Breaking Bharat: ‘জলে চামড়া কুঁচকে যাওয়া’র সাথে পূর্বপুরুষের সম্পর্ক আছে জানেন (Skin is wrinkled)? অতীত না থাকলে বর্তমান নেই। ভবিষ্যৎ যে পুরোপুরি অন্ধকার সেটাও স্পষ্ট। তাই বর্তমানের কাজের সঙ্গে কোথাও না কোথাও অতীত জড়িয়ে আছে ।
হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন যে একটুখানি সময় হাত এবং পা জলে ভিজে থাকলে তারপর জল থেকে তা তুলে নিলে কেমন যেন ‘চামড়া কুঁচকে যায়‘। সাধারণ মানুষ বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিলেও বিজ্ঞানীরা কিন্তু এই নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছিলেন অনেক আগে থেকেই (sudden wrinkling of the skin)।
অল্প বয়সে হাত ‘পায়ের চামড়া কুঁচকে’ যায়:
এরপর সেখান থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ গবেষণা করা আর সেখানেই মিলেছে চমকপ্রদ তথ্য। যোগ মিলেছে পূর্ব পুরুষের। অবাক করা তথ্য রাখব আপনাদের সামনে।
আগেকার মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গে আজকালকার মানুষের জীবনযাত্রা আমূল পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে সময়ের সাথে সাথে বিবর্তনের তালে তাল মিলিয়ে মানুষ আগের থেকে অনেকটা এগিয়েছে। বেশ কিছু পরিবর্তন হয়েছে।
জলে থাকলে কুঁচকে যায় হাত পা:
ফলে ভেতর থেকে একটা জিজ্ঞাসা তৈরি হয়েছে কোন কিছু সম্পর্কে। এটা কেন হয় বা ওটার কি কারণ এই কৌতুহলী মনোভাব থেকেই একের পর এক আবিষ্কার সম্ভব হয়েছে। খুব সহজভাবেই জীবন বিজ্ঞানের একাধিক প্রশ্ন মানুষের মনে দানা বেঁধেছে।
তেমন একটা বিষয় তুলে নিলাম আমরা আজকে। অনেকক্ষণ ‘জলে থাকলে কুঁচকে যায় হাত পা‘, কেন এমন হয়? ব্যাপারটা অনেকটা কিশমিশের মতো। কিন্তু গবেষণায় যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে বিস্ময়ের ঘোর কাটবে না আপনার।
পায়ের চামড়া কুঁচকে যাওয়ার কারণ:
প্রথমদিকে বিজ্ঞানীরা মনে করেছিলেন যে আমাদের হাতের কোষের উপরের অংশ দিয়ে জল প্রবাহিত হওয়ার ফলে ত্বক ‘কুঁচকে যেতে শুরু করে‘। আসলে এটা ছোটবেলায় পড়া জীবন বিজ্ঞানের অভিস্রবন পদ্ধতির কথা মনে করায়।
জল ত্বকের কোষে প্রবেশ করে জল এবং ত্বকের মধ্যে সমতা রক্ষা করে যায় প্রতিনিয়ত। গবেষণার সময় দেখা গেছে তাপমাত্রা জলের প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে সেই জলে যদি সাড়ে তিন মিনিট ডুবিয়ে রাখা যায় তাহলে তা কুঁচকে যেতে শুরু করে।
আরো পড়ুন – Death is forbidden: মরতে ভয় পান সবাই, কিন্তু মৃত্যুকে কি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা সম্ভব?
আবার জলের তাপমাত্রা যদি ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয় অর্থাৎ জল একটু ঠান্ডা হয় তাহলে মোটামুটি দশ মিনিটের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটে। বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়ে গবেষণা করে জানিয়েছেন, চামড়ার উপরের স্তরে সিবাম নামক একটি তৈলাক্ত পদার্থ থাকে।
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রেখে চামড়া কে রক্ষা করাই এর কাজ। কিন্তু বেশিক্ষণ হাত জলে থাকলে বা জলের কাজ করলে সেই সিবাম ধুয়ে যায়। ফলে দেহের তাপমাত্রার ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। বহু বছর ধরে গবেষণার পর মূলত যে বিষয়টির উপর গবেষকরা আলোকপাত করেছেন তা হল আমাদের পূর্বপুরুষদের জীবনযাত্রার সঙ্গে অভিস্রবণ গত এই পরিবর্তনের এক বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।
আরো পড়ুন – Antibiotics: ‘অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের বিক্রি’ এবং ব্যবহার, এতে আপনার ক্ষতি হচ্ছে না তো?
আসলে আগে মানুষ জুতো বা পোশাক কিছুই পরতেন না। ভিজে পরিবেশের সঙ্গে থাকতে থাকতে অভিযোজন ঘটে গেছে। সাধারণত হাতে জল প্রবেশ করলে কোনও বস্তু শক্তভাবে ধরার ক্ষমতা অনেক কমে যায়।
কিন্তু পরিবেশের সঙ্গে লড়াই করতে করতে মানুষ এটাও শিখে গেছে। তাই আজ ভেজা অবস্থাতেও হাতের গ্রিপ বজায় রাখতে এই পরিবর্তন লক্ষ্য করার মতো। আবার ভেবে দেখুন পায়ের পাতা কুঁচকে যাওয়ার দারুন এক সুবিধা হল, ভেজা রাস্তার ওপর দিয়ে আমরা সহজেই হেঁটে যেতে পারা।
আরো পড়ুন – Heart Problems: হার্টের সমস্যা? ‘কালমেঘ পাতার রস’ হার্টের সমস্যার জন্য দ্রুত কার্যকরী জানেন?
সুতরাং সবটাই অতীতের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত তাই বর্তমান শুধু সেই তালে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলেছে ভালো ভবিষ্যতের দিকে।