Breaking Bharat: একটা মেয়েকে বারবার ব্ল্যাকমেইল! তাহলে সেই মেয়ে কি করবে? একজন মেয়েকে বারবার ব্ল্যাকমেইল করা হলে সে কি ভয় পেয়ে পিছিয়ে যাবে? নাকি চরম কোনও ব্যবস্থা নেবে সেই খারাপ মানুষটার বিরুদ্ধে?
সহ্য শব্দটা শুধুমাত্র অভিধানে থাকেনা থাকে সত্তার মধ্যে। মানুষ হোক বা জীবজন্তু প্রত্যেকের সহ্যের একটা সীমারেখা আছে। যেটাকে কেউ যদি অতিক্রম করতে বাধ্য করে তাহলে তার ফল মারাত্মক হতে পারে।
দিনের পর দিন ব্ল্যাকমেইল সহ্য করার দিন শেষ!
আজকালকার দিনে মেয়েদের বিশেষ করে সহ্যের বাঁধ খুব তাড়াতাড়ি ভাঙতে হচ্ছে তার কারণ ক্রমাগত তার উপর আক্রমণ বাড়ছে। কোন ছোটখাট ঘটনা বা বড় কোন দুর্ঘটনা একটা মোবাইলের ক্লিপিংস বার রেকর্ডিং সেটাকে সামনে রেখে দিনের পর দিন ব্ল্যাকমেইল সহ্য করার দিন গেছে। এবার পাশে দাঁড়িয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
জীবনে চলার পথে এগোতে গেলে ভালো মন্দ অনেক ঘটনায় ঘটবে। আপনাকে বেছে নিতে হবে কোনটা ঠিক কোনটা ভুল। অজান্তে অনেকেই এমন ঘটনার সাক্ষী হয়ে যান বা ঘটনার শিকার হয়ে যান যেখানে কিছুই করার থাকেনা। এক্ষেত্রে সবার আগে মেয়েদের কথাই বলতে হয়।
প্রযুক্তি উন্নত হচ্ছে আর বিপদ বাড়ছে মেয়েদের:
কারণটা খুব স্পষ্ট যতই আজকের যুগে দাড়িয়েও নারী পুরুষ সমান সমান তত্ত্ব মুখে বলি না কেন, বাস্তবে তার কোন প্রয়োগ নেই। সভ্যতা যত এগোচ্ছে প্রযুক্তি তত উন্নত হচ্ছে আর তাতেই বিপদ বাড়ছে মেয়েদের (Technology is improving and danger is increasing for girls)। সোশ্যাল মিডিয়া নামক এক অভিনব পদ্ধতি জীবনকে যেমন সহজ করেছে ঠিক তেমনি সময় বিশেষে সবথেকে বেশি কঠিনও করে দিয়েছে।
আর এই সমাজ মাধ্যমকে ব্যবহার করি সমাজের কাছে একজন নারীকে সবথেকে বেশি অপদস্ত হওয়ার ব্যবস্থা করে ভয়ংকর কিছু মানুষ। তাদের পরিচয় তারা অপরাধী। ইদানিংকালে প্রতারণা শব্দ টা খুব বেশি করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সেটা অ্যাপ ব্যবহার করে প্রতারণা হোক বা জালিয়াতি করে প্রতারণা।
এক্ষেত্রে বেশি চিন্তায় এবং টেনশনে থাকেন মেয়েরা:
সব ক্ষেত্রেই হুমকি আসে অমুক কাজ না করলেই এই হতে পারে। এক্ষেত্রে সবথেকে বেশি চিন্তায় এবং টেনশনে থাকেন মেয়েরা। কারণ নারীদের সবথেকে বড় দুর্বলতার জায়গা তাদের শারীরিক গঠন। এমনত অন্তত বিকৃত কিছু মানসিকতার মানুষ মনে করেন।
আরো পড়ুন – abortion : সন্তান ধারণে সমস্যা! ‘সন্তান ধারণ’ করা সত্ত্বেও বারবার তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে! কি করবেন?
