Breaking Bharat: বাথরুম ব্যবহার করেন সবাই কিন্তু পরিষ্কার করেন কে? বাথরুমের দুর্গন্ধ কি অস্বস্তির কারণ? দেখুন এই ‘বাথরুম পরিষ্কার‘ রাখা খুব দরকার। কী উপায়ে সেটা করতে পারেন তারই কিছু টিপস দেব আমরা।
মানুষের জীবন ধারায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা খুব দরকার। কারণ সেটা না হলে রোগ জীবাণু আক্রমণ করতে পারে আপনাকে। তাই নিজের আর পরিবারের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে সব সময় পরিষ্কার রাখা দরকার আপনার বাড়ির অন্দরমহল। আপনি কি জানেন, বেশিরভাগ রোগ জীবাণু ছড়ায় বাথরুম থেকে? দেখুন এই ‘বাথরুম পরিষ্কার‘ রাখা খুব দরকার। কী উপায়ে সেটা করতে পারেন তারই কিছু টিপস দেব আমরা।
দেখুন ‘ওয়াশরুম বা বাথরুম পরিষ্কার‘ করতে কিন্তু খুব একটা বেশি সময় লাগে না। আর এমন নয় যে সেটা বাড়ির কাজের লোককে করতে হবে বা মহিলাকে করতে হবে। নির্দিষ্ট সময় ভাগ করে নিতে পারলে এই কাজ সহজেই হয়ে যায় পরিবারের সদস্যদের দিয়ে।
শুধু একটু ধৈর্য রাখতে হবে আপনাকে। ফ্লোর থেকে সবচেয়ে বেশি রোগ জীবাণু ছড়ায় তাই মেঝে পরিষ্কার করুণ সবার আগে। এর জন্য আপনি ‘লিকুইড সোপ‘ ব্যবহার করতে পারেন, মনে করে টাইলস প্রতিদিন পরিষ্কার করুন। একটা ব্রাশ আর গুড়া পাউডার হাতের কাছে রাখলে সেটা দিয়ে মেঝে ঘসতে খুব বেশি সময় লাগে না (The bathroom stinks after cleaning)।
বাথরুমের আয়নাতে নিজেকে দেখেন যখন তাই সেটাই ঝকঝকে থাকা দরকার। এক্ষেত্রে আয়না এবং কাচের তাক পরিষ্কার করতে ডিশওয়াশিং লিকুয়িড ব্যবহার করাই ভাল। টাইলসের কোনের দিকে জায়গাতে ড্রেন বন্ধ হয়ে গেলে বেকিং সোডা ছিটিয়ে তার মধ্যে ভিনিগার ঢেলে নিতে পারেন।
আজকালকার দিনে বাজারে অনেক রাসায়নিক পাওয়া যায় যেগুলো ‘টয়লেট ক্লিনার‘ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও কমোড পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরি। কোনভাবেই যাতে একজনের ব্যবহার করার পর সেটি অন্যজনের ব্যবহার করার আগে অস্বস্তির কারণ না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
চেষ্টা করে দেখুন যদি প্রতিমুহূর্তে বাথরুমে প্রবেশ এবং প্রস্থানের সময় বাথরুমে চারপাশকে পরিষ্কার রাখা যায় কারণ সেটাই ভদ্র মানুষের জীবনধারার লক্ষণ। বাথরুমে অনেক ধরনের সুগন্ধি রাখার অপশন এখন আছে। সেগুলো আপনি ছাড়া মাস বাথরুমে ঝুলিয়ে রাখতে পারেন। সব থেকে কঠিন ব্যাপার হলো জলের দাগ পরিস্কার করা কারণ দীর্ঘদিন ধরে জলের দাগ জমে জমে সেটা কিছুতেই যেন উঠতে চায় না।
আরো পড়ুন – আপনার বাড়ির গাছের ফুল চুরি হয়ে যাচ্ছে? কোনও ভাবেই চোর ধরতে পারছেন না?
এক্ষেত্রে ফ্লোর ক্লিনার এবং ভিনেগার বিশেষভাবে কার্যকরী। আগেকার দিনে এক বালতি জল এবং নারকোলের শক্ত অংশকে ঘষে ঘষে শেওলা ভাব কাটানো হতো। এরপর ছটা দিয়ে পুরো জায়গাটাকে ঘষে দেওয়া হতো। আজকের দিনে সেটা করা হয়তো সম্ভব হবে না কিন্তু চেষ্টা করুন বাথরুমের ফ্লোরে যাতে কোনোভাবেই জল না জানে সেই ভাবেই নর্দমার ব্যাবস্থা করতে।
আরো পড়ুন – আপনি কি ফর্সা হতে চান? রাসায়নিক ব্যবহার না করে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় জানতে আগ্রহী?
পরিবার যেমন আপনার পরিবারের প্রতিটি অংশের সঙ্গে আপনি জড়িয়ে আছেন। এই খুব স্বাভাবিকভাবেই তার খেয়াল রাখাটাও আপনার কর্তব্য। সব থেকে বড় কথা হচ্ছে বাথরুমের দেওয়াল ফ্লোর যদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে তাহলে আপনার বাড়িতে দুটো লোক এলেও তিনিও আপনার স্বভাবের প্রশংসা করবেন। পাশাপাশি আপনিও স্বাস্থ্য সুরক্ষা জনিত বিষয় নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন। বাথরুম ব্যবহার করার সঠিক নিয়ম ছোটবেলা থেকেই বাড়ির শিশুকে শিখিয়ে দিন।
আরো পড়ুন – আপনি কি ফর্সা হতে চান? রাসায়নিক ব্যবহার না করে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় জানতে আগ্রহী?
তাহলে দেখবেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ব্যাপারটা তার কাছেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।। এটা একটা ভালো স্বভাব। মনে রাখবেন আগেকার দিনের মানুষের কাছে এত কেমিকাল ছিল না তারা কিন্তু প্রাকৃতিক উপায়ে ঘর বাথরুম এইসব পরিষ্কার রাখতেন। তাই আপনিও সেই টেকনিকের ব্যবহার পুনরায় করতেই পারেন।