Breaking Bharat : অতএব শব্দবন্ধ হলে বিদ্যুৎ ভৌমিক অচলাবস্থাতেও সহজ দক্ষতায় যাদুকর শূন্যতা ছিঁড়ে দুর্ভিক্ষদের যতঃসামান্য খাবার এনে দিতেই রাজনৈতিক মহল কুঞ্চিত চোখে ঈসারা করলো চাটুকারদের,ওকে জীবন থেকে নির্বাসন দাও! প্রকাশ্যে মধ্যযুগিও স্বপ্নগুলো হৃদয় ছিঁড়ে আসতেই অগুন্তি দর্শক চিৎকার করে বললো,হে পরম প্রিয়জন, আপানি এভাবে ভ্যানিস হবেন না, তাহলে যাদুদন্ডের সম্মান টুকু বাতাসে উবে যাবে !
একই রাস্তায় স্বপ্নের মত নির্জন বহুদূর অসাধারণ স্বপ্নশূন্যতা সেখানে রাত্রির আকাশ থেকে অপুরুষ চাঁদ ভীষণ অসন্তোষে অনেক কালের নীরবতা নিয়ে চেয়ে থাকে,ভিন্ন এক কারুকৌশল চোখ নির্বিকল্প আঁধারে মৃত্যুর ভিতর ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে শেষ একবার তুলনাহীন জেগে ওঠে মোহভেঙে এভাবে !
এই পথ ধরে এ’সময়ে কেউ এসে দাঁড়ায় সেকি প্রাচীন যুগের কোন দার্শনিক? হয়তো পরিবেশ বিজ্ঞানী এতোটা নগ্ন তাঁর রূপ ছায়া মাখা ধূষর শরীর ! ওর হাতের চেটোতে চতুর্বেদী ব্রাহ্মণের নক্সা আঁকা আছে ,ওর চোখের গভীরে বহুযুগের রাজপথ নির্ঘুমে একক বিবর্ণ ! শেষ একবার অলক্ষ্যে ছদ্মবেশ পরে নেয় গুপ্ত গোপনে !
এই হাতের মধ্যে সময়শূন্য হয়ে আছে অভ্যন্তরের বিগ্রহ যেটুকু নষ্টালজিক তারও গভীরে অনির্দিষ্ট যন্ত্রণার বিষকষ্টের মোচড় ! তবুও কপাল ঠুকে বাইমান পাড়া দিয়ে হেঁটে হেঁটে আসা আর যাওয়া,কিছু কিছু স্বপ্ন ইচ্ছেমত ভীষণ জটিল নতুবা ব্যাকরণসম্মত ! এরা কেবল লোভ দেখাতে আসে রাতে ঘুমন্ত ঘুমে !
আরো পড়ুন- Radar is a detection system: ‘রাডার’ অর্থাৎ রেডিও ডিটেকশন অ্যান্ড রেঞ্জিং, এর কাজ কী?
ওই সময় আমারও কি মৃত্যু মানায় ?এক ফ্রেমে নির্দিষ্ট সেই ছবি প্রতি জন্মেই দেখা দেয় ! অদ্ভুত স্পর্শে বিশ্বাস যেন অন্যতম প্রধান ভাষাতেই নির্ভুল উচ্চারণ করে – এই দেখ আমি বেঁচে আছি ,অন্য এক অচেনা ছায়াদেহ যার চোখ ,নাক ,হাত,পা,লিঙ্গ-টিঙ্গ , সবটাই যেন হারিয়ে একই রাস্তায় অশ্রুহীন এভাবেই জন্মভিক্ষা করে !
The famous poet Bidyut Bhowmik
চিন্তায় চলেছি একা ভিতরে পরিপাটি হয়ে ভিজে ওঠে অবুঝ অশ্রুপাত কিছু কিছু বিমূর্ত ছায়া ওরা চিরকালীন নাতিদীর্ঘ কমিউনিষ্ট ! এভাবেই হঠাৎ হাওয়ায় বিপ্লবের কথা বলে ! যদিও আঁধার বিগ্রহে জেগে ওঠে প্রান্তিক সকাল আলোর আড়ালে রোদ্দুর ওঠে প্রতিকুল ডাঙায় !
আরো পড়ুন- Use of Mirrors: নিজের মুখ আর রূপ দেখার জন্যই কি আয়না? যদি আয়না না থাকতো, তাহলে?
রোজ রোজ প্রতিদিন রাত – রাত গন্ধে বেঁচে ওঠে পৃথিবীর নপুংশক কিছু শয়তান এরাও শাস্ত্র বিরোধী কথায় নিঃশব্দে সম্মতি দেয় ! যাদুকর হাত ঘুরিয়ে বৃষ্টি নামিয়ে আনে মাধ্যাকর্ষণ থেকে দুঃখি মানুষদের চোখে চোখে !শেষ শ্রাবণে বৃষ্টির অন্ধকারুকাজ জীবাণু নিয়ে উড়ে চলে গেছে নতুন কেনা দর্পণে ওধারে এধারে এসে ভীড় করে যত রাজ্যের অশরীর বিপ্লব !
আরো পড়ুন- Kissing is good for health: চুমু খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো জানেন কি?
কেউ একজন প্রবীন বৃক্ষের নিচে মাটিতে আঁকিবুকি কাটে আর ঈশ্বরকে খিস্তি করে ! সেও তোমার মতোই একশোটা মনে করা স্মৃতি নিয়ে পৃথিবীকে আবার নতুন করে উঠে দাঁড়াতে বলে,তাই দেখে মুখোশের মুখগুলো সহজ সত্য উচ্চারণ করে ; ওই দেখ পাগল ওটা বধ্য উন্মান !!
লেখনীকাল ১৬ সেপ্টেমবর,১৯৯৯ স্থান : কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক এর বাসগৃহ ছায়ানীড়, শ্রীরামপুর ,হুগলী