Breaking Bharat: বাড়ির বয়স্ক মানুষটি বারবার প্রস্রাব করছেন? রাতের দিকে অজান্তেই বিছানা ভিজিয়ে ফেলছেন? বিষয়টি হালকা ভাবে নিবেন না, ডাক্তারের পরামর্শ এক্ষুনি নিন!
কথায় বলে শরীরের নাম মহাশয়, যা সওয়াবে তাই সয়। কিন্তু সত্যিই কি এটা কার্যক্ষেত্রে সম্ভব? মাথায় রাখতে হবে প্রতি মানুষের একেক রকমের সহ্য ক্ষমতা। কিন্তু বয়স শুধু আর একটা মাত্র সংখ্যা নয় তার সঙ্গে অনেকগুলো রোগের সংকেত বটে। বয়স বাড়লে নানা রোগ শরীরকে আকড়ে ধরে।
এখন বিজ্ঞানের সৌজন্যে দেখা যাচ্ছে মানুষের আয় ু তার গড় যে বয়স সেটা অনেকটাই বেড়েছে কিন্তু তাই বলে রোগ কমেছে বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়েছে এমনটা কিন্তু নয়। বউ উল্টোটা বলা যেতে পারে, এখন মানুষ অনেক বেশি করে ওষুধ নির্ভর ফলে কোন কিছু হলেই ওষুধ খেয়ে নেব প্রবণতা মানুষকে ভেতর থেকে অনেক বেশি করে দুর্বল করে তোলে।
বয়স বাড়লে ঘন ঘন প্রস্রাব হয় কেন?
এবার আসি বয়স্ক মানুষের এক সমস্যার প্রসঙ্গে যেটা কমবেশি প্রতিটা বাড়িতেই দেখা যায়। বলিস পারলে প্রস্রাব করার অনুভূতি সেভাবে আর অনুভব করা যায় না ফলে রাত্রির দিকে দেখা যায় বিছানাতেই অনেক সময় বয়স্ক মানুষ প্রস্রাব করে ফেলছেন।
এটাতে বিরক্ত হওয়ার কিছু নেই কারণ এটা খুবই স্বাভাবিক একটা ঘটনা। এখানেই শেষ নয় বয়স বাড়লে রাতের দিকে বারবার প্রস্রাবের প্রবণতা তৈরি হয়। এমন অবস্থার মধ্যে যদি আপনার পরিবারের কোনো সদস্য পড়ে থাকেন তাহলে আপনি কী করবেন সেটাই জানাবো এবার।
এই যে বয়স্ক মানুষদের রাতের দিকে বারবার প্রস্রাব একে বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় নকটারনাল এনেউরেসিস। আসলে রাতের দিকে বারবার প্রস্রাব পাওয়াকে নকটুরিয়া বা নকটারনাল ফ্রিকোয়েন্সি বলে। ঘুমিয়ে পড়ার পর একবার উঠে প্রস্রাব ত্যাগ করাটা ডাক্তারি পরিভাষায় স্বাভাবিক কিন্তু একাধিক বার নয়। অনেকের ক্ষেত্রেই এই সমস্যা দেখা যায়।
এমন হওয়া মানে প্রস্রাব জনিত রোগ এটা নাও হতে পারে বরং অন্য একাধিক রোগের লক্ষণ হিসেবেই কিন্তু অনেক সময় এটা দেখা যায়। বলি রাখা ভালো যে নকটুরিয়া ও নকটারনাল এনেউরেসিস শুধুমাত্র বয়স্কদের হয় তেমনটা নয় কম বয়সীদের মধ্যেও এই রোগের লক্ষণ আজকাল পাওয়া যাচ্ছে।
আরো পড়ুন – আপনি কি অলস? জীবনে পরিশ্রম করার জন্য কি সত্যিই কোনও অনুপ্রেরণার প্রয়োজন হয়?
অনেকে মনে করেন শরীর ভালো রাখতে প্রচুর জল খাওয়া দরকার। কিন্তু এটা অনেকাংশেই ভুল ধারণা। কারণ যতটা জল খাওয়ার প্রয়োজন আছে ততটাই খাওয়া দরকার তার বেশি নয়। যে লোকটা মাঠে বসে আছে সেই লোকটার সারাদিনে জলখাবার প্রয়োজনীয়তা আর যে এসি ঘরে বসে কাজ করছে তার জলখাবার প্রয়োজনীয়তা দুটোর পরিমাপ কখনই এক নয়।
আরো পড়ুন – কোন খাবার সত্যিই ভালো আর কোনটা খারাপ! জেনে নিন
প্রস্টেটে কোন সমস্যা থাকলে বা স্নায়ু ঘটিত কোন অসংলগ্নতার কারণেও এই লক্ষণ দেখা দিতে পারে। শরীরের সুগার লেভেল চেক করানো দরকার ডায়াবেটিস হচ্ছেন কিনা তার আগাম ইঙ্গিত মিলবে এই লক্ষণ থেকে।
আরো পড়ুন – দুটি সন্তানের বেশি কখনই পরিবারে আনা উচিত নয়, কেন বলেন চিকিৎসকেরা?
যদি এরকম কোন ইঙ্গিত পান তৎক্ষণাৎ ডাক্তারের পরামর্শ নিন পাশাপাশি জীবনধারার পরিবর্তন ঘটান। যেমন ধরুন প্রেসার বা সুগারের ওষুধ কখন খাচ্ছেন সেটা একটু দেখে নেওয়া দরকার বেশি রাত করে ওষুধ খাবেন না। অনেকক্ষণ পা ঝুলিয়ে বসে থাকার অভ্যাস এবার পরিবর্তন করুন।
রাতে ঘুমোতে যাবার আগে বেশি জল খাবার প্রয়োজন নেই সারাদিনে পরিমাণ মতো জল খেতে থাকুন ।একবারে বেশি জল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ করে কিডনির জন্য ক্ষতিকারক। পারলে রাত্রিবেলা ভাত খাওয়া বন্ধ করুন রুটি খাওয়া চালু করুন আর দুপুরে প্রয়োজনমতো কিছুটা ঘুমিয়ে নিন।
আরো পড়ুন – রাইনোপ্লাস্টি কী? কীভাবে ভোঁতা নাক ঠিক করবেন জানা আছে?
তবে আবারো বলছি যাই হোক না কেন কোন রকমের সমস্যা হলেই ঝুঁকি না নিয়ে তৎক্ষণাৎ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।