Breaking Bharat: সেলিব্রেটিদের জীবন! সিনেমার মতোই কি ঝলমলে তারকাদের বাস্তব জীবন? ‘পিকচার আভি বাকি হ্যায় মেরে দোস্ত’ – বলিউড সিনেমার দৌলোতে এই কথাটা সবার মুখে মুখে ঘোরে। আসল ব্যাপার হল জীবনটা সিনেমা নয় কিন্তু সিনেমা জীবন থেকেই হয়। সিনেমার চরিত্ররা আমাদের চারপাশে ঘোরাফেরা করে কিন্তু পর্দায় তাদেরকে দেখে আমরা শিহরিত হই, দুঃখ পাই বা আনন্দ পাই ।
একই ধরনের চেনা জীবনের বাইরে গিয়ে চেনা ছবিটাকে অচেনা ভঙ্গিতে দেখতে পেয়ে আমাদের দারুন সময় কাটে। অজান্তেই সিনেমার অভিনেতা অভিনেত্রীরা যারা সেলিব্রেটি , যারা তারকা, তাদের জীবন নিয়ে নিজেদের মতো ধারণা গড়তে শুরু করি আমরা। কিন্তু যে ছবিটা বাইরে থেকে দেখা যায় তার ভেতরটাও কি ততটাই ঝাঁ চকচকে?
সেলিব্রেটিদের জীবন ততটাই কি ঝাঁ চকচকে?
দশতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে সিনেমার নায়ক দিব্যি উঠে দাঁড়াতে পারে, বাস্তবে সেটা সম্ভব নয়। আসলে সাধারণ কথাগুলোর সাধারণভাবে বলতে গেলে মানুষ তাতে কোন ইন্টারেস্ট পায় না। আর তাই ব্যবসা হওয়ার রাস্তাটা বন্ধ হয়ে যায়। সিনেমা বা সিরিয়াল এসবের অর্থই হলো মানুষকে বিনোদন দেওয়া, আকর্ষণ করা ।
যার ফলে কিছু মুষ্টিমেয় মানুষের অর্থ লাভ হবে ব্যবসা বাড়বে। এদের একটা জগত আছে যেটাকে বলা হয় সিনে দুনিয়া বা বিনোদন জগত। এখানে প্রত্যেকেই একটা করে চরিত্রের মুখোশ পরে ঘুরে বেড়ায় আর শুটিং শেষে সেই চরিত্রের মুখোশ খুলে রেখে নিজেদের মতো বাড়ি ফিরে যায়।
সেলিব্রেটিদের ঝগড়া দেখলে অবাক হয়?
কিন্তু সাধারণ মানুষ এটা কতটা বোঝেন। তাদের কাছে বিনোদন জগতের স্টারেরা সেলিব্রেটি। তাই যেন তারা কখনোই আর ৪-৫ জনের মত জীবন কাটাতে পারেন না। এইরকম বদ্ধমূল ধারনা আজও সাধারণ মানুষের মনের মধ্যে রয়ে গেছে যার জন্য সেলিব্রেটিদের ঝগড়া করতে দেখলে বা কোনো ঘটনায় মেজাজ হারাতে দেখলে, মারামারি করতে দেখলে তারা অবাক হয়।
কিন্তু তারাও তো সাধারণ মানুষ, আর চার পাঁচ জন যেমন অফিসে যায় কাজ করে তারাও সিনেমা জগতে এসে তাদের কাজটুকুই করে আর কিছু নয়। কিন্তু সিনেমা বা সিরিয়াল হয়ে যাবার পর তারা তো একদম ছাপোষা মানুষ আপনার আমার মতো। কিন্তু এই সহজ সত্যিটা কেউ বুঝতে চায় না।
আরো পড়ুন – বিজ্ঞাপনের চমক নয় খাঁটি জিনিস চিনতে শিখুন! আপনিও কি বিজ্ঞাপনের চমকে চমকে গেছেন কখনো?
গায়ে একটা সেলিব্রেটি তকমা লেগে গেলে যেন তার জীবনটা সিনেমার মতোই সব সময় উজ্জ্বল হয়ে থাকবে এমন একটা ধারণা করে নেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে কখনো সেটা হয় না। প্রতিটা মানুষের জীবনে চড়াই উৎরাই আছে। একভাবে কোনও মানুষের জীবন চলতে পারে না।
তা সে সাধারণ মানুষ হোক বা সেলিব্রেটি। আপনার আমার মতো তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা আছেন যাদের নিয়ে সেলিব্রেটিরা চিন্তা করেন, সমস্যা এলে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন বা কখনো একান্তে সময় কাটাতে চান।
আরো পড়ুন – নিয়মিত আই ব্রো করান তো? মাথার চুল বড় হয় কিন্তু চোখের ভ্রু বড় হয় না কেন?
কিন্তু এসবের মাঝে সাধারণ মানুষ তাদের দেখলে সেই তারকা আখ্যা দিয়েই বিচার করতে চান। সিনেমায় যেমনটা দেখা যায় সেটা তো বাস্তবে তারা নন। ফলে সুখ-দুঃখ, খারাপ – ভালো, কাছে আসা বা দূরে যাওয়া এই সব কটা অনুভূতির মধ্যে দিয়ে তাদেরকেও জীবনে এগিয়ে যেতে হয়।
এরা অর্থনৈতিকভাবে অনেকটা স্বাবলম্বী হয় ফলে টাকা পয়সার কষ্ট হয়তো সেভাবে থাকে না। কিন্তু মানসিক সমস্যা যে একেবারেই তৈরি হয় না সেটা বোধহয় বলা যায় না। সেলিব্রেটিদের দুনিয়াতেও সাধারণ জগতের মত হিংসা স্বার্থপরতা এই সব কিছুই রয়েছে, যা ছুঁয়ে যায় তাদেরও।
আরো পড়ুন – কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়া ভাগ্যের ব্যাপারে সেটা জানেন? আপনার বাড়িতে কি কন্যা সন্তান আছে?
কখনো কখনো মানুষ ভিড়ের মাঝেও একলা হতে চায় কিন্তু সেলিব্রেটি হলে “প্রাইভেসি” শব্দটা যে একেবারে নিজের জীবনের ডিকশনারি থেকে ডিলিট করে দিতে হয় সেটা বড্ড কষ্টকর।