচ্চারা? কী করছে সে জানেন?
এভাবেই জীবনযাত্রার সিস্টেম একেবারে বারোটা বেজে গেছে এটা বললে খুব ভুল বলা হবে না। তাছাড়া যে কাজ করতে অফিসে দু’ঘণ্টা লাগত বাড়িতে সেটাই করতে বেশি সময় লাগছে। ইন্টারনেটের সমস্যা, পারিপার্শ্বিক সমস্যা, মনসংযোগ করতে না পারা এসব তো লেগেই থাকবে।
তবে কোনোভাবেই অতিরিক্ত চিন্তা মাথায় নিয়ে কাজ করবেন না তাতে শরীরের ক্ষতি হবে, অফিস সেই দায় নেবেনা। আপনার কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে অর্থাৎ সময় বেশি লাগছে যার জন্য পরিবারকে সময় দিতে পারছেন না সেই রাগটা পরিবারের উপর প্রকাশ করে কোন লাভ নেই।
আরো পড়ুন – একতরফা ভালোবাসা থেকে মুক্তির উপায়! ভালোবাসার কষ্ট আর নিতে পারছি না!
আপনার বাড়ির সদস্যরা আপনাকে যেভাবে দেখে অভ্যস্ত তারাও আপনাকে চিনতে একটু বিব্রত বোধ করছে । কারণ বাড়িতে কাজ করতে করতে আপনি খানিকটা হলেও অচেনা আর দুর্বোধ্য হচ্ছেন। পরিষ্কার রুটিন করুন যাতে এই সমস্যা দ্রুত কাটিয়ে উঠা যায়।
একদিন কষ্ট করে সকাল বেলা তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠুন। বাড়ি যাবতীয় কাজ চেষ্টা করুন অফিস টাইমের আগে সেরে ফেলতে। কাজ করার সময় মাথা হালকা আর ঠান্ডা রাখুন প্রয়োজনে সফট মিউজিক চালিয়ে রাখতে পারেন। খাবার জন্য নির্দিষ্ট সময় রাখুন। কিন্তু সেই সময়টাই বুঝিয়ে দিন বাড়ির লোককে যে আপনি কাজের মধ্যেই আছেন তাই অযথা বেশি সময় খরচ করবেন না।
আরো পড়ুন – Fake Eggs: ডিম খেতে ভালোবাসেন? বাজার ভর্তি নকল ডিম! খাঁটি চেনা দেয়, তাই না?
এর পর ফের কাজে বসুন পাঁচ মিনিট বা ১০ মিনিটের ব্রেক নেব এই গড়িমসি করে অযথা লেট করবেন না। হয়তো এক কাজ করতে করতে কখনো কখনো বিরতি নেওয়ার প্রয়োজন হয় কিন্তু তখন ভুল করেও কোনও সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের মধ্যে নিজেকে আটকে ফেলবেন না তাহলে সময় যাবে পরবর্তীতে চাপ বাড়বে।
মনে রাখতে হবে আপনার শরীর ভালো রাখা দরকার দিনের পর দিন কাজ ভুল সময় করলে আর রাতে কম ঘুমালে একটা সময় পর শরীর জবাব দেবেই। সেরকম মনে করে আপনি প্রতিটি অ্যাসাইনমেন্টের জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করুন, তার মধ্যে কাজ সারুন।
আরো পড়ুন – টাইট জামা কাপড় একদম নয়! টাইট জিন্স পড়লে বন্ধ্যাত্ব আসতে পারে, জানেন?
কোন ভাবেই বাড়িতে অফিসের সময়ের বাইরে কাজ করার মত পরিস্থিতি তৈরি হতে দেবেন না।সঠিকভাবে সুশৃংখলভাবে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে চলুন ভালো থাকবেন আপনি।