Nerve Disorders Symptoms: স্নায়ু নিয়ে সমস্যা? বিষয়টিকে হালকা ভাবে নেবেন না (Nerve Diseases)! হতে পারে মাইগ্রেন বা স্ট্রোকের লক্ষণ। সবথেকে চিন্তার বিষয় হলো স্নায়ু রোগ এমন একটা অবস্থা যেটা সম্পর্কে সাধারণ মানুষ খুব একটা ওয়াকিবহল নয়। তাহলে শুরুতে নিউরোলজি বা এই স্নায়ু বিদ্যা বিষয় নিয়ে কয়েকটা কথা বলা যাক।
শরীর থাকলে সমস্যা হবেই। কোন মতেই সেটাকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। যত দিন যাচ্ছে ততই মানুষের মধ্যে একাধিক রোগের সম্ভাবনা বাড়ছে। বিশেষ করে একাধিক ওষুধ পত্র খেতে খেতে মূল রোগের পাশাপাশি আনুষাঙ্গিক রোগও বাসা বাঁধছে শরীরে।
স্নায়ুর রোগে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়?
কিছু রোগ থেকে মুক্তি পেতে গেলে রোগের প্রাথমিক পর্যায় বা মূল সূত্র খুঁজে বের করে তারপর চিকিৎসা করতে হয়। এই প্রসঙ্গে মনে রাখা দরকার আমাদের দেশে ‘স্নায়ু রোগ‘ নিয়ে খুব একটা বেশি চর্চা হয় না। তাই এই নিয়ে উন্নত পরিষেবা দেওয়ার প্রচেষ্টা চললেও তা এখনো পর্যন্ত সম্পন্ন হয়নি।
আসলে নিউরোলজি হল চিকিৎসাশাস্ত্রের এমন একটা ক্ষেত্র যেখানে মানবদেহের নির্দিষ্ট স্নায়ু বা স্নায়ুতন্ত্রের অবস্থা নিয়ে তথ্য দেওয়া হয় পাশাপাশি স্নায়ুর রোগে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা নিয়ে পর্যালোচনা করেন চিকিৎসকরা (the most common nerve diseases)।
স্নায়ু রোগের লক্ষণ:
বিশেষজ্ঞরা বলছেন ক্রমাগত মাইগ্রেন, খিঁচুনি, পক্ষাঘাত বা শরীরের বিভিন্ন অংশে অসাড়তা, এই জাতীয় লক্ষণ দেখতে পেলে অবশ্যই আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে এবং সবার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ‘স্নায়ুরোগের বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে‘ আর সেই বিষয়ে প্রত্যেকটা মুহূর্তে চলছে গভীর পড়াশোনা।
লোকটা সম্পর্কে আগে থেকে কিছু জানা সম্ভব না হলে তার চিকিৎসা করা বা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই এই ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে গোটা শরীর জুড়ে অবিরাম ব্যথা হতে থাকে ।
এর ফলে শরীরের এক অংশ থেকে অন্য অংশ পর্যন্ত যন্ত্রণা সঞ্চারিত হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, নিতম্ব থেকে পা বা কাঁধ থেকে হাতের পেশি পর্যন্ত ব্যথা হতে থাকলে, অবশ্যই স্নায়ু বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। বোটক্স ইঞ্জেকশন স্নায়ুজনিত রোগীদের ক্ষেত্রে দারুন কাজ করছে।
আরো পড়ুন – নীল ছবির তারকাদের জীবনটা কি সত্যিই রঙিন? পর্নস্টারদের জীবন কি ভাবে চলে?
সুখ হওয়ার একটা সম্ভাবনা থেকে যায় প্রাথমিকভাবে যদি স্নায়ুতে সমস্যা হয়। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যেটা দেখা যায় সেটা হল স্নায়ুতে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। রক্ত যদি একবার জমাট বাঁধতে শুরু করে তাহলে হঠাৎ করে কখন যে হৃদস্পন্দন স্তব্ধ হয়ে যাবে তা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। এই বিষয় একটু আলোচনা করে নেওয়া দরকার।
আরো পড়ুন – কৃষকরা চাষের জমিতে অন্তর্বাস পুঁতে রাখেন! অন্তর্বাস পুঁতলে নাকি জমির উর্বরতা বাড়ে?
যদি দেখেন কোন রকমের অস্বাভাবিক লক্ষণ শরীরে পরিলক্ষিত হচ্ছে তাহলে দেরি না করে চট করে ডাক্তারের কাছে যান। অনেক সময় একাধিকবার বমি হচ্ছে আর মানুষ সেটাকে অ্যাসিডিটির সমস্যা ভেবে এড়িয়ে গেছেন, এমন ঘটনা ঘটেছে।
আরো পড়ুন – দাদা বোনের সম্পর্ক! মেয়েদের জীবনে দাদাদের একটা আলাদা ভূমিকাই থাকে।
যার ফলে অজান্তেই স্নায়ুতে সমস্যা হয়েছে আর মানুষের মৃত্যু আটকানো যায় নি। তাই অকারণে এটা ওটা ওষুধ খাওয়া নয়, বরং সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে সুস্থ হয়ে ওঠা দরকার। আর কোনো লক্ষণই হালকা ভাবে নিয়ে এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। অসহ্য মাথার যন্ত্রণা মানেই গ্যাস অম্বল বা সাইনাস ভেবে এড়িয়ে গেলে কপালে দুঃখ বাড়বে।
আরো পড়ুন – onions: পেঁয়াজ কাটার সময় চোখে জল! চিন্তা নেই এবার চোখের জল আটকাব আমরা!
সুস্থ থাকতে সঠিক সময়ে চিকিৎসা করান। আর এখান ওখান থেকে ওষুধ কিনে খাওয়া বন্ধ করুন আজই।