Breaking Bharat: রোদ্দুর বেলার ইতিকথা বিদ্যুৎ ভৌমিক- উৎসর্গ প্রিয় কবিবন্ধু জয় গোস্বামী”- র প্রতি
এই সময়কার অন্যতম একজন জনপ্রিয় কবি হলেন বিদ্যুৎ ভৌমিক ৷ জন্ম ১৬ ই জুন , ১৯৬৪ পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার সাংস্কৃতিক পিঠস্থান শ্রীরামপুরের ঝিলবাগান অঞ্চলের “কুসুম কুঞ্জ”- এ ৷ পিতা ৺পিযুষ কান্তি ভৌমিক এবং মাতা ৺ ছায়ারাণী ভৌমিক ৷ ছাত্র জীবনের হাতেখড়ি শ্রীরামপুরের পূর্ণচন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয় ৷ মাত্র আট বছর বযসে প্রথম ছড়া লেখা দিয়ে তাঁর আত্মপ্রকাশ ৷ পরবর্ত্তী সময়ে বাংলা কাব্য সাহিত্যের সব শ্রেণীর পত্র-পত্রিকা , কবিতা সংকলনে একমাত্র কবিতা ও শিশু- কিশোরদের জন্য ছড়া লিখে বিদ্যুৎ ভৌমিক দু’ই বাংলার পাঠকদের মনের মণি কোঠায় পৌঁছে গেছেন ৷
তাঁর কবিতার মধ্যে নিজস্ব একটা ব্যতিক্রমী ঘরানা তিনি সৃষ্টি করেছেন ৷ তাঁর অন্যতম কাব্যগ্রন্থের মধ্যে ১ ) কথা না রাখার কথা ২) নির্বাচিত কবিতা ৩) গাছবৃষ্টি চোখের পাতা ভিজিয়েছিল ৪ ) নীল কলম ও একান্নটা চুমু ,— ইত্যাদি ৷ কবিতাচর্চা পাশাপাশি তিনি একজন বাচিক জগতের অন্যতম বিশিষ্ট আবৃত্তিকার ৷ বেতার , দূরদর্শন , বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল , বিভিন্ন youtube channel , মঞ্চ সহ সোসাল মিডিয়াতে কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক এর স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি পাঠক ও শ্রোতাদের মনরঞ্জন করে চলেছেন ৷
এই মোটর বাইকের দাম প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা, কী কী ফিচার রয়েছে এই বাইকে?
কবি ও আবৃত্তিকার হিসেবে সম্প্রতি ২০২১ California TV থেকে পেয়েছেন বিশেষ সম্মান ৷ সব চেয়ে বড় পরিচিয় , তিনি একজন ভালো ও মনের মানুষ ৷ কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক”- মহাশয় এর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রইল ৷
(রোদ্দুর বেলার ইতিকথা- বিদ্যুৎ ভৌমিক)
অন্তের ধৃষ্টতা মেঘ ধূসর না হলেও প্রিয় স্বপ্নের ভেতর ভেতর প্রাণহীন কিছুটা কলঙ্ক আঁকা ছিল !যে হাতটা অন্য হাতের কাছে সহজ কৌতুকে অবিশ্বাস নিয়ে বেঁচেবর্তে থাকলেও পোশাকের ভেতর সুচারু নগ্নতা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষগুলোকে প্রতিশব্দে হিজরে বলেই সম্বন্ধন করবেই !
হাঁটার ইচ্ছা হলে উঠোন তখন রোদে মাখামাখি তবুও তাপের গন্ধ ছুঁয়ে ছুঁয়ে চিনে নিতে হয় সন্তর্পনে তারকাটা লোকটা চুইনগাম চিবিয়ে দূরের শূন্যতাকে গাম্ভীর্য দান করেছিল বিগত দুপুরে !
দেব ও রুক্মিণীর সিনেমা ‘কিশমিশ’ দেখার পর দেবের বাবা কি জানিয়েছিল ?
কথার যাবতীয় রিংটোন শিশির শব্দের হেয়ালী না বুঝেই লকডাউনে নির্জন মধ্যহ্নে রাস্তার ধারের মল্লিক বাড়ির দেওয়াল ভাসিয়ে পেচ্ছাপ করার সময় ডাক পিওনের সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি লিঙ্গটা মাক্স পড়ার স্বপ্ন ছায়াবৃত্তে সভ্যতাকে বিনম্র ধাতুগন্ধে সজাগ করে !
