Breaking Bharat: বদলাচ্ছে না ফেসবুকের নাম! নাম বদলেছে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রামের মাদার কোম্পানির। অর্থাৎ সোস্যাল মিডিয়ায় ‘মেটা’ নিয়ে যে শোরগোল শুরু হয়েছে, তা আদতে ফেসবুকের নতুন নাম নয়। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, সোস্যাল মিডিয়া জায়েন্ট ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপদের নাম অপরিবর্তিতই থাকছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, কেন সংস্থার নাম ‘মেটা’ রাখা হল? কর্পোরেট নামের এই বদলে মার্ক জাকারবার্গের অন্য স্ট্র্যাটেজি রয়েছে। ফেসবুকের নির্মাতা নামবদলের মাধ্যমে যা করতে চাইছেন, তা হতে পারে আজকের এই ইন্টারনেট দুনিয়ার ভবিষ্যৎ।
বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল জল্পনা। বিশেষত কিছুদিন আগে ফেসবুকের প্রাক্তন কর্মী ফ্রান্সেস হাউগেন ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন। কিশোর কিশোরীদের মনস্তত্ত্বের ওপর কুপ্রভাব ছাড়াও তিনি দাবি করেছিলেন, ‘ফেসবুক বারবার প্রমাণ করে দিয়েছে যে, তারা নিরাপত্তার চেয়ে বেশি জোর দেয় মুনাফায়।’ এই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসে সংস্থা। শুরু হয়ে যায় নামবদলের কর্মকাণ্ড।
তবে নেটিজেনদের অধিকাংশই মনে করছেন, নাম বদলে যাবে ফেসবুকের (Facebook)। নেটপাড়ায় তা নিয়ে জোর চর্চাও চলছে। কিন্তু বাস্তবে আদৌ বদলাচ্ছে না ফেসবুকের নাম (The name of Facebook is not changing)। অর্থাৎ ফেসবুক নামে যে অ্যাপ রয়েছে, সেটি ওই নামেই থাকবে। এমনকী, হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp), ইনস্টাগ্রামের (Instagram) নামও অপরিবর্তিত রাখছে সংস্থা। বদলাচ্ছে এই প্রোডাক্টগুলি যে মূল সংস্থার অন্তর্গত, তার নাম।
সংস্থার নতুন নাম হল মেটা (new name of the company is Meta)। এই নামকরণের আড়ালেও রয়েছে বড়সড় স্ট্র্যাটেজি। আসলে সংস্থার প্রধান মার্ক জাকারবার্গ এই নামের মধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন তাঁর উদ্দেশ্যের কথা। তিনি গড়তে চাইছেন মেটাভার্স নামে অন্য এক ভার্চুয়াল দুনিয়া।
‘কানেক্ট ২০২১’ নামে ভিডিয়ো কনফারেন্সে নামবদলের ঘোষণার পাশাপাশি সেই উদ্দেশ্যের আঁচও দিয়েছেন। তিনি এদিন বলেন, ‘আমাদের সংস্থার যে নাম রয়েছে, সেই শব্দটির মাধ্যমে আমাদের পুরো কর্মকাণ্ডকে বোঝানো সম্ভব নয়। আমরা ভবিষ্যতে আমাদের এই সংস্থাকে একটি মেটাভার্স সংস্থা হিসেবে পরিচয় করাতে চাই।’ আর সেই উদ্দেশ্যেই এই নাম পরিবর্তন।
এই মেটাভার্স দুনিয়া আসলে কী? মেটাভার্স হল আসলে এক ভার্চুয়াল দুনিয়া। এই ভার্চুয়াল ব্রহ্মাণ্ডে মানুষ সব কাজই করতে পারবেন ভার্চুয়ালি। অর্থাৎ ‘মেটাভার্স’ নামে যে অনলাইন দুনিয়া তৈরির পরিকল্পনা করেছেন মার্ক জাকারবার্গ, সেখানে মানুষ ভার্চুয়াল পরিবেশে ভিআর হেডসেট ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজ করার পাশাপাশি, গেম খেলা এবং যোগাযোগ করতে পারবেন সহজেই। অর্থাৎ সোস্যাল মিডিয়ার দুনিয়া আরও বেশি আকর্ষণীয় হতে চলেছে, একথা বলা বাহুল্য।
এদিনের ভিডিও কনফারেন্সে জাকারবার্গ আরও বলেন, ‘আমি আশাবাদী যে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মেটাভার্স কোম্পানি হিসাবে দেখা যাবে। আর আমরা সামনে যা তৈরি করতে যাচ্ছি, সেটার ওপর ভিত্তি করেই আমাদের কাজ ও পরিচয় গড়ে উঠবে। ‘