Breaking Bharat: আপনি কি খেলা দেখতে পছন্দ করেন? নিজেও খেলতে ভালোবাসেন নিশ্চয়ই? তাহলে খেলা শুরুর সময় প্রতি খেলোয়াড় একজন করে শিশুকে নিয়ে কেন মাঠের দিকে রওনা দেন এটা বলতে পারবেন?
খেলা খেলা থেকে শুরু খেলতে খেলতেই শেষ, এভাবেই জীবনের সমীকরণ এগিয়ে চলে। জীবনটা সত্যিই একটা খেলার মত কিন্তু তাই বলে সত্যি কারের খেলাকে তো আর কম গুরুত্বপূর্ণ দেওয়া যায় না। সবুজ মাঠের টান সত্যিই আলাদা। যারা সেটা অনুভব করে তাদের কাছে আর কোন আকর্ষণই প্রিয় হয়ে উঠতে পারে না।
কেন শিশুদের নিয়ে মাঠে নামার প্রয়োজন হয়?
মাঠে খেলতে নামার সময় প্রতিটি খেলোয়াড় একজন করে শিশুকে সঙ্গে নিয়ে খেলতে নামে। তারপর জাতীয় সংগীত, খেলা শুরুর যাবতীয় নিয়ম সবটাই হয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেন শিশুদের নিয়ে মাঠে নামার প্রয়োজন হয়? আজকে প্রতিবেদনে এই অতি সাধারণ একটি ঘটনা অথচ প্রায়ই চোখ এড়িয়ে যাওয়া বিষয়টি নিয়ে কথা বলব আপনাদের সঙ্গে।
খেলোয়াড়রা যখন মাঠে খেলতে নামেন তখন সঙ্গে একজন করে বাচ্চা থাকে। এদের বলা হয় ‘প্লেয়ার মাসকট বা চাইল্ড মাসকট‘। আসলে এই শিশুরা প্রতীক হিসেবে সবুজ মাঠের লড়াইয়ের আগে দুই প্রতিপক্ষের সামনে এসে দাঁড়ায়। শিশু মানেই তো নিষ্কলঙ্ক, নিষ্পাপ, সহজ, সরল উত্তম জীবনের প্রতীক।
ক্রিকেট, ফুটবল সব ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য?
স্পোর্টসম্যান স্পিরিট ব্যাপারটা যাতে মাঠের মধ্যে লক্ষ্য করা যায় তাই খেলা শুরুর আগে শিশুদের সামনে এনে যেন আয়নার মতো সেই প্রতিবিম্ব তুলে ধরার চেষ্টা হয়। আসলে খেলাধুলা করতে গিয়ে যাতে কোনও হাতাহাতি না হয়, এমন কিছু না হয় যা খেলার গৌরব কে কলঙ্কিত করবে, সেই ভাবনাকে মাথায় রেখেই শিশুদের নিয়ে আসা হয়। ১৯৯০ সাল থেকে এই রীতির প্রচলন শুরু।
আরো পড়ুন – ভারতের মাটিতে আইফোন তৈরি হবে? টাটা গোষ্ঠী এ রকমই এক বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানেন?
ক্রিকেট, ফুটবল সব ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য। আপনি হয়তো জানেন যে ক্রিকেটের মাঠে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময়ে বাচ্চাদের সঙ্গে নেওয়ার প্রথা লক্ষ্য করা যায়। এটা কোথা থেকে এসেছে বলুন তো? উত্তরটা হল ‘ইউরোপিয়ান ফুটবল প্রিমিয়ার লিগ‘।
আসলে ফুটবল খেলার রীতিগুলো ইউরোপ থেকে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সকার গেমের অংশ হয়ে আছে এই চাইল্ড ম্যাসকটরা। আসলে দেখা হয়েছে বেশিরভাগ সময়েই এই ম্যাসকটরা নয় কর্তাদের বাড়ির ছোট সদস্য হয়, বা ধরুন ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের জুনিয়র লেভেল কোনও প্লেয়ার।
আরো পড়ুন – শাকিব খানের ব্যক্তিগত জীবনের বিতর্ক কেন থামছে না? এবার বুবলির সম্পর্কে কী বললেন অপু?
স্টেট ক্রিকেট বোর্ডের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এদের বেছে নেন। এতে খেলোয়াড়দের একটি বিশেষ বার্তা দেওয়ার প্রচেষ্টা হয়। অর্থাৎ যে শিশুদের নিয়ে তারা মাঠে নামছে তাদের জন্য উজ্জ্বল সবুজ এক ভবিষৎ তৈরি করা যেন তাদেরও কর্তব্য। মানে পুরোটাই প্রতীকী বলতে পারেন।
খেলা একটা রূপক মাত্র এই পৃথিবীকে আগামী প্রজন্মের জন্য অনেকটা ভালো করে তুলতে হবে সকলকে। তাই এবার থেকে খেলা দেখার সময় এই বিষয় গুলো মনে করে নিলেই আমাদের প্রতিবেদন সার্থক।।