The big success of Chandrayaan-3: চন্দ্রযান-৩ এর বড় সাফল্য! দুটো কক্ষপথ পেরিয়ে এবার কি তৃতীয় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি রোভার? আকাশের বুক চিরে সোজা চাঁদের মাটিতে পা রাখা আর মাত্র সময়ের অপেক্ষা।
আমেরিকা, রাশিয়া, চীন যখন পেরেছে তখন ভারত কোনভাবেই আর পিছিয়ে থাকতে পারে না। মহাকাশ গবেষণায় ভারতের ইসরোর সঙ্গে রয়েছে আমেরিকার নাসা। ভারত এবং আমেরিকা মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যৌথভাবে গ্রহণ করেছে।
চন্দ্রযান-৩-এর সফল উৎক্ষেপণ:
ভারতের এই ইতিহাস গড়ার সাক্ষী থাকতে চায় গোটা বিশ্ব।গত ১৪ জুলাই শুক্রবার অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারের ‘লঞ্চিং প্যাড’ থেকে চন্দ্রযান-৩-এর সফল উৎক্ষেপণ মনের মধ্যে অনেকগুলো স্বপ্ন আর আশার জন্ম দিয়েছে ১৪০ কোটি ভারতবাসীর। লঞ্চ হওয়ার প্রথম ১০ মিনিট চাপার টেনশন কাজ করছিল বিজ্ঞানীদের মনে।
পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ পেরিয়ে যাওয়ার সময় যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটে একটা বড় বিস্ফোরণ হয়ে যেতে পারতো, ভেঙ্গে যেতে পারতো চন্দ্রযান। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সবটাই খুব সফলভাবেই হয়ে চলেছে। চন্দ্রযান নিয়ে সোমবার বড় আপডেট দিল ইসরো। চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে নির্বিঘ্নেই দ্বিতীয় কক্ষপথ পেরিয়ে গেল চন্দ্রযান-৩।
অবশ্য পরীক্ষা এখানেই শেষ হয়নি কারণ পৃথিবীর টান কাটাতে চাই আরও তিন কক্ষপথ পেরিয়ে যাওয়ার সাফল্য। বিজ্ঞানীরা বলছেন পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির গণ্ডি ছাড়িয়ে চাঁদের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আরও তিন বার কক্ষপথ পরিবর্তন করবে এই চন্দ্রযান-৩। তারপর চাঁদের অরবিটে প্রবেশের পালা শুরু হবে। তাই পিকচার আভি বাকি হ্যায়।
আরো পড়ুন – Lottery: প্রচুর মানুষ লটারিতে টাকা উপার্জন করছেন। কিন্তু এটা কী করে সম্ভব?
চাঁদে দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করাতে পারলে গোটা বিশ্বের কাছে নজর তৈরি করবে ভারতের চন্দ্রযান ৩। এত কম বাজেটে মহাকাশ গবেষণার সংস্থার রকেট প্রেরণ নজিরবিহীন। ইসরো জানিয়েছে যে চন্দ্রযান ৩-এর উৎক্ষেপণের পর দ্বিতীয় বার যানটি কক্ষপথ পরিবর্তন করল।
সোমবার এই আপডেট দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আপাতত সবকিছুই ঠিক ভাবে চলছে। পূর্ব নির্ধারিত ক্যালকুলেশন মেনেই চাঁদে যাওয়ার পথে একের পর এক কক্ষপথ অতিক্রম করে চলেছে। ইসরোর তরফ থেকে বলা হয়েছে যে, চন্দ্রযান-৩ এই মুহূর্তে ৪১৬০৩ কিমি x ২২৬ কিমি কক্ষপথে অবস্থান করছে।
আরো পড়ুন – আপনি কি স্কুলে শিক্ষকতা করতে চান? চল্লিশ হাজার পদে নিয়োগ হতে চলেছে জানেন?
মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৮ই জুলাই ২০২৩ তারিখে দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৩টের মধ্যে আবার তার কক্ষপথ পরিবর্তিত হবে। অর্থাৎ তৃতীয় চতুর্থ এবং পঞ্চম এই পাঁচটি কক্ষপথ অতিক্রম করা এখনো বাকি রয়েছে। চূড়ান্ত সাফল্য পেতে হলে এখনো অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে।
এর আগের চন্দ্রযান সঠিকভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নিজের অবতরণ করাতে পেরেছিল কিনা সেটা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছে। কারণ চাঁদ মামার ওই অংশে সূর্যের আলোটুকু পৌঁছয় না। তাই ওই প্রান্তে যে কী আছে সেটা কেউ জানে না। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান-৩ থেকে ল্যান্ডার বিক্রম সফল ভাবে চাঁদের মাটি ছুঁতে পারলে শুরু হবে পরবর্তী পর্যায়।
আরো পড়ুন – Royal Enfield: রয়েল এনফিল্ড চালাতে পছন্দ করেন? এই প্রথম 750cc মোটরসাইকেল আসছে
রোভার প্রজ্ঞান সঠিক ভাবে তার অবতরণ করাতে কাটছে কিনা তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে ভারত সহ বিশ্ব। ইতিহাস তৈরীর জন্য আর মাত্র ২৫-২৬ দিন সময় হাতে রয়েছে। চাঁদ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য তো মিলবেই পাশাপাশি যে অঞ্চল দিয়ে প্রজ্ঞান চলাচল করবে সেখানকার চাঁদের জমিতে অশোকস্তম্ভ এবং ইসরোর প্রতীক আঁকা হবে। ভারতবাসী হিসেবে এটা কি কম গর্বের বলুন দেখি!