Breaking Bharat : চলতি বছরেই শেষ হবে মহামারীর কোপ? কয়েকদিন আগেই এই বিষয়ে দাবি করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে কি গোটা বিশ্ব জুড়ে ফের বইবে স্বাভাবিক আমেজ? সম্প্রতি হু যে কথা জানিয়েছে, তাতে অনেকটাই স্বস্তিতে বিশ্ববাসী। ঠিক কী বলল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা?
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে গত প্রায় দু’বছর ধরে গোটা বিশ্বে ডামাডোল পরিস্থিতি। থেমে গেছে স্বাভাবিক জীবন। তার ওপর কোভিডের একের পর এক স্ট্রেইন এসে ঘুম করে নিয়েছে গোটা বিশ্বের। ওমিক্রন নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনার এই স্ট্রেইন যে ভয়াবহ আকার নিতে পারে, সেই বিষয়ে সতর্কতাও জারি করেছিল।
এই নিয়ে যখন মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে, ঠিক সেই পরিস্থিতিতে স্বস্তির খবরও শুনিয়েছিল হু। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিজ্ঞানীরা টিকাকরণ প্রক্রিয়ার ওপর জোর দিয়ে আগাম বার্তা দিয়েছিলেন যে, চলতি বছরেই থেমে যাবে করোনা পরিস্থিতি। তবে এই খবরে কিছুটা স্বস্তি মিললেও জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক পুরোপুরি কাটেনি। নতুন বছরের শুরুতেই দেশবাসীর মনে এই প্রশ্ন জেগেছিল, এই বছরও কি করোনা আতঙ্কেই দিন কাটবে?
এই প্রশ্ন যখন সর্বত্র ঘুরপাক খাচ্ছে, সেই পরিস্থিতিতে করোনার নির্দিষ্ট মেয়াদের কথা জানাল হু। স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মধ্যে খুশির মেজাজ। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তা টেডরস অধানম ঘেব্রেসুস এই বিষয়ে তাঁর মন্তব্য জানিয়েছেন। গত শুক্রবার তিনি বলেন, গোটা বিশ্ব করোনা-সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকবে। কোভিডের থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাবে।
অবশ্য তিনি এমনটা বলেননি যে, এখনই বিশ্ব থেকে করোনা উধাও হয়ে যাবে। তবে জুন-জুলাই নাগাদ বিশ্বে করোনা সংক্রমণের তীব্রতা অনেকটাই কমবে। কিন্তু কেন এই আশ্বাস দিলেন হু-এর কর্মকর্তা। এই প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন তিনি। শর্ত হিসেবে টিকাকরণের কথা উঠে এসেছে। তাঁর কথায়, চলতি বছরের জুন-জুলাইয়ের মধ্যেই পৃথিবীর অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষের করোনা দ্বিতীয় ডোজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর তারই জেরে স্বস্তি মিলতে পারে করোনা থেকে।
শর্ত হিসেবে টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে হু-র তরফে। তারা mRNA COVID vaccine নিয়েও অত্যন্ত আশাবাদী বলেই জানিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রয়োগ। এই ভ্যাকসিন আগের তুলনায় অনেক বেশি কার্যকরী হবে। পাশাপাশি mRNA COVID vaccine-এর সংরক্ষণমূল্যও অনেক কম। তাই বাজারে কিনতে গেলেও অর্থনৈতিক দিক থেকেও বড়সড় সমস্যায় পড়তে হবে না আমজনতাকে।
আরো পড়ুন- Museum : জাদুঘর বা মিউজিয়াম সবার প্রিয়, কিন্তু জাদু ঘরে ছবি তুলতে দেয় না কেন?
২০২২ সালেই যে করোনা মহামারী পরিস্থিতির শেষ হবে, তা এর আগে জানিয়েছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডাঃ মাইকেল রায়ান। তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম আয়োজিত ভ্যাকসিন ইক্যুইটির একটি প্রোগ্রামে জানিয়েছিলেন, টিকা এবং ওষুধের বিশাল বৈষম্য দ্রুত সমাধান করা গেলে এবছরেই অতিমারী শেষ হতে পারে৷
আরো পড়ুন- Buy Cycle : আমি সাইকেল কিনতে চাই ! কিন্তু সাইকেলের চাকার হাওয়া নিয়ে যত সমস্যা ?
তবে পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন, এই প্রসঙ্গেই তিনি আরও বলেন, করোনা ভাইরাস বর্তমানে বাস্তুতন্ত্রের অংশ হয়ে গিয়েছে৷ তাই এই ভাইরাসকে সমূলে বিনষ্ট করা সম্ভব নয়৷ তবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতিসাধন প্রয়োজন। এই সংশয়ের মধ্যে গত শুক্রবার হু যা জানাল, তাতে সেই আশঙ্কারও অবসান ঘটবে বলে, মনে করছেন দেশবাসীর একটা বড় অংশ।