সুতরাং তিন দশক আগের বৃষ্টি হঠাৎ ফিরে এলে মুরগীর খোয়ারে এক মহা বেয়াদপ্ ঢেমনা সরীসৃপ নিঃশব্দে ছানাপোনা গুলোকে কালক্ষেপ না করে গিলে খায় !এভাবে এক উন্মাদিনী ল্যাংড়ি মেয়েমানুষ বন্ধ স্কুলবাড়ির ভেতর চারজন মদ্যপ লম্পটের কাছে সমস্ত দুপুর ধর্ষণের স্বীকার হয় ! এভাবেই ছড়িয়ে যায় মহাভয় জ্বালা ; অতলান্তে মরণপোনায় মাতে গোটা দিনটা,কোথাকার এক আদেখা সর্বনাশ মশাল হাতে নিয়ে বারুদ হয়ে ওঠে !
বৃষ্টির ডাকে সারাশব্দ না দিয়ে পাশের পাড়াটা সেভাবেই ভিজে ওঠে যেভাবে ওরা দুটো মন একদিন ফুলশয্যা পর দিন উলঙ্গ হয়ে ভিজে ছিল স্নান ঘরে একমাত্র সেদিনের সেই ভিজেদৃশ্য বাথ্ রুমের কামুক টিকটিকিটা নিঃস্পলক দেখেছিল !
গরমের দিনে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি? পাতে কী খাবার রাখবেন, কী বলছেন পুষ্টিবিদরা?
কোন একবার ইহলোক থেকে পরলোকের ছায়াপথের দিগনির্ণয় প্রাচীন দর্পণে স্পষ্ট হয়ে ভেসে উঠতেই ওধারে বিপরীত মেরুকরণের জেব্রাক্রশিং সীমাহীন মৌনাতায় খিস্তি করছিল মহাশূন্যে ওজোনোস্পিয়ারে ভাসা পূর্বপুরুষদের ! এটাও একপ্রকার অর্ধেকনিঃশব্দে ঘটেছিল !
উপবীতের আড়ালে ভাঙা পাঁজরের ইতিহাস সম্ভবত দীর্ঘশ্বাসে উড়ে যায় ! অথর্ব বেদের পাতায় সোহাগ চন্দনের প্রাচীন পৌঢ়ত্ব স্পর্শহীন অন্তরায় আস্ত দুর্বোধ্য বহতাময় !ফিরে দেখার চোখ যখন ছিলোই , মনোযোগী কিট-পতঙ্গরা নম্র অভিমানে মধ্যবিত্ত বাতাসের পেছনে দৌড়াতোনা !
যেটুকু অবশিষ্ট ছিল ছারপোকারা ঘিরেছে চারধার ,তবুও মানতে হয় নিরবতার আর এক নাম সহজে মেনে নেওয়া !এক এক করে রাস্তা পাল্টে আমৃত্যু শূন্য পর্যন্ত এভাবেই অলৌকিক চৌচির হয় জীবন ; তবুও গল্প গড়ায় নতুন জিজ্ঞাসা মৃত বাল্মিকী নিয়ে নতুন ভাবে বেঁচে ওঠে !
হঠাৎ কিছু শব্দের মত মননে উচ্চারণ হলে একপাল শিশিরেরা পরস্পরে উচ্ছ্বিষ্ট অতীত নিয়ে পরপাড়ের বেস্যাদের গল্প শোনায় ! শেষ প্রহরে সমাধি থেকে উঠে আসে নগ্ন কিছু প্রেত ও ঈশ্বর,সমস্ত রাতের ভেতর কিছু কিছু দাগ কাটা স্বপ্ন বেমালুম ভাবে আমাকে নগ্ন দর্পণ দেখায় !!
লেখনীকাল :১৪ ই আগস্ট , ২০০৫ ৷ স্থান : কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক এর বাসগৃহ ছায়ানীড় ,শ্রীরামপুর , হুগলী,পশ্চিমবঙ্গ ,ভারত