Breaking Bharat: কেন সমুদ্র নীল? (The sea is blue) নীল রং কি প্রকৃতির ভীষন প্রিয়? তাই কি সমুদ্র নিজেকে নীলিয়ে দেয়? জল একটি যৌগিক পদার্থ। সংকেত H2O, অর্থাৎ হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন। এই দুই মৌলের সমন্বয়ে জল গঠিত হয়। জল নিরাকার,কোনও গন্ধ বা রং কিছুই নেই। কিন্তু কোনও কিছুর প্রতিফলন পড়লে জল সেই রূপ বা রং নিয়ে নেয়।
আকাশের রং কী বলুন তো? বলবেন নীল তাই না?
কিন্তু আকাশ বর্ণহীন। তবুও আকাশের প্রতিফলন যখন সমুদ্রের জলে পড়ে তখন তা নীল দেখায় (colour of the ocean appears blue)। আসলে সমুদ্রের গভীরে যদি যান তখন দেখবেন জল বর্ণহীন। তখন আবার পাড়ের দিকে তাকালে মনে হবে সেই জল নীল। তার মানে পুরো ব্যাপারটাই আলোর কেরামতি, তাই না? তাহলে এবার আলোর ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে জানা দরকার।
আরো পড়ুন- রুটি না লুচি? আটা না ময়দা? তফাৎ টা ঠিক কোথায় বলুন তো ?
আমরা জানি সূর্যের আলো বা রোদ (Sunlight) মূলত সাতটি ভিন্ন ভিন্ন রঙের সমষ্টি। বেগুনি, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা এবং লাল। এই বিভিন্ন রঙের আলো এগুলো কিন্তু একেকটা নিজস্ব তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ভিত্তিতে পরপর সাজানো থাকে।
এবার জলের সঙ্গে এদের সম্পর্ক কী?
জলের একটা বিশেষ ধর্ম হলো অপেক্ষাকৃত বেশি তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো শোষণ করা এবং কম তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো শোষণ না করা। এবার একটু গাণিতিক ভাষায় ভেবে দেখুন। লাল, কমলা ও হলুদ রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি , তাই সমুদ্রের জল তা শোষণ করে নয়।কিন্তু নীল রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য অপেক্ষাকৃত কম হওয়াতে তা কম শোষিত হয়।
আরো পড়ুন- সারা শরীর জুড়ে ঝনঝন বা কনকন, কিন্তু হাত পা ঝিনঝিন বা অবস ভাব কেন করে জানেন ?
আরো পড়ুন- কেউ অল্পেতেই উফ আফ! কেউ আবার লঙ্কার পর লঙ্কা খেয়েও ঝাল স্বাদ পান না,কেন জানেন?
ফলে নীল রঙের আলো (Blue light) দ্রুত সমুদ্র গর্ভের প্রায় ৩০ মিটার পর্যন্ত ঢুকে পড়ে এবং অশোষিত সেই নীল আলোর প্রতিফলন আমাদের চোখে লাগে। তবে সব সমুদ্রের জল নীল নয়, এটা মাথায় রাখা দরকার। তাই সার্বিক ধারণা না করাটাই ভালো (is the ocean blue because of the sky)।