নারী মানে কয়েকটা মাংসপিণ্ড নয় এটা সমাজ এখনো বোঝেনা। তাই নারী দেহ বা শরীর যেন কামনা পরিপূরণের একটা বস্তু বটে। আজকের যুগের মেয়েরাও সমাজের চাপে পড়ে সেই ভয়ে শিটিয়ে থাকে। ব্যাস এর সুযোগ নেই ভাইরাল করে দেয়ার হুমকি।
নারী দেহের সঙ্গে জড়িত মুহূর্ত খুব সহজে ভাইরাল:
ছবি হোক বা ভিডিও কোনো না কোনোভাবেই ঘটনা বা বিশেষ করে নারী দেহের সঙ্গে জড়িত ছবি মুহূর্ত খুব সহজে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। একে হাতিয়ার করি অপরাধীরা ক্রমাগত ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করে। এটা কিন্তু প্রতিনিয়ত সোশ্যাল মিডিয়াতেও হয়। তাহলে উপায়?
আরো পড়ুন – ‘মেয়েদের চাহিদা’ মানেই দামি গয়না-শাড়ি! কি চায় মেয়েরা? মেয়েদের মন বোঝা কেন সোজা নয়?
সমাজতাত্ত্বিক মনস্তাত্ত্বিক পুলিশ প্রশাসন প্রত্যেকেই বলছেন আপনি অপরাধী না হলে মাথা উঁচু করে বাঁচুন। দিনের পর দিন নোংরা প্রস্তাব দিয়ে কেউ যদি আপনাকে হুমকি দেয় বা এমন কিছু করার কথা বলে যেটা মোটেই উচিত নয় তাহলে সেই সমস্ত কথাবার্তা আলাপচারিতার ভয়েস রেকর্ডিং বা স্ক্রিনশট নিয়ে রাখুন।
মেয়েদের নিজেকে বাঁচানোর ক্ষেত্রে সবথেকে বড় অস্ত্র:
জীবন শেষ হয়ে যাওয়ার মত বা আত্মহত্যা করার মতো কোনো ঘটনাই আপনার জীবনে ঘটেনি। সবথেকে বেশি মনে জোর রাখুন নিজের প্রিয় মানুষকে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি অবশ্যই জানান। নিজের বন্ধু বান্ধব চয়েস করার ব্যাপারে সচেতন আর সজাগ থাকুন।
আরো পড়ুন – Marriage : ‘জোর করে বিয়ে’ করতে হচ্ছে? ‘বিয়ের জন্য পাত্র বা পাত্রীর মতামত’ কতটা গুরুত্বপূর্ণ ?
কোথায় যাচ্ছেন সেখানে কি আছে তার চারপাশের পরিবেশ সম্পর্কে প্রশাসনকে এবং আপনার শুভাকাঙ্ক্ষীদের সব সময় অবগত করুন। মনে রাখবেন দুর্ঘটনা কখনোই বলি করে আসে না কিন্তু সচেতনতা নিজেকে বাঁচানোর ক্ষেত্রে সবথেকে বড় অস্ত্র।
তারপরেও যদি কোন কিছু ঘটে আর তার জেরে আপনাকে দিনের পর দিন হুমকি চিঠি বা ফোন বা মেসেজ পেতে হয় তাহলে মাথায় রাখুন এই বিষয়ে কিন্তু প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপ আপনি দাবি করতে পারেন। আপনার জেনে রাখা দরকারদেশের প্রচলিত আইন সম্পূর্ণরূপে আপনার পক্ষে।
আরো পড়ুন – বাচ্চা একদম কথা শুনছে না? একটু সাবধানে থাকুন! ‘বাচ্চার জেদ নিয়ন্ত্রণ’ করুন এখনই
১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৩৮৩ ধারা অনুযায়ী যে কোনও ধরণের ব্ল্যাকমেইল-কে এক্সটরশন এর আওতায় ফেলা যায়। এবং আইনের ৩৮৪ ধারা অনুযায়ী এর শাস্তি সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড। অপরাধের উপর ভিত্তি করে এই শাস্তি জরিমানাসহ বা ব্যতীরেকে হতে পারে। মনে জোড় রাখুন , আপনি হেরে যাবেন না।