Breaking Bharat : আজকের নারীরা স্থলপথ, জলপথের মতো আকাশপথেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। নিজেদের যোগ্যতায় লড়াই করে নিজেদের সেরা প্রমাণ করছে। নারীশক্তির (Women’s power) সর্বত্রই জয়জয়কার। তবে আলাদা করে রাজনীতির ময়দানের কথা উঠলে, ভারতের এমন বহু নেত্রী রয়েছেন, যাঁরা লড়াইয়ের মাধ্যমেই উঠে এসেছেন সামনের সারিতে। নেতৃত্ব দিয়েছেন। রাজনীতিতে অসামান্য অবদানের জন্য ইতিহাসের পাতায় গোটা গোটা অক্ষরে যাঁদের নাম লেখা থাকবে, এমনই ১০ জন ভারতীয় মহিলাকে নিয়েই আজকের আলোচনা:
ইন্দিরা গান্ধী : (Indira Gandhi)
স্বাধীন ভারতের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। ১৯৬৬-১৯৭৭ সাল পর্যন্ত তিনি টানা দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। দেশের অন্যতম সর্বাধিক জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ ইন্দিরা গান্ধী। তাঁর নেতৃত্ব যেমন প্রশংসার দাবিদার, তেমনই সমালোচনাও ইন্দিরা গান্ধীর পিছু ছাড়েনি।
সোনিয়া গান্ধী : (Sonia Gandhi)
এই তালিকায় সোনিয়া গান্ধীও অন্যতম। সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হিসাবে তাঁর ভূমিকা ঈর্ষণীয়। ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের বড় সাফল্যের কাণ্ডারিও তিনি। ভারতের রাজনীতির ইতিহাসে তাঁকে আলাদা করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। যদিও বিরোধীরা বিভিন্ন সময় ব্যক্তিগত আক্রমণ করতেও পিছপা হননি। তা নিয়েও যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : (Mamata Banerjee)
বাংলার রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম ভবিষ্যতে লেখা থাকবে ইতিহাসের পাতায়, এমন মন্তব্য করতে শোনা যায় রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বয়ানে। বাংলায় ৩৪ বছরের শাসনকে পরাস্ত করে তৃণমূলের শাসন প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। ২০১১ সাল থেকে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসকে রাজ্য স্তর থেকে সর্বভারতীয় স্তরে নিয়ে যাওয়ার নেপথ্যের কাণ্ডারিও তিনি।
জয় ললিতা : (J.Jayalalithaa)
জয়ললিতা জয়রামন ভারতীয় রাজনীতিতে এতটাই জনপ্রিয় নাম যে, ‘আম্মা’ নামেই দেশবাসীর কাছে পরিচিত তিনি। পাঁচ বছরের জন্য তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন জয়ললিতা। তামিলনাড়ু জুড়ে মহিলাদের স্ব-সহায়ক গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। অভিনয় জগৎ থেকে এসে একচ্ছত্র আধিপত্য দেখিয়েছেন তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে।
সুষমা স্বরাজ : (Sushma Swaraj)
বিজেপির নেত্রী সুষমা স্বরাজ এই তালিকার অন্যতম ওজনদার নাম। সাতবার সাংসদ এবং তিনবার বিধানসভার সদস্য হয়েছেন তিনি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদও সামলেছেন তিনি। এমনকী, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদেও অধিষ্ঠিত হন সুষমা স্বরাজ।
মায়াবতী : (Mayawati)
পুরো নাম মায়াবতী নায়না কুমারী। ভারতীয় রাজনীতিতে মায়াবতীর নাম উল্লেখযোগ্য। চার চারবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদ সামলেছেন তিনি। মায়াবতী ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী দলিত নারী নেত্রী।
মেহবুবা মুফতি : (Mehbooba Mufti)
জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত প্রথম মহিলা ছিলেন মেহবুবা মুফতি। মুসলিম মহিলা হিসেবে তিনিই দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে অসমের সৈয়দা আনোয়ারা তৈমুর মুসলিম মহিলা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন।
বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া : (Vasundhara Raje Scindia)
মা বিজয়রাজে সিন্ধিয়ার হাত ধরে রাজনীতিতে পদার্পণ করেন বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া। রাজস্থানের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী তিনি। ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম শক্তিশালী নারী রাজনীতিবিদ বসুন্ধরা।
শীলা দীক্ষিত : (Sheila Dikshit)
ভারতের ইতিহাসে কংগ্রেসের তরফে যে সমস্ত নেত্রীরা উল্লেখযোগ্য, তাঁদের মধ্যে প্রবীণ নেত্রী শীলা দীক্ষিতের নাম ভোলবার উপায় নেই। পরপর তিনবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এছাড়াও কেরলের রাজ্যপালও ছিলেন শীলা দীক্ষিত।
নন্দিনী সতপতী : (Nandini Satpati)
উড়িষ্যার আয়রন লেডি নামে পরিচিত নন্দিনী সরপতি। উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী পদ সামলানো নন্দিনী সতপতী ভারতের রাজনীতির ইতিহাসে অন্যতম জনপ্রিয় নাম। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।