Breaking Bharat: ভালোবাসার চিহ্ন হিসেবে বিশেষ ইমোজিটা কেন ব্যবহার করা হয় বলুন তো? সেরকমই ‘লাল রঙের হার্ট শেপ‘ মনের কথা ব্যক্ত করে তাই না? কিন্তু হার্ট বা হৃৎপিণ্ডের গঠন কিন্তু মোটেই ওই লাভ ইমোজির মতো হয় না।
ভালোবাসা শব্দটার অর্থটা খুবই গভীর যেটা হয়তো এভাবে ভাষায় বলে বোঝানো যাবে না। কিন্তু ভালোবাসার কথা বোঝাতে গেলে সত্যিই কি কোন মাধ্যমে প্রয়োজন হয় এটা নিয়ে একটা প্রশ্ন রয়ে গেছে সবার মনে। প্রেম ভালোবাসা এমন একটা অনুভূতি যেটা মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে সেটা ভালো দিকে হোক বা খারাপ দিকে। তবে আমরা কিন্তু পজিটিভ দিক গুলিই তুলে ধরবো আমাদের প্রতিবেদনে কারণ আজকের বিষয়বস্তু ‘লাভ শেপ‘ (The History of the Heart Shape)।
লাল রঙের হার্ট শেপ ❤️❤️❤️❤️❤️:
এখন তো স্মার্ট হয়ে গেছে পৃথিবী , তাই কথা কম কাজ বেশির মতো শব্দের ব্যবহার কম আর অনুভূতির ব্যাখা বেশি হয় ইমোজি দিয়ে। খুবই জনপ্রিয় একটা ইমোজি হল স্মাইলি যেটা আমরা প্রায়ই ব্যবহার করি। সেরকমই ‘লাল রঙের হার্ট শেপ‘ মনের কথা ব্যক্ত করে তাই না? কিন্তু হার্ট বা হৃৎপিণ্ডের গঠন কিন্তু মোটেই ওই লাভ ইমোজির মতো হয় না।
যে চিহ্ন টাকে ভালোবাসার চিহ্ন বলে ধরা হয় সেটা প্রথম ইংল্যান্ডে ব্যবহার করা শুরু হয় বলে জানা যায়। মানুষের মস্তিষ্ক সব অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণ করলেও ভালোবাসার ক্ষেত্রে মন নামে এক কাল্পনিক অঙ্গের অস্তিত্ব বিশ্বাস করতে শুরু করেছে মানুষ সেই প্রাচীনকাল থেকেই। তাই সেই অঙ্গকে একটা রঙ এবং আকার দেয়া হয়েছে। এর সঙ্গে বাস্তবের কিন্তু কোন মিল নেই।
অনেক বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো গেছে যে আমাদের হৃদপিণ্ডের অনেক গুলো আঁকাবাকা অংশ বাদ দিয়ে সুন্দর একটা আকৃতি দিতে গেলে ❤️ এই আকৃতি আসে। অতএব এটাকে নিয়ে এগিয়ে চলা। আপনি কি জানেন কীভাবে এই চিহ্নটির সঙ্গে ভালোবাসার সংযোগ ঘটলো? কিংবা এ চিহ্নটির উৎপত্তি কীভাবে? চলুন উত্তর খোঁজা যাক।
অনেকে মনে করেন এক ধরনের গাছ থেকে এই চিহ্নের জন্ম হয়েছে। গাছটি কাফ সিরাপ তৈরিতে ব্যবহৃত হলেও জনপ্রিয় ব্যবহার ছিল কনট্রাসেপটিভ বা গর্ভনিরোধক হিসেবে। আবার কিছু মানুষ মনে করেন নারীর স্তন, মানুষের নিতম্বের সঙ্গেও হার্ট শেপের সংযোগ আছে অন্ততপক্ষে বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে অনুধাবন করলে এটা কিছুটা হলেও সত্যি বলে মনে হতে পারে।
আরো পড়ুন – নারী চরিত্র সত্যিই কি জটিল? একা পুরুষ কি হিমশিম খায় স্ত্রী আর মাকে সামলাতে?
ফিরে আসি গাছের প্রসঙ্গে। সিলফিয়াম প্রজাতির একটি গাছ যা একসময় উত্তর আফ্রিকান কোস্টলাইনে গ্রিসের উপনিবেশ সিরিয়ার সিরিন শহরে দেখা যেত।ফুড কালারিং হিসেবে এর ব্যবহার ছিল প্রচুর। জনশ্রুতি আছে রোমান সম্রাট নিরোর কাছে এই গাছের সর্বশেষ মজুদ রক্ষিত ছিল। আশ্চর্যজনক হলেও সিলফিয়ামের ফলের আকার ছিল এখনকার ভ্যালেন্টাইন শেপ বা আজকের আলোচ্য হার্ট শেপের মতো।
আরো পড়ুন – মুখ দিয়ে লালা ঝরা কি অসুখের ইঙ্গিত? কী বলছেন চিকিৎসকেরা?
যেহেতু গর্ভনিরোধক শব্দটা জড়িয়ে গেছে এই গাছের সঙ্গে তাই অনেকের ধারণা ভালোবাসা প্রকাশের জন্য তখন এই চিহ্নটি ব্যবহার হওয়া শুরু হয়। তবে এই ব্যাখ্যার অন্য কোন ভিত্তি খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি কারণ এই ধারণাটি অনেকদিন আগে থেকেই প্রচলিত হয়ে আসছে।
আরো পড়ুন – ভাত প্রেমী মানুষ কি পাতে কাঁচা পেঁয়াজ রাখতে পছন্দ করেন? অভ্যাস টা ভাল না খারাপ?
সব শেষে একটা কথা বলি, জীবনে অনুভূতি প্রকাশের জন্য ভাষার প্রয়োজন হয় না। তাই অন্য কোন বস্তু বা আকার আকৃতির প্রয়োজন হবে সেটাই বা ভাবছেন কেন? ভালোবাসা আসলে ঈশ্বরের মতো। আদি এবং অনন্ত, জুড়ে আছে সবটা নিয়ে। কিন্তু কোনভাবেই তাকে নির্দিষ্ট কোন আকারে বন্দী করা যায় না তাই না?