Breaking Bharat: চোখের জলের কোন দাম হয় না তাই না? দুঃখের সময় চোখের জল আর আনন্দের চোখের জল- পার্থক্যটা কি শুধুই অনুভূতির? Human body is like temple, অর্থাৎ শরীর মন্দিরের মতো তাই এর সাধ্যমত লক্ষ্য রাখা দরকার। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এক একটা কাজের জন্য প্রত্যেকটা মুহূর্ত জুড়ে ব্যস্ত থাকে।
একটা কাজ একটু এদিক-ওদিক হলে শরীর বিগড়ে যাওয়া সম্ভাবনা অনেকটাই। শরীরের নানা কাজের মধ্যে জুড়ে থাকে মনের অনুভূতি যা আদপে মস্তিষ্ক দ্বারাই পরিচালিত হয়। তার মধ্যে একটা হল চোখ থেকে জল পড়া। একটা হয় দুঃখে চোখের জল বা কান্না আর একটা হয় আনন্দে চোখের জল। কী ব্যাপার বলুন তো? বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা জানা আছে?
দুঃখের কান্না হোক বা আনন্দের চোখের জল:
মস্তিষ্ক দ্বারা শরীরের যে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ পরিচালিত হয় সেখানে হরমোনের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। সেটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। আমাদের মানব শরীরের নানা অনুভূতির ওপর হরমোনের যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ থাকার দরুন আমরা তার ক্ষরণের দ্বারা প্রভাবিত হই।
বিজ্ঞান বলছে চোখের জলের জন্য একটি মাত্র হরমোন দায়ী, তা সে দুঃখের কান্না হোক বা আনন্দের চোখের জল। ক্রমাগত হাসতে বা কাঁদতে থাকলে মস্তিষ্কে কর্টেক্সের ওপর চাপ পড়ে। তখনই মুখের কোষ গুলো অনিয়ন্ত্রিতভাবে কাজ করতে শুরু করে।
আমাদের যে অশ্রু গ্রন্থি বা লাক্রিমাল গ্ল্যান্ড আছে , তার উপর থেকে মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণভাবে চলে যায়। এবার যদি গোটা ব্যাপারটা অনিয়ন্ত্রিত হয় তাহলে সহজেই চোখের জল বেরিয়ে আসে। তা আপনি দুঃখই পান বা খুশি হন , গ্রন্থি এত কিছু বোঝেনা। মানুষ অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ হলে তখনো এই একই অবস্থা হয়, অর্থাৎ কোষের উপর চাপ পড়ে।
সুতরাং জল আসাটা খুব অস্বাভাবিক কি? মস্তিষ্কের এটা বোঝার ক্ষমতা নেই যে আপনি খুশি হয়ে আবেগপ্রবণ হচ্ছেন না দুঃখ পেয়ে। কিন্তু চোখের জল যে গ্ল্যান্ড থেকে ক্ষরিত হয় সে তার কাজটা করে , তাই জল চোখে দেখা যায়। তোর সব থেকে অবাক করা তথ্য হলো হাসতে হাসতে চোখে জল আসার পরিসংখ্যানে মহিলারা অনেকটা এগিয়ে।
আরো পড়ুন – রেলের চালকরা সফরকালে কি কি সুবিধা পান? তাছাড়া চালকরা এমার্জেন্সি মুহূর্তে কি করেন?
মানে হাসির চোখে পুরুষের চোখে জল এসেছে এমন উদাহরণ খুব কম পাওয়া যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মহিলারাই এমন ঘটনার সম্মুখীন হন। আপনাকে জানাই ক্রমাগত হাসতে থাকলে বা কাঁদতে , অজান্তেই মস্তিষ্কের কোষের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে।
এমন অবস্থা তৈরি হলে দুটি হরমোন নিঃসৃত হয়। একটি হলো একজন অ্যাড্রেনালিন আরেকটি কর্টিসল। এরাই হাসি বা কান্নার সময় শরীরে নানা প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।
আরো পড়ুন – Language of Birds: পাখিদের ভাষা অবিকল মানুষের মতো হতে পারে! কিন্তু কিভাবে সেটা সম্ভব?
তবে এই বিষয়ে একটা কথা বলা দরকার, যদিও এর কোন যৌক্তিকতা আছে কিনা সেটা এভাবে বিচার করা সম্ভব নয়। বলেন চোখে জলে বোঝা সম্ভব কোনটা আনন্দের চোখের জল আর কোনটা দুঃখের। এখন আপনি ভাবতেই পারেন এটা কী করে হয়? কারণ বাইরে থেকে কেউ কী করে বুঝবে ঠিক কোন কারনে চোখ থেকে জল পড়ছে কোন মানুষের?
আরো পড়ুন – শিকারী পাখি? ঈগল পাখি আর বাজ পাখি ঠিক কোথায় আলাদা? আর চিলের সম্বন্ধে কতটা জানেন?
আসলে একটি বিশেষ জার্নাল সূত্রে জানা যায় আনন্দ পেলে মানুষের ডান চোখ থেকে জল আগে পড়ে আর দুঃখে বাম চোখ থেকে ।যদিও এর সত্যতা আমরা যাচাই করিনি। তাই আপনার ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটে অবশ্যই আমাদের জানাতে ভুলবেন